Ajker Patrika

পাবনায় জামায়াতের ওয়ার্ড কার্যালয় ভাঙচুর

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২: ০৪
ভাঙচুর করা বাড়িঘর, দোকান, অটো গ্যারেজ ও জামায়াতের অফিস। আজ দুপুরে পাবনার হেমায়েতপুর থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা বাড়িঘর, দোকান, অটো গ্যারেজ ও জামায়াতের অফিস। আজ দুপুরে পাবনার হেমায়েতপুর থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনায় জামায়াতে ইসলামীর একটি ওয়ার্ড শাখার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির এক নেতাসহ সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন জড়িত বলে জামায়াত নেতাদের অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপির নেতারা। পুলিশ বলেছে, জমির বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

জামায়াতের পেশাজীবী সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের পাবনা পৌর শাখার সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারি, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে।’

সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই জামায়াত নেতা।

তবে আজ রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা জানান।

ভাঙচুর করা বাড়িঘর, দোকান, অটো গ্যারেজ ও জামায়াতের অফিস। আজ দুপুরে পাবনার হেমায়েতপুর থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা বাড়িঘর, দোকান, অটো গ্যারেজ ও জামায়াতের অফিস। আজ দুপুরে পাবনার হেমায়েতপুর থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সঞ্জয় কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল কয়েক দিন ধরে। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জামায়াত নেতার সরবরাহ করা লিখিত অভিযোগ অনুসারে, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে।

হামলাকারীরা একটি মুদিদোকান ও একটি অটোরিকশার গ্যারেজ ভাঙচুর-লুটপাট করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর তারা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে, যার মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ করিমের বাড়িও আছে।

ভাঙচুর করা বাড়িঘর, দোকান, অটো গ্যারেজ ও জামায়াতের অফিস। আজ দুপুরে পাবনার হেমায়েতপুর থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা বাড়িঘর, দোকান, অটো গ্যারেজ ও জামায়াতের অফিস। আজ দুপুরে পাবনার হেমায়েতপুর থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তবে জামায়াতের এই হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী।

মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে, তখন থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এর বেশি কিছু নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত