মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
এক সময়ের আগ্রাসী পদ্মা নদী এখন মরুর মতো ধু-ধু বালুচর। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও খানিকটা পানির বিস্তৃতি। উৎস ও উজান থেকে পর্যাপ্ত পানি না আসায় নদী ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। জেগে উঠছে বালু। পদ্মায় পানি সংকটের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরও তিন নদীর অস্তিত্ব এখন প্রায় বিলীন।
স্থানীয়রা বলছেন, নদী অববাহিকার লাখো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পদ্মায় স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার অন্য কোনো বিকল্প নেই।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে মাস তিনেকের জন্য পানি থাকলেও বছরের নয় মাসই তলানিতে থাকছে পদ্মা নদীর পানি। এ নদীতে ঘোলা পানি আর স্বচ্ছ পানির মায়াবী দৃশ্য আর নেই। স্রোতহীন বয়ে যাচ্ছে এক সময়ের প্রমত্ত পদ্মা। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে বালুচরের সৃষ্টি হয়েছে। পানি শূন্য পদ্মায় আটকে যাচ্ছে পাথরবাহী জাহাজ। মাঝ নদীতে গোসল করছে শিশুরা।
পদ্মা মরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহানন্দার অস্তিত্ব প্রায় বিলীন। আর পাগলা নদীর আগের পাগলামিও নেই। পূর্ণভবা নদীরও একই চিত্র। এসব নদীতে বর্ষার সময় কিছু পানি থাকলেও সারা বছর থাকে শুকনো। নৌকা নয় চলে চাষাবাদ। ভারতের অংশে ফারাক্কা বাঁধ দেওয়ার কারণে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদী অস্তিত্ব হারানোর পথে।
এবারও পদ্মায় মাস তিনেকের জন্য যৌবন এসেছিল। কিন্তু ফাল্গুন মাসেই নদীর পানি তলানিতে। সামনে রয়েছে খরা মৌসুমে চৈত্র বৈশাখ। তখন ‘কি মরণ দশা হবে’ তা নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নদী তীরবর্তী মানুষের কপালে। বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিতে। হারিয়ে গেছে অর্ধশত বেশি প্রজাতির মাছ। নৌ-যোগাযোগ আর নেই। নদীর বুকে আবাদ হয় ধানসহ বিভিন্ন ফসলের।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী মহানন্দা নদী নাব্য হারিয়ে মরা খালে পরিণত হওয়ার পথে। বালু ও পলি জমে ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। কমে যাচ্ছে পানির প্রবাহ। নদীর বুকে জেগে উঠছে চর। স্থানীয় কৃষকেরা সেই চরেই ফলাচ্ছেন ফসল।
স্থানীয় এক কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জমি মহানন্দা নদী ভাঙনে তলিয়ে যায়। পরে ১৯৭২ সালের জরিপে খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে আর সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। নদীতে চর পড়ায় আমরা পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেয়ে চাষাবাদ করছি।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, পলি জমে ভরাট হওয়ার কারণে এ মহানন্দা নদীর অস্তিত্বই এখন বিলীন হওয়ার পথে। ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর তলদেশে এখন বোরো ধান, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করছেন কৃষকেরা। নদীর বুকে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নদীপাড়ের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় এ নদীতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ ছিল। তা দিয়ে চাষাবাদ করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হতো। নদীর তলদেশে পলি জমে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। মহানন্দা নদী বাংলাদেশ ভারতের একটি আন্তসীমান্ত নদী। ভারতের দার্জিলিং, কিশানগঞ্জ, কাটিহার, মালদহ অতিক্রম করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করে। এ নদী এক সময় ছিল প্রবল খরস্রোতা এবং নদী পাড়ের মানুষের কাছে ছিল আতঙ্ক। বর্তমানে এ নদী নাব্য হারিয়ে ফেলায় বর্ষাকালে এর ভয়াল রূপ আর চোখ পড়ে না। মহানন্দা নদীর ঢেউ এখন শুধুই স্মৃতি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, উৎস থেকে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় নদীর গতিপথ বদলে গেছে। দীর্ঘদিন ড্রেজিং না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে দুই কূল উপচে পড়ে, আবার শুষ্ক মৌসুমে এসব নদীতে পানি থাকে না। প্রতি বছরই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। পদ্মা নদী তীর রক্ষায় ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। মহানন্দায় পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে রাবারড্যাম নির্মাণকাজ চলছে।
এক সময়ের আগ্রাসী পদ্মা নদী এখন মরুর মতো ধু-ধু বালুচর। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও খানিকটা পানির বিস্তৃতি। উৎস ও উজান থেকে পর্যাপ্ত পানি না আসায় নদী ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। জেগে উঠছে বালু। পদ্মায় পানি সংকটের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরও তিন নদীর অস্তিত্ব এখন প্রায় বিলীন।
স্থানীয়রা বলছেন, নদী অববাহিকার লাখো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পদ্মায় স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার অন্য কোনো বিকল্প নেই।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে মাস তিনেকের জন্য পানি থাকলেও বছরের নয় মাসই তলানিতে থাকছে পদ্মা নদীর পানি। এ নদীতে ঘোলা পানি আর স্বচ্ছ পানির মায়াবী দৃশ্য আর নেই। স্রোতহীন বয়ে যাচ্ছে এক সময়ের প্রমত্ত পদ্মা। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে বালুচরের সৃষ্টি হয়েছে। পানি শূন্য পদ্মায় আটকে যাচ্ছে পাথরবাহী জাহাজ। মাঝ নদীতে গোসল করছে শিশুরা।
পদ্মা মরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহানন্দার অস্তিত্ব প্রায় বিলীন। আর পাগলা নদীর আগের পাগলামিও নেই। পূর্ণভবা নদীরও একই চিত্র। এসব নদীতে বর্ষার সময় কিছু পানি থাকলেও সারা বছর থাকে শুকনো। নৌকা নয় চলে চাষাবাদ। ভারতের অংশে ফারাক্কা বাঁধ দেওয়ার কারণে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদী অস্তিত্ব হারানোর পথে।
এবারও পদ্মায় মাস তিনেকের জন্য যৌবন এসেছিল। কিন্তু ফাল্গুন মাসেই নদীর পানি তলানিতে। সামনে রয়েছে খরা মৌসুমে চৈত্র বৈশাখ। তখন ‘কি মরণ দশা হবে’ তা নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নদী তীরবর্তী মানুষের কপালে। বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিতে। হারিয়ে গেছে অর্ধশত বেশি প্রজাতির মাছ। নৌ-যোগাযোগ আর নেই। নদীর বুকে আবাদ হয় ধানসহ বিভিন্ন ফসলের।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী মহানন্দা নদী নাব্য হারিয়ে মরা খালে পরিণত হওয়ার পথে। বালু ও পলি জমে ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। কমে যাচ্ছে পানির প্রবাহ। নদীর বুকে জেগে উঠছে চর। স্থানীয় কৃষকেরা সেই চরেই ফলাচ্ছেন ফসল।
স্থানীয় এক কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জমি মহানন্দা নদী ভাঙনে তলিয়ে যায়। পরে ১৯৭২ সালের জরিপে খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে আর সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। নদীতে চর পড়ায় আমরা পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেয়ে চাষাবাদ করছি।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, পলি জমে ভরাট হওয়ার কারণে এ মহানন্দা নদীর অস্তিত্বই এখন বিলীন হওয়ার পথে। ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর তলদেশে এখন বোরো ধান, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করছেন কৃষকেরা। নদীর বুকে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নদীপাড়ের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় এ নদীতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ ছিল। তা দিয়ে চাষাবাদ করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হতো। নদীর তলদেশে পলি জমে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। মহানন্দা নদী বাংলাদেশ ভারতের একটি আন্তসীমান্ত নদী। ভারতের দার্জিলিং, কিশানগঞ্জ, কাটিহার, মালদহ অতিক্রম করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করে। এ নদী এক সময় ছিল প্রবল খরস্রোতা এবং নদী পাড়ের মানুষের কাছে ছিল আতঙ্ক। বর্তমানে এ নদী নাব্য হারিয়ে ফেলায় বর্ষাকালে এর ভয়াল রূপ আর চোখ পড়ে না। মহানন্দা নদীর ঢেউ এখন শুধুই স্মৃতি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, উৎস থেকে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় নদীর গতিপথ বদলে গেছে। দীর্ঘদিন ড্রেজিং না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে দুই কূল উপচে পড়ে, আবার শুষ্ক মৌসুমে এসব নদীতে পানি থাকে না। প্রতি বছরই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। পদ্মা নদী তীর রক্ষায় ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। মহানন্দায় পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে রাবারড্যাম নির্মাণকাজ চলছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে