রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
২০১৮ সালে সৌদি আরব যান রমজান আলী (৩৩)। গত বছরের শেষের দিকে পাঁচ মাসের ছুটি নিয়ে দেশে এসে বাড়ির কাজ শুরু করেছিলেন। কথা ছিল ছুটি শেষে সৌদি আরব গিয়ে বাড়ির অসমাপ্ত কাজ শেষ হলে দেশে এসে বিয়ে করবেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু সুখে কাটাবেন। কিন্তু সেই সুখ আর এল না রমজানের জীবনে। আগুন কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। সৌদি আরবে এক অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজ প্রামাণিকের ছেলে রমজান।
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, রমজান আলীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একদিকে বাড়িতে লোকজনের ভিড়, অন্যদিকে স্বজনদের আহাজারি। কিছুতেই যেন থামছে না পরিবার ও স্বজনদের কান্না। শোকে থমথমে হয়ে আছে পুরো গ্রামবাসী।
রমজান আলীর বড় বোন সুমি আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা দুই ভাই, দুই বোন। ভাইবোনের মধ্যে রমজান তৃতীয়। পরিবারে প্রায় ৬-৭ শতক জায়গা রয়েছে। বাবা আজিজ বেঁচে থাকতেই দুই বোনকে বিয়ে দেন। ২০১৩ সালে বাবা মারা গেলে সংসারের ভার পড়ে রমজানের ওপর। কৃষিশ্রমিক হিসেবে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। এরপর সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ধারদেনা করে ২০১৮ সালে সৌদি আরব যান। গত বছরের শেষদিকে পাঁচ মাসের ছুটি নিয়ে দেশে আসেন।
সুমি বলেন, দেশে এসে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন রমজান। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে কাজ শেষ করতে পারেননি। পরিবার থেকে রমজানকে বিয়ের কথা বলা হলে তিনি বিয়ে করেননি। রমজান বলেছিলেন, ‘আগে বাড়ির কাজ শেষ করি, এরপর বিয়ে করব।’ এরপর ফের সৌদি আরব চলে যান রমজান।
গত শুক্রবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের হুফুপ সানাইয়ার আল মনসুরা শিল্প তালুকে অবস্থিত একটি ফার্নিচারের কারখানায় প্রতিদিনের মতো অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাজে যান। সেখানে অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশি নয়জনের মধ্যে রমজানের নামও রয়েছে।
রমজানের বোন সুমি আক্তার আরও জানান, গত মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে ইট কেনা নিয়ে শেষ কথা হয়েছিল রমজানের। এরপর আর কথা হয়নি। গত শুক্রবার সকালে জানতে পারি রমজান কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
সুমি বলেন, ‘আমার ভাই রমজানের স্বপ্ন ছিল বাড়ির কাজ শেষ হলে দেশে এসে বিয়ে করবেন। কিন্তু আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার সঙ্গে আমাদের স্বপ্নগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দ্রুত ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনার জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমরা নিহত পরিবারের কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে এসেছি। এ ছাড়া দ্রুত যেন মরদেহ দেশে আনা যায় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
শুক্রবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের হুফুপ সানাইয়ার আল মনসুরা শিল্প তালুকে অবস্থিত একটি ফার্নিচারের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশি নয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে আত্রাই উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের রমজান আলী এবং একই উপজেলার উদয়পুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার নিহত হন।
২০১৮ সালে সৌদি আরব যান রমজান আলী (৩৩)। গত বছরের শেষের দিকে পাঁচ মাসের ছুটি নিয়ে দেশে এসে বাড়ির কাজ শুরু করেছিলেন। কথা ছিল ছুটি শেষে সৌদি আরব গিয়ে বাড়ির অসমাপ্ত কাজ শেষ হলে দেশে এসে বিয়ে করবেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু সুখে কাটাবেন। কিন্তু সেই সুখ আর এল না রমজানের জীবনে। আগুন কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। সৌদি আরবে এক অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজ প্রামাণিকের ছেলে রমজান।
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, রমজান আলীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একদিকে বাড়িতে লোকজনের ভিড়, অন্যদিকে স্বজনদের আহাজারি। কিছুতেই যেন থামছে না পরিবার ও স্বজনদের কান্না। শোকে থমথমে হয়ে আছে পুরো গ্রামবাসী।
রমজান আলীর বড় বোন সুমি আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা দুই ভাই, দুই বোন। ভাইবোনের মধ্যে রমজান তৃতীয়। পরিবারে প্রায় ৬-৭ শতক জায়গা রয়েছে। বাবা আজিজ বেঁচে থাকতেই দুই বোনকে বিয়ে দেন। ২০১৩ সালে বাবা মারা গেলে সংসারের ভার পড়ে রমজানের ওপর। কৃষিশ্রমিক হিসেবে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। এরপর সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ধারদেনা করে ২০১৮ সালে সৌদি আরব যান। গত বছরের শেষদিকে পাঁচ মাসের ছুটি নিয়ে দেশে আসেন।
সুমি বলেন, দেশে এসে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন রমজান। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে কাজ শেষ করতে পারেননি। পরিবার থেকে রমজানকে বিয়ের কথা বলা হলে তিনি বিয়ে করেননি। রমজান বলেছিলেন, ‘আগে বাড়ির কাজ শেষ করি, এরপর বিয়ে করব।’ এরপর ফের সৌদি আরব চলে যান রমজান।
গত শুক্রবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের হুফুপ সানাইয়ার আল মনসুরা শিল্প তালুকে অবস্থিত একটি ফার্নিচারের কারখানায় প্রতিদিনের মতো অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কাজে যান। সেখানে অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশি নয়জনের মধ্যে রমজানের নামও রয়েছে।
রমজানের বোন সুমি আক্তার আরও জানান, গত মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে ইট কেনা নিয়ে শেষ কথা হয়েছিল রমজানের। এরপর আর কথা হয়নি। গত শুক্রবার সকালে জানতে পারি রমজান কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
সুমি বলেন, ‘আমার ভাই রমজানের স্বপ্ন ছিল বাড়ির কাজ শেষ হলে দেশে এসে বিয়ে করবেন। কিন্তু আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার সঙ্গে আমাদের স্বপ্নগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দ্রুত ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনার জন্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমরা নিহত পরিবারের কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে এসেছি। এ ছাড়া দ্রুত যেন মরদেহ দেশে আনা যায় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
শুক্রবার সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের হুফুপ সানাইয়ার আল মনসুরা শিল্প তালুকে অবস্থিত একটি ফার্নিচারের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশি নয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে আত্রাই উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের রমজান আলী এবং একই উপজেলার উদয়পুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার নিহত হন।
চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মো. ইস্রাফিল (৩৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগেজামালপুরের বকশীগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে (এনসিপি) আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ ...
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে (২৬) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩২ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার গভীর রাত থেকে ভোররাতের কোনো একসময় উপজেলার মাওনা দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে