নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে এখন ‘হাইব্রিডের বাম্পার ফলন’ হচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। সংবাদ সম্মেলনে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরে এসব বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। সংবাদ সম্মেলনে কয়েক নেতার দখলদারির অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে থানা ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিগত দিনে যেসব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা, মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরই নগর বিএনপির কিছু নেতা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন, শিষ্য বানাচ্ছেন।’ তিনি দাবি করেন, নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সদস্যসচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মাহমুদুল হক রুবেল, হারুনুর আব্দুর রাজ্জাক, কমিটির সাবেক সদস্য বদরুদ্দোজা বদর বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা।
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিজান ও আমিনুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন নির্বাচনে সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোসহ দলীয় ভূমিকা পালন করেছেন।’ বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করা সন্ত্রাসী রনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও তাঁকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামানের ভাই নুরুজ্জামান টুকুর (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে। আর গত ৫ আগস্টের পর রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে বিতাড়িত হওয়া অধ্যক্ষ গোলাম মাওলাকে তাঁর চেয়ারে বসাতে সেখানে পেশিশক্তি দেখাতে গিয়েছিলেন মিজান। তাঁদের ইন্ধনে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২২ জুলাই বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলুর বাসায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে হামলা হয়। পরে তাঁকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। মিলুর বাসায় হামলাকারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে ভোল পরিবর্তন করে নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘মহানগর বিএনপিতে একটি অনুপ্রবেশকারী সক্রিয় সন্ত্রাসী বলয়ের কারণে তিনটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই সন্ত্রাসী বলয় নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সরাসরি নেতৃত্ব-আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহাল তবিয়তে আছে। কিছুদিন আগে নগরের উপকণ্ঠে ভুগরইলে নওহাটা যুবদলের সাবেক সদস্য সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তাঁর বাবা আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হামলার নেপথ্যে সাঈদ, শিপলু, সোহাগ, আব্দুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ, শান্ত, শিমুল, ইমনের নাম উঠে এসেছে। কয়েক বছর আগেও রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবদল কর্মী রিয়াজকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পেছনে তৎকালীন মহানগর তাঁতী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাঈম, রানা, রনি, অভির সম্পৃক্ততা উঠে আসে। সম্প্রতি কাদিরগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিম্মি করে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে নিরীহ রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে খুন করা হয়। এ খুনে নাঈম, সোহেল রানা, তারেক, ফাইজুল হক ফাহি, সুমন সরদার, রনির নাম আলোচিত হয়েছে। এই তিনটি খুনের অধিকাংশ প্রধান অভিযুক্ত বিগত সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা নগর বিএনপির একটি শক্তিশালী বলয়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়ে একের পর এক অপকর্ম ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি দখলের অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি ৯ আগস্ট বলপূর্বক দখল নেওয়া হয়। এর আগে বিনা নির্বাচনে অবৈধভাবে নজরুল ইসলাম হেলালকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটিও ঘোষণা দেওয়া হয়। মামুন এর আগে নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে বাস মালিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মরহুম আনোয়ার হোসেন আনুকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের ভাই শহিদুর রশিদ মন্টুকে বাস মালিক সমিতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই একই সড়ক পরিবহন মালিক কমিটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মামুনের আজ্ঞাবহ নজরুল ইসলাম হেলাল। এসব কারণে তিনি র্যাবের এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সাইদুর রহমান পিন্টু দাবি করেন, নগর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসের জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি মামলাও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ মামলা হওয়ায় আদালত এই সম্পত্তিতে “স্থিতাবস্থা” জারি করলেও নজরুল হুদা কিসের বলে কিসের জোরে, কোন আইনে এখন পর্যন্ত ওই জমির ভবনটি ব্যবহার করছেন ও ভাড়া দিয়েছেন, আমরা জানতে চাই।’
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন রাজশাহীতে জুলাই বিপ্লবে হামলা, খুন এবং বিএনপি অফিস ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত এজাহারভুক্ত বিভিন্ন আসামিকে আটক না করতে পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। আবার মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নেতৃত্বে অনেক অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, রাজপাড়া থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ও মাহমুদুল হক রুবেল অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাই কমিটি গঠনের পরপরই তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রাসেল হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে। ওই যুবলীগ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে তাঁকে বিএনপিতে নেওয়া হয়।
নেতাদের অভিযোগ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিনকে প্রত্যক্ষভাবে শুধু সহযোগিতাই করেননি বরং সরাসরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচন-পরবর্তী ফলাফল ঘোষণার পরে ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করেছেন। মামুন ও ঈসা এত দিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছিলেন। তাই আওয়ামী আমলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বলে তাঁরা মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সেটি পড়ে দেখার পর মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করব, তারা যেন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দল, দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করে। এই বিষয়ে এটাই আমার বক্তব্য।’
এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ৫ আগস্টের পর মাউশির একজন কর্মকর্তাকে চেয়ার থেকে টেনে বের করে দেন। এ কারণে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলাম। পরে সাবেক একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করি। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আবার খেয়ালখুশি মতো যা খুশি করছেন। কখনো বিক্ষোভ করছেন, কখনো সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবই মিথ্যা অভিযোগ।’

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে এখন ‘হাইব্রিডের বাম্পার ফলন’ হচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরের বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। সংবাদ সম্মেলনে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরে এসব বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। সংবাদ সম্মেলনে কয়েক নেতার দখলদারির অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে থানা ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিগত দিনে যেসব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা, মামলা, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরই নগর বিএনপির কিছু নেতা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন, শিষ্য বানাচ্ছেন।’ তিনি দাবি করেন, নগরের রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সদস্যসচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মাহমুদুল হক রুবেল, হারুনুর আব্দুর রাজ্জাক, কমিটির সাবেক সদস্য বদরুদ্দোজা বদর বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা।
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিজান ও আমিনুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন নির্বাচনে সরাসরি ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোসহ দলীয় ভূমিকা পালন করেছেন।’ বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আমিনুল ইসলাম রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ করা সন্ত্রাসী রনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক। রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও তাঁকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামানের ভাই নুরুজ্জামান টুকুর (রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে। আর গত ৫ আগস্টের পর রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল থেকে বিতাড়িত হওয়া অধ্যক্ষ গোলাম মাওলাকে তাঁর চেয়ারে বসাতে সেখানে পেশিশক্তি দেখাতে গিয়েছিলেন মিজান। তাঁদের ইন্ধনে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাসায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২২ জুলাই বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলুর বাসায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে হামলা হয়। পরে তাঁকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। মিলুর বাসায় হামলাকারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে ভোল পরিবর্তন করে নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘মহানগর বিএনপিতে একটি অনুপ্রবেশকারী সক্রিয় সন্ত্রাসী বলয়ের কারণে তিনটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই সন্ত্রাসী বলয় নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুনের সরাসরি নেতৃত্ব-আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহাল তবিয়তে আছে। কিছুদিন আগে নগরের উপকণ্ঠে ভুগরইলে নওহাটা যুবদলের সাবেক সদস্য সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তাঁর বাবা আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হামলার নেপথ্যে সাঈদ, শিপলু, সোহাগ, আব্দুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ, শান্ত, শিমুল, ইমনের নাম উঠে এসেছে। কয়েক বছর আগেও রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবদল কর্মী রিয়াজকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার পেছনে তৎকালীন মহানগর তাঁতী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নাঈম, রানা, রনি, অভির সম্পৃক্ততা উঠে আসে। সম্প্রতি কাদিরগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিম্মি করে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে নিরীহ রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে খুন করা হয়। এ খুনে নাঈম, সোহেল রানা, তারেক, ফাইজুল হক ফাহি, সুমন সরদার, রনির নাম আলোচিত হয়েছে। এই তিনটি খুনের অধিকাংশ প্রধান অভিযুক্ত বিগত সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা নগর বিএনপির একটি শক্তিশালী বলয়ের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়ে একের পর এক অপকর্ম ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি দখলের অভিযোগও করা হয়। এতে বলা হয়, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান শরীফের নেতৃত্বে রাজশাহী সড়ক পরিবহন সমিতি ৯ আগস্ট বলপূর্বক দখল নেওয়া হয়। এর আগে বিনা নির্বাচনে অবৈধভাবে নজরুল ইসলাম হেলালকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটিও ঘোষণা দেওয়া হয়। মামুন এর আগে নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে বাস মালিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মরহুম আনোয়ার হোসেন আনুকে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাড়িয়ে দিয়ে নিজের ভাই শহিদুর রশিদ মন্টুকে বাস মালিক সমিতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই একই সড়ক পরিবহন মালিক কমিটির তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মামুনের আজ্ঞাবহ নজরুল ইসলাম হেলাল। এসব কারণে তিনি র্যাবের এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সাইদুর রহমান পিন্টু দাবি করেন, নগর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিসের জায়গাটি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি মামলাও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ মামলা হওয়ায় আদালত এই সম্পত্তিতে “স্থিতাবস্থা” জারি করলেও নজরুল হুদা কিসের বলে কিসের জোরে, কোন আইনে এখন পর্যন্ত ওই জমির ভবনটি ব্যবহার করছেন ও ভাড়া দিয়েছেন, আমরা জানতে চাই।’
সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন রাজশাহীতে জুলাই বিপ্লবে হামলা, খুন এবং বিএনপি অফিস ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত এজাহারভুক্ত বিভিন্ন আসামিকে আটক না করতে পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন। আবার মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের নেতৃত্বে অনেক অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে।’
বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, রাজপাড়া থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ও মাহমুদুল হক রুবেল অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে এবং তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাই কমিটি গঠনের পরপরই তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে রাসেল হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে। ওই যুবলীগ নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে তাঁকে বিএনপিতে নেওয়া হয়।
নেতাদের অভিযোগ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ মামুন ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মমিনকে প্রত্যক্ষভাবে শুধু সহযোগিতাই করেননি বরং সরাসরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচন-পরবর্তী ফলাফল ঘোষণার পরে ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করেছেন। মামুন ও ঈসা এত দিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছিলেন। তাই আওয়ামী আমলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি বলে তাঁরা মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা ও সদস্যসচিব মামুন-অর-রশিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সেটি পড়ে দেখার পর মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করব, তারা যেন নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দল, দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করে। এই বিষয়ে এটাই আমার বক্তব্য।’
এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট তাঁর ব্যক্তিস্বার্থে ৫ আগস্টের পর মাউশির একজন কর্মকর্তাকে চেয়ার থেকে টেনে বের করে দেন। এ কারণে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলাম। পরে সাবেক একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করি। কিন্তু তারপর থেকে তিনি আবার খেয়ালখুশি মতো যা খুশি করছেন। কখনো বিক্ষোভ করছেন, কখনো সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবই মিথ্যা অভিযোগ।’

ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম। সেখান থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই এই দম্পতি নিহত হন। অটোরিকশাচালকও মারা গেছেন।
৭ মিনিট আগে
কেউ না আসায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মশারি বিতরণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল।
১৭ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
৪১ মিনিট আগে
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই যিশু মোহাম্মদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ফুফাতো ভাই বাবর আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম। সেখান থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই এই দম্পতি নিহত হন। অটোরিকশাচালকও মারা গেছেন।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ি ইউটার্নে তিন যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের মহেশ্বর গ্রামের আবুল বাশার, তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম ও সিএনজি অটোরিকশার চালক চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নাটাপাড়ার কালা মিয়ার ছেলে মমতাজ।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত দম্পতির ছেলে আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাচী গ্রামের আব্দুর রহমান (২৭), আগুনশাইন গ্রামের রাজমিস্ত্রি কবির হোসেন (৪০), শ্যামপুর গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মাহবুবুল হক ও মাহিনী গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৪২)।
নিহত আবুল বাশারের ভাই মোস্তফা বলেন, ‘আমার ভাই-ভাবি তাঁদের ছেলে তৈয়বের জন্য চৌদ্দগ্রামের একটি এলাকায় পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সিএনজি অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই আমার ভাই ও ভাবির মৃত্যু হয়।’
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়।

ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম। সেখান থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই এই দম্পতি নিহত হন। অটোরিকশাচালকও মারা গেছেন।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ি ইউটার্নে তিন যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের মহেশ্বর গ্রামের আবুল বাশার, তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম ও সিএনজি অটোরিকশার চালক চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নাটাপাড়ার কালা মিয়ার ছেলে মমতাজ।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত দম্পতির ছেলে আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাচী গ্রামের আব্দুর রহমান (২৭), আগুনশাইন গ্রামের রাজমিস্ত্রি কবির হোসেন (৪০), শ্যামপুর গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মাহবুবুল হক ও মাহিনী গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৪২)।
নিহত আবুল বাশারের ভাই মোস্তফা বলেন, ‘আমার ভাই-ভাবি তাঁদের ছেলে তৈয়বের জন্য চৌদ্দগ্রামের একটি এলাকায় পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সিএনজি অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই আমার ভাই ও ভাবির মৃত্যু হয়।’
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
কেউ না আসায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মশারি বিতরণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল।
১৭ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
৪১ মিনিট আগে
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই যিশু মোহাম্মদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ফুফাতো ভাই বাবর আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

কেউ না আসায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মশারি বিতরণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল।
দুপুরে সভাস্থলে কয়েকজন কর্মচারীকে মাইক নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা অনুষ্ঠানস্থলে সাধারণ মানুষকে আসার আহ্বান জানাতে থাকেন। কয়েকজন নারী এলেও অধিকাংশ চেয়ারই ছিল ফাঁকা।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগত নারীরা নগর ভবনের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দা। স্থানীয় ওয়ার্ডসচিবের অনুরোধে তাঁরা এসেছিলেন মশারি নিতে। কিন্তু মানুষজন না থাকায় অনুষ্ঠান বাতিল করা হলে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় তাঁদের।
মাসুদ রানা নামের একটি ওয়ার্ডের সচিব বলেন, ‘আমাকে কয়েকজন দরিদ্র বাসিন্দাকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল মশারি দেবে বলে। আমি দুজন নারীকে নিয়ে এসেছিলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনাও আমাকে করতে বলা হয়। পরে জানানো হয়, অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে নাসিকের মেডিকেল অফিসার নাফিয়া ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে অনুষ্ঠান হয়নি, তা বলতে পারছি না। প্রথমে শুনেছি অনুষ্ঠান হবে, পরে বলা হলো, আজ অনুষ্ঠান হবে না।’
এ বিষয়ে নাসিকের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

কেউ না আসায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মশারি বিতরণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল।
দুপুরে সভাস্থলে কয়েকজন কর্মচারীকে মাইক নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা অনুষ্ঠানস্থলে সাধারণ মানুষকে আসার আহ্বান জানাতে থাকেন। কয়েকজন নারী এলেও অধিকাংশ চেয়ারই ছিল ফাঁকা।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগত নারীরা নগর ভবনের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দা। স্থানীয় ওয়ার্ডসচিবের অনুরোধে তাঁরা এসেছিলেন মশারি নিতে। কিন্তু মানুষজন না থাকায় অনুষ্ঠান বাতিল করা হলে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় তাঁদের।
মাসুদ রানা নামের একটি ওয়ার্ডের সচিব বলেন, ‘আমাকে কয়েকজন দরিদ্র বাসিন্দাকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল মশারি দেবে বলে। আমি দুজন নারীকে নিয়ে এসেছিলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনাও আমাকে করতে বলা হয়। পরে জানানো হয়, অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে নাসিকের মেডিকেল অফিসার নাফিয়া ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে অনুষ্ঠান হয়নি, তা বলতে পারছি না। প্রথমে শুনেছি অনুষ্ঠান হবে, পরে বলা হলো, আজ অনুষ্ঠান হবে না।’
এ বিষয়ে নাসিকের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম। সেখান থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই এই দম্পতি নিহত হন। অটোরিকশাচালকও মারা গেছেন।
৭ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
৪১ মিনিট আগে
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই যিশু মোহাম্মদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ফুফাতো ভাই বাবর আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেসখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল, তারা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি নির্বাচনে যাব না।’
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকার চাই। ভোটাধিকার চাই। যখন সবাই পাকিস্তান চেয়েছিল, তখন জামায়াত ব্রিটিশদের গোলামি করেছে। যখন আমরা সবাই বাংলাদেশ স্বাধীন করতে চেয়েছি, তখন এই জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, খুনখারাবি করেছে। সেই জামায়াত, তাকে নিয়ে ইলেকশন করলে আমি ইলেকশন করব?’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো হিসাব করলে দেখা যায়, ৪৩ পার্সেন্ট ভোট আওয়ামী লীগের আছে। ১৪ পার্সেন্ট জাতীয় পার্টির আছে, আমাদেরও তিন পার্সেন্টের মতো ভোট হয়েছে। এখন ইউনূস সরকার যাদের নিয়ে মিটিং করে, সেখানে তো আমাদের ডাকে নাই! আর এখন আমাদের ডাকলেই যাব? আর না।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউনূস সাহেব, আপনাকে আমি অনেক বড় মানুষ মনে করেছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলত, আমি আপনার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। যদি আমি পাশে না দাঁড়াতাম, তবে আপনার গ্রামীণ ব্যাংক মাটির সঙ্গে মিশে যেত। আপনার গ্রামীণ ব্যাংক না শুধু, গ্রামীণ নামে যা বানিয়েছেন, সবকিছুর বিপদ আছে। আপনার কান্না শেষ হবে না। আপনি বাংলার মানুষকে চেনেন না। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা না। সে জন্য বলছি, এখনো সময় আছে, আপনি যদি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ ও সন্তোষজনক একটা নির্বাচন করতে পারেন, এত কিছুর পরও আপনার নাম থাকবে, আপনাকে মানুষ সম্মান করবে। আর যদি মীরজাফর হতে চান, ঘসেটি বেগম হতে চান, তাহলে যা করছেন, তা করেন, বেশি দিন লাগবে না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না। আমি বঙ্গবন্ধু করি, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই। আমি জয় বাংলা করি। সরকার বাহাদুরকে বলে গেলাম, জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন। সেখানেও আমি বলব, আমি জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জয় বাংলা বলেই আমার জীবন দিয়ে যেতে চাই। আমার নেতা বঙ্গবন্ধু, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ আমার ধ্যান, মুক্তিযুদ্ধ আমার চেতনা, বঙ্গবন্ধু আমার চৈতন্য।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ এনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘কম বিরক্ত হয়ে শেখ হাসিনাকে তাড়ায় নাই। মানুষ একেবারে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে তাড়ানোর ক্ষমতা এই আট-দশটা বাচ্চা ছেলের ছিল না। বিএনপি পারে নাই, জামায়াত পারে নাই, কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, এটা আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে। তিনি যে পরিমাণ অত্যাচার করেছেন, মানুষকে অসম্মান করেছেন, এর জন্য আল্লাহর তরফ থেকে তিনি পরাজিত হয়েছেন।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে অত্যাচার করেছেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে যে পরিমাণ চান্দা উঠিয়েছেন, তার ১০ গুণ এই ১২-১৪ মাসে অন্য দলেরা করেছে। শেখ হাসিনার পতনের সময় এক নম্বর দল ছিল ধানের শীষ। এখন তারা কিন্তু পেটের বিষ। এ কারণে আমি আগেও বলেছিলাম, যে কারণে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে সরিয়েছে, ঠিক একই কাজ করলে বিএনপিকেও মানুষের ভুলে যেতে কষ্ট হবে না।’
জনসভায় ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ইথার সিদ্দিকী, বাসাইলের সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিদ্দিকী, আবু জাহিদ রিপন, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, আঁখি আতোয়ার প্রমুখ।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল, তারা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি নির্বাচনে যাব না।’
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকার চাই। ভোটাধিকার চাই। যখন সবাই পাকিস্তান চেয়েছিল, তখন জামায়াত ব্রিটিশদের গোলামি করেছে। যখন আমরা সবাই বাংলাদেশ স্বাধীন করতে চেয়েছি, তখন এই জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, খুনখারাবি করেছে। সেই জামায়াত, তাকে নিয়ে ইলেকশন করলে আমি ইলেকশন করব?’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো হিসাব করলে দেখা যায়, ৪৩ পার্সেন্ট ভোট আওয়ামী লীগের আছে। ১৪ পার্সেন্ট জাতীয় পার্টির আছে, আমাদেরও তিন পার্সেন্টের মতো ভোট হয়েছে। এখন ইউনূস সরকার যাদের নিয়ে মিটিং করে, সেখানে তো আমাদের ডাকে নাই! আর এখন আমাদের ডাকলেই যাব? আর না।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউনূস সাহেব, আপনাকে আমি অনেক বড় মানুষ মনে করেছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলত, আমি আপনার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। যদি আমি পাশে না দাঁড়াতাম, তবে আপনার গ্রামীণ ব্যাংক মাটির সঙ্গে মিশে যেত। আপনার গ্রামীণ ব্যাংক না শুধু, গ্রামীণ নামে যা বানিয়েছেন, সবকিছুর বিপদ আছে। আপনার কান্না শেষ হবে না। আপনি বাংলার মানুষকে চেনেন না। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা না। সে জন্য বলছি, এখনো সময় আছে, আপনি যদি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ ও সন্তোষজনক একটা নির্বাচন করতে পারেন, এত কিছুর পরও আপনার নাম থাকবে, আপনাকে মানুষ সম্মান করবে। আর যদি মীরজাফর হতে চান, ঘসেটি বেগম হতে চান, তাহলে যা করছেন, তা করেন, বেশি দিন লাগবে না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না। আমি বঙ্গবন্ধু করি, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই। আমি জয় বাংলা করি। সরকার বাহাদুরকে বলে গেলাম, জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন। সেখানেও আমি বলব, আমি জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জয় বাংলা বলেই আমার জীবন দিয়ে যেতে চাই। আমার নেতা বঙ্গবন্ধু, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ আমার ধ্যান, মুক্তিযুদ্ধ আমার চেতনা, বঙ্গবন্ধু আমার চৈতন্য।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ এনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘কম বিরক্ত হয়ে শেখ হাসিনাকে তাড়ায় নাই। মানুষ একেবারে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে তাড়ানোর ক্ষমতা এই আট-দশটা বাচ্চা ছেলের ছিল না। বিএনপি পারে নাই, জামায়াত পারে নাই, কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, এটা আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে। তিনি যে পরিমাণ অত্যাচার করেছেন, মানুষকে অসম্মান করেছেন, এর জন্য আল্লাহর তরফ থেকে তিনি পরাজিত হয়েছেন।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে অত্যাচার করেছেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে যে পরিমাণ চান্দা উঠিয়েছেন, তার ১০ গুণ এই ১২-১৪ মাসে অন্য দলেরা করেছে। শেখ হাসিনার পতনের সময় এক নম্বর দল ছিল ধানের শীষ। এখন তারা কিন্তু পেটের বিষ। এ কারণে আমি আগেও বলেছিলাম, যে কারণে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে সরিয়েছে, ঠিক একই কাজ করলে বিএনপিকেও মানুষের ভুলে যেতে কষ্ট হবে না।’
জনসভায় ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ইথার সিদ্দিকী, বাসাইলের সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিদ্দিকী, আবু জাহিদ রিপন, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, আঁখি আতোয়ার প্রমুখ।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম। সেখান থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই এই দম্পতি নিহত হন। অটোরিকশাচালকও মারা গেছেন।
৭ মিনিট আগে
কেউ না আসায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মশারি বিতরণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল।
১৭ মিনিট আগে
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই যিশু মোহাম্মদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ফুফাতো ভাই বাবর আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই যিশু মোহাম্মদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ফুফাতো ভাই বাবর আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের পাইটখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যিশু মোহাম্মদ পাইটখালী গ্রামের রবিন ইসলাম রবির ছেলে এবং বাবর আলী একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যিশুর দাদা ও বাবরের নানা হেলাল উদ্দিনের দুই বিঘা জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া এই জমি বাবরের পরিবার তাঁর নানার কাছে থেকে কিনেছে বলে দাবি করে আসছিল। অপর দিকে যিশুও বাবার সূত্রে সেই জমি নিজের বলে দাবি করে আসছিলেন। জমিটি বাবরদের দখলে ছিল, আদালতে জমিটি নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান ছিল।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যিশু তাঁর পরিবারের সদস্যদের ও কিছু লোকজন নিয়ে সেই জমির দখল নিতে যান। এ সময় বাবরও লোকজন নিয়ে তা প্রতিহত করতে আসেন। দুই পক্ষের তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাবর তাঁর মামাতো ভাই যিশুকে ছুরি দিয়ে ঘাড়ে ও পেটে আঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা যিশুকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, জমিটা নিয়ে আদালতে চার-পাঁচটি মামলা চলমান ছিল। এর মধ্যে আজকে দখলকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মূল অভিযুক্ত বাবরকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। মূল আসামিকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই যিশু মোহাম্মদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ফুফাতো ভাই বাবর আলীকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের পাইটখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যিশু মোহাম্মদ পাইটখালী গ্রামের রবিন ইসলাম রবির ছেলে এবং বাবর আলী একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যিশুর দাদা ও বাবরের নানা হেলাল উদ্দিনের দুই বিঘা জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া এই জমি বাবরের পরিবার তাঁর নানার কাছে থেকে কিনেছে বলে দাবি করে আসছিল। অপর দিকে যিশুও বাবার সূত্রে সেই জমি নিজের বলে দাবি করে আসছিলেন। জমিটি বাবরদের দখলে ছিল, আদালতে জমিটি নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান ছিল।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যিশু তাঁর পরিবারের সদস্যদের ও কিছু লোকজন নিয়ে সেই জমির দখল নিতে যান। এ সময় বাবরও লোকজন নিয়ে তা প্রতিহত করতে আসেন। দুই পক্ষের তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাবর তাঁর মামাতো ভাই যিশুকে ছুরি দিয়ে ঘাড়ে ও পেটে আঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা যিশুকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, জমিটা নিয়ে আদালতে চার-পাঁচটি মামলা চলমান ছিল। এর মধ্যে আজকে দখলকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মূল অভিযুক্ত বাবরকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। মূল আসামিকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এমনকি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের জন্য সরাসরি মদদ দিচ্ছেন। ফলে রাজশাহী মহানগর
১১ মে ২০২৫
ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এসেছিলেন আবুল বাশার ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম। সেখান থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলায় বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তাঁদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি। এতে ঘটনাস্থলেই এই দম্পতি নিহত হন। অটোরিকশাচালকও মারা গেছেন।
৭ মিনিট আগে
কেউ না আসায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মশারি বিতরণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ সোমবার শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল।
১৭ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
৪১ মিনিট আগে