রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহীর পবা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মচারীরা বেপরোয়া ঘুষ-বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া এই অফিসে কোনো দলিল নড়ে না। প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রি করতে দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে বণ্টন হয়ে যায়। টাকা না দিলে দলিলে ইচ্ছা করে ভুল করা কিংবা দলিল আটকে রেখে হয়রানির ঘটনাও ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের পেশকার মাহবুবুর রশিদ, নকলনবিশ মো. নাদিম, নাসরিন খাতুন, চুক্তিভিত্তিক অফিস সহায়ক মো. কামরুল ও মৌখিক চুক্তিতে কাজ করা কর্মচারী মো. রনি ও মো. মামুন শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
দলিল লেখকেরা জানান, দলিল রেজিস্ট্রির সরকারি ফি ২৮৮ টাকা। কিন্তু এখানে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এই টাকা আদায় করেন রনি, মামুন ও নাদিম। অতিরিক্ত টাকা না দিলে তাঁরা দলিলে অযৌক্তিকভাবে নানা ভুল দেখিয়ে হয়রানি করেন।
সরেজমিনে গত ২৫ এপ্রিল সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়ে দলিল লেখকদের কাছ থেকে দলিলপ্রতি দেড় হাজার টাকা নিতে দেখা যায়। সপ্তাহের দুই দিন এই অফিসে দুই শতাধিক দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এ ছাড়া অফিসটিতে দলিলপ্রতি ৫০০ টাকা ঘুষ আদায় করা হয় সাব-রেজিস্ট্রারের নামেও।
দলিল লেখকেরা জানান, শুধু ঘুষের টাকা আদায়ের জন্য মামুন, নাদিম ও রনিকে বছরের পর বছর মৌখিক চুক্তিতে রাখা হয়েছে। কোনো পদ কিংবা নিয়োগ না থাকা রনি ও মামুনই অফিসের হর্তাকর্তা। এ দুজন এখন প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে গেছেন। ঘুষের টাকায় তাঁরা বিলাসী জীবন যাপন করেন।
তারা আরও জানান, সকালে দলিল জমা দেওয়ার পরে রনি, মামুন ও নাদিম সেগুলো চেক করেন। এই কাজে তারা ঢিলেমি করেন। এর মধ্যেই দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য এজলাস বসে যায়। ওই তিনজনের ঢিলেমির কারণে দলিল রেজিস্ট্রিতে দেরি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা সারা দিন ধরে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন। আবার ১-২ হাজার টাকা ঘুষ দিলে তাঁরা পেছনের সিরিয়ালের দলিল আগে রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করে দেন।
সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গত ২৫ এপ্রিল দুটি দলিলের জাবেদা নকল তুলতে এসেছিলেন পবার নওহাটা পিল্লাপাড়া মহল্লার এক বাসিন্দা। তিনি জানান, এদিন তাঁকে দুটি দলিলই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘুষ না দেওয়ার কারণে পেলেন একটি দলিল। সেটি হাতে নিয়ে দেখেন, দলিলে প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর, রেজিস্ট্রার নম্বর ও খারিজ কেস নম্বর ভুল। তিনি দাবি করেন, ঘুষ না দেওয়ার কারণে কর্মচারী রনি ও মামুন ইচ্ছা করেই তাঁর দলিলে ভুল করেছিলেন। এখন তাঁকে আবার স্ট্যাম্প কিনে ভুল সংশোধন করে নিতে হলো।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, দলিলের নকলের আবেদন করার পর কর্মচারীদের ঘুষ না দিলে তাঁরা মাসের পর মাস ঘোরাতে থাকেন। বলতে থাকেন, দলিল এখনো হয়নি বা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ঘুষ দিলে সঙ্গে সঙ্গেই দলিল বের করে এনে দেওয়া হয়। দলিলে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে ১০ থেকে ২০ হাজার চুক্তি করে ঘুষ নিয়ে কাজ করে দেওয়া হয়। জমি বিনিময় কিংবা বণ্টনের সময় ইচ্ছেমতো ঘুষ আদায় করেন কর্মচারীরা। কোন সেবার জন্য কত টাকা ফি লাগবে, এ রকম কোনো মূল্যতালিকা ২৮ এপ্রিল অফিসের কোথাও দেখা যায়নি।
দলিল রেজিস্ট্রির অতিরিক্ত ফি ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে রনি বলেন, ‘আমি কোনো ঘুষ আদায় করি না। আর রেজিস্ট্রি ফি তো আমি আদায় করি না। এটা পেশকার আদায় করেন। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় কি না, তা পেশকার বলতে পারবেন।’ রনি জানান, তাঁর ও মামুনের কোনো নিয়োগ নেই। সপ্তাহের দুই দিন অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। সেদিন সাব-রেজিস্ট্রার তাঁদের ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে দেন। এই দিয়ে তাঁরা সংসার চালান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পেশকার মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘অফিসে ছয়-সাতজন লোক। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিতেও পারে। তবে সেটা আমি জানি না। আমি অতিরিক্ত টাকা নিই না।’ বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান বলেন, ‘কোনো হয়রানি কিংবা ঘুষ আদায়ের বিষয়ে আমি জানি না। আমার চোখে পড়েও না। আমার নামে কেউ টাকা আদায় করে কি না, সেটিও জানি না।’ কোনো প্রমাণ থাকলে তা নিয়ে তিনি এই প্রতিবেদককে তাঁর অফিসে সাক্ষাৎ করার পরামর্শ দেন। সাব-রেজিস্ট্রার দাবি করেন, কোন সেবার জন্য কত টাকা ফি, তার মূল্যতালিকা টানানো আছে।
রাজশাহীর পবা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মচারীরা বেপরোয়া ঘুষ-বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া এই অফিসে কোনো দলিল নড়ে না। প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রি করতে দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে বণ্টন হয়ে যায়। টাকা না দিলে দলিলে ইচ্ছা করে ভুল করা কিংবা দলিল আটকে রেখে হয়রানির ঘটনাও ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের পেশকার মাহবুবুর রশিদ, নকলনবিশ মো. নাদিম, নাসরিন খাতুন, চুক্তিভিত্তিক অফিস সহায়ক মো. কামরুল ও মৌখিক চুক্তিতে কাজ করা কর্মচারী মো. রনি ও মো. মামুন শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
দলিল লেখকেরা জানান, দলিল রেজিস্ট্রির সরকারি ফি ২৮৮ টাকা। কিন্তু এখানে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এই টাকা আদায় করেন রনি, মামুন ও নাদিম। অতিরিক্ত টাকা না দিলে তাঁরা দলিলে অযৌক্তিকভাবে নানা ভুল দেখিয়ে হয়রানি করেন।
সরেজমিনে গত ২৫ এপ্রিল সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়ে দলিল লেখকদের কাছ থেকে দলিলপ্রতি দেড় হাজার টাকা নিতে দেখা যায়। সপ্তাহের দুই দিন এই অফিসে দুই শতাধিক দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এ ছাড়া অফিসটিতে দলিলপ্রতি ৫০০ টাকা ঘুষ আদায় করা হয় সাব-রেজিস্ট্রারের নামেও।
দলিল লেখকেরা জানান, শুধু ঘুষের টাকা আদায়ের জন্য মামুন, নাদিম ও রনিকে বছরের পর বছর মৌখিক চুক্তিতে রাখা হয়েছে। কোনো পদ কিংবা নিয়োগ না থাকা রনি ও মামুনই অফিসের হর্তাকর্তা। এ দুজন এখন প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে গেছেন। ঘুষের টাকায় তাঁরা বিলাসী জীবন যাপন করেন।
তারা আরও জানান, সকালে দলিল জমা দেওয়ার পরে রনি, মামুন ও নাদিম সেগুলো চেক করেন। এই কাজে তারা ঢিলেমি করেন। এর মধ্যেই দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য এজলাস বসে যায়। ওই তিনজনের ঢিলেমির কারণে দলিল রেজিস্ট্রিতে দেরি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা সারা দিন ধরে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন। আবার ১-২ হাজার টাকা ঘুষ দিলে তাঁরা পেছনের সিরিয়ালের দলিল আগে রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করে দেন।
সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গত ২৫ এপ্রিল দুটি দলিলের জাবেদা নকল তুলতে এসেছিলেন পবার নওহাটা পিল্লাপাড়া মহল্লার এক বাসিন্দা। তিনি জানান, এদিন তাঁকে দুটি দলিলই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘুষ না দেওয়ার কারণে পেলেন একটি দলিল। সেটি হাতে নিয়ে দেখেন, দলিলে প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর, রেজিস্ট্রার নম্বর ও খারিজ কেস নম্বর ভুল। তিনি দাবি করেন, ঘুষ না দেওয়ার কারণে কর্মচারী রনি ও মামুন ইচ্ছা করেই তাঁর দলিলে ভুল করেছিলেন। এখন তাঁকে আবার স্ট্যাম্প কিনে ভুল সংশোধন করে নিতে হলো।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, দলিলের নকলের আবেদন করার পর কর্মচারীদের ঘুষ না দিলে তাঁরা মাসের পর মাস ঘোরাতে থাকেন। বলতে থাকেন, দলিল এখনো হয়নি বা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ঘুষ দিলে সঙ্গে সঙ্গেই দলিল বের করে এনে দেওয়া হয়। দলিলে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে ১০ থেকে ২০ হাজার চুক্তি করে ঘুষ নিয়ে কাজ করে দেওয়া হয়। জমি বিনিময় কিংবা বণ্টনের সময় ইচ্ছেমতো ঘুষ আদায় করেন কর্মচারীরা। কোন সেবার জন্য কত টাকা ফি লাগবে, এ রকম কোনো মূল্যতালিকা ২৮ এপ্রিল অফিসের কোথাও দেখা যায়নি।
দলিল রেজিস্ট্রির অতিরিক্ত ফি ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে রনি বলেন, ‘আমি কোনো ঘুষ আদায় করি না। আর রেজিস্ট্রি ফি তো আমি আদায় করি না। এটা পেশকার আদায় করেন। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় কি না, তা পেশকার বলতে পারবেন।’ রনি জানান, তাঁর ও মামুনের কোনো নিয়োগ নেই। সপ্তাহের দুই দিন অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। সেদিন সাব-রেজিস্ট্রার তাঁদের ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে দেন। এই দিয়ে তাঁরা সংসার চালান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পেশকার মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘অফিসে ছয়-সাতজন লোক। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিতেও পারে। তবে সেটা আমি জানি না। আমি অতিরিক্ত টাকা নিই না।’ বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান বলেন, ‘কোনো হয়রানি কিংবা ঘুষ আদায়ের বিষয়ে আমি জানি না। আমার চোখে পড়েও না। আমার নামে কেউ টাকা আদায় করে কি না, সেটিও জানি না।’ কোনো প্রমাণ থাকলে তা নিয়ে তিনি এই প্রতিবেদককে তাঁর অফিসে সাক্ষাৎ করার পরামর্শ দেন। সাব-রেজিস্ট্রার দাবি করেন, কোন সেবার জন্য কত টাকা ফি, তার মূল্যতালিকা টানানো আছে।
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৩ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৭ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে