নাটোর প্রতিনিধি
কাঁচাগোল্লা—নাম শুনলেই এসে যায় নাটোরের কথা। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড কিংবা নৌঘাট—সবখানেই নাটোরের নামে বিক্রি হয় কাঁচাগোল্লা। তবে শুধু নাটোরের মানুষই বুঝতে পারেন কাঁচাগোল্লার নামে কী বিক্রি হচ্ছে। আসল-নকল যা-ই হোক, দেশের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্নগুলো সারা দেশে অন্তত একই রকম আকারে বিক্রি হতে দেখা যায়। শুধু ব্যতিক্রম নাটোরের কাঁচাগোল্লা। উপকরণে তো হয়ই, আকারেও এর বিকৃতি হচ্ছে।
কাঁচা ছানা থেকে তৈরি মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লা গোলাকার নয়। কিন্তু চিনি মেশানো কাঁচা ছানা ছোট বলের মতো তৈরির পর ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ নামে বিক্রি ঠেকাতে এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে এবার মিলল স্বীকৃতি।
দেশের ১৭তম জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা। গত ৮ আগস্ট মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন নাটোর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে পাঠানো হয়।
কাঁচাগোল্লার জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন নাটোরের সাবেক ও রাজশাহীর বর্তমান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। গত ৩০ মার্চ অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মাধ্যমে নাটোরের কাঁচাগোল্লার জিআই আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
চার পুরুষ ধরে মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাটোরের ঐতিহ্যবাহী জয় কালী মিষ্টান্ন ভান্ডার। জিআই স্বীকৃতির ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এই দোকানের বর্তমান স্বত্বাধিকারী প্রভাত কুমার পাল বলেন, জিআই আবেদন অনেক আগেই করা দরকার ছিল। কেননা, বিভিন্ন রকমের মানহীন মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। তাতে নাটোরের কাঁচাগোল্লার সুনাম নষ্ট হয়। এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিকৃত আকারে উৎপাদন বন্ধ হবে। দেশের মানুষ আসল কাঁচাগোল্লা চিনে কিনতে পারবে।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, কাঁচাগোল্লা জিআই তালিকাভুক্ত হলো। এর মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা বাড়বে। এসংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোরের সাবেক জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লার ইতিহাস সমৃদ্ধ হওয়ায় নাটোর থেকে বিদায়ের আগে জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। অবশেষে জিআই স্বীকৃতি এল। নাটোরের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্নের স্বীকৃতি আদায়ে ভূমিকা রাখায় আনন্দিত বোধ করছি।’
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞা বলেন, নাটোরের ঐতিহ্য ধরে রেখে উৎপাদকেরা কাঁচাগোল্লা প্রস্তুত করেন। কিন্তু বাইরে বিকৃত আকারে কাঁচাগোল্লা বিক্রি হয় বলে বিভিন্ন সময়ে শোনা যায়। জেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বিকৃতি রোধ করা হবে।
কাঁচাগোল্লা—নাম শুনলেই এসে যায় নাটোরের কথা। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড কিংবা নৌঘাট—সবখানেই নাটোরের নামে বিক্রি হয় কাঁচাগোল্লা। তবে শুধু নাটোরের মানুষই বুঝতে পারেন কাঁচাগোল্লার নামে কী বিক্রি হচ্ছে। আসল-নকল যা-ই হোক, দেশের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্নগুলো সারা দেশে অন্তত একই রকম আকারে বিক্রি হতে দেখা যায়। শুধু ব্যতিক্রম নাটোরের কাঁচাগোল্লা। উপকরণে তো হয়ই, আকারেও এর বিকৃতি হচ্ছে।
কাঁচা ছানা থেকে তৈরি মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লা গোলাকার নয়। কিন্তু চিনি মেশানো কাঁচা ছানা ছোট বলের মতো তৈরির পর ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লা’ নামে বিক্রি ঠেকাতে এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে এবার মিলল স্বীকৃতি।
দেশের ১৭তম জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের কাঁচাগোল্লা। গত ৮ আগস্ট মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন নাটোর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে পাঠানো হয়।
কাঁচাগোল্লার জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন নাটোরের সাবেক ও রাজশাহীর বর্তমান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। গত ৩০ মার্চ অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মাধ্যমে নাটোরের কাঁচাগোল্লার জিআই আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
চার পুরুষ ধরে মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাটোরের ঐতিহ্যবাহী জয় কালী মিষ্টান্ন ভান্ডার। জিআই স্বীকৃতির ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এই দোকানের বর্তমান স্বত্বাধিকারী প্রভাত কুমার পাল বলেন, জিআই আবেদন অনেক আগেই করা দরকার ছিল। কেননা, বিভিন্ন রকমের মানহীন মিষ্টি কাঁচাগোল্লা নামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। তাতে নাটোরের কাঁচাগোল্লার সুনাম নষ্ট হয়। এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিকৃত আকারে উৎপাদন বন্ধ হবে। দেশের মানুষ আসল কাঁচাগোল্লা চিনে কিনতে পারবে।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, কাঁচাগোল্লা জিআই তালিকাভুক্ত হলো। এর মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে কাঁচাগোল্লার ব্র্যান্ডিং ও চাহিদা বাড়বে। এসংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোরের সাবেক জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাটোরের কাঁচাগোল্লার ইতিহাস সমৃদ্ধ হওয়ায় নাটোর থেকে বিদায়ের আগে জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। অবশেষে জিআই স্বীকৃতি এল। নাটোরের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্নের স্বীকৃতি আদায়ে ভূমিকা রাখায় আনন্দিত বোধ করছি।’
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞা বলেন, নাটোরের ঐতিহ্য ধরে রেখে উৎপাদকেরা কাঁচাগোল্লা প্রস্তুত করেন। কিন্তু বাইরে বিকৃত আকারে কাঁচাগোল্লা বিক্রি হয় বলে বিভিন্ন সময়ে শোনা যায়। জেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বিকৃতি রোধ করা হবে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে