Ajker Patrika

মসজিদের এসি বন্ধের নির্দেশ ইউএনওর, মুসল্লিদের বিক্ষোভ

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ২০: ৫৯
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় একটি মসজিদের ছয়টি এসি বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি ঘিরে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার আসরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা দাবি করেন, ইউএনওর নির্দেশেই মসজিদের এসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় মুসল্লি সোহেল মাহমুদ খান বলেন, ‘ইউএনও বলেছেন, মসজিদে এতগুলো এসি লাগানোর প্রয়োজন নেই। এমনকি, এগুলো কে লাগিয়েছে তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। ভারতে যেমন মুসল্লিদের নামাজে বাধা দেওয়া হয়, এখানেও সেই রকম পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। আজ এসি বন্ধ, কাল হয়তো মসজিদের ফ্যান বন্ধ করে দিতে পারে। আবার কবে মনে হয় মসজিদের গেটেই তালা লাগিয়ে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (বুধবার) জোহরের নামাজের আগেই এসি চালু দেখতে চাই। এই গরমে এসি ছাড়া নামাজ আদায় অত্যন্ত কষ্টকর।’

মুসল্লিরা জানান, বুধবার জোহরের নামাজের মধ্যে এসি চালু না হলে তাঁরা আরও বড় পরিসরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।

মুসল্লিদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুসল্লিদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী বলেন, ‘মসজিদের ফান্ডে বর্তমানে কোনো টাকা নেই। বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ৬৯ হাজার টাকা বকেয়া। এ অবস্থায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও অনামিকা নজরুলের নির্দেশেই সাময়িকভাবে এসিগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আমি নিজেও জানি না, কবে এগুলো চালু হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও অনামিকা নজরুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মসজিদের বিদ্যুৎ বিল বাকি আছে ৭০ হাজার টাকা। ৭০ হাজার টাকা বিল বাকির মধ্যে যদি এসি চালানোর অনুমতি দিই তাহলে বিল বাড়তেই থাকবে। মসজিদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। মসজিদ পরিচালিত হয় অফিসাররা যে টাকা দেয়, সেই টাকায়। অফিসাররা মসজিদে প্রতি মাসে একটি পরিমাণ চাঁদা দেয়, সেই টাকা দিয়ে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেম ও খাদেমের বেতন হয়। তা ছাড়া বিদ্যুৎ বিলের খরচও এই টাকা থেকে বহন করা হয়। এখন ৭০ হাজার টাকা বিল আমি কোথায় থেকে দেব? আমাকে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে বিল পরিশোধের জন্য। সব কটি এসি এখন বন্ধ থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাঁরা বিক্ষোভ করেছেন কাল (বুধবার) সবাইকে আসতে বলেছি। এলাকার গণ্যমান্য মুসলমানদেরও আসতে বলেছি দেখা করার জন্য। তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে দেখি কী করা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত