Ajker Patrika

রাজশাহীতে দাবি আদায়ে আন্দোলনে আইএইচটির শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ৪৩
রাজশাহীতে দাবি আদায়ে আন্দোলনে আইএইচটির শিক্ষার্থীরা

ঝোপঝাড়ে ভরপুর গোটা ক্যাম্পাস। ল্যাব আছে কিন্তু যন্ত্রপাতি নেই। তাই হাতেকলমে কিছু শেখার সুযোগ নেই শিক্ষার্থীদের। মেয়েদের জন্য নেই কমনরুম কিংবা আলাদা শৌচাগার। ক্লাস কখন হবে তার কোনো রুটিন নেই। আগের রাতে মেসেঞ্জারে শিক্ষার্থীদের জানানো হয় ক্লাসের সময়। শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে আসেন যখন যার খুশি। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে রাজশাহীর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)।

এ সব বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে হঠাৎ ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর লক্ষ্মীপুর টিবিপুকুর এলাকায় প্যারামেডিকেল নামে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। আন্দোলনে সব বিভাগের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। 

তারা ১১ দফা দাবি জানান। এই আন্দোলন করতে গিয়ে হঠাৎ দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ছাত্রলীগের মধ্যস্থতায় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের সঙ্গে বসে কিছু দাবি আদায় করেন। বাকি দাবিগুলোও পূরণে অধ্যক্ষ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, এখানে ৭টি বিভাগে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এ ছাড়া বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজির শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনা করেন। কিন্তু ল্যাবে তেমন যন্ত্রপাতি নেই। এক্স-রেসহ কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও তা রাখার জায়গা নেই। ফলে এসব ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা হাতেকলেম শেখার সুযোগ পায় না। এক ঘণ্টা পর পর ক্লাস হয়। ঝোপঝাড়ে ভরা এই ক্যাম্পাসে এক ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা কোথায় বসবেন সে জায়গা নেই। মেয়েদের কমন রুমও নেই। নেই আলাদা শৌচাগার। ফলে তারা সমস্যায় পড়েন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা কখন আসেন কখন যান তার কোনো ঠিক নেই। ক্লাসের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আগে থেকে কোনো রুটিন দেওয়া হয় না। আগের রাতে মেসেঞ্জার গ্রুপে ক্লাসের সময় জানান শিক্ষক। তারা ইচ্ছেমতো ক্লাস নেন। কারও মোবাইল ফোন নষ্ট কিংবা ইন্টারনেট না থাকলে ওই শিক্ষার্থী ক্লাস মিস করেন। এই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করেন। বিএসসি পর্বের শিক্ষার্থীরাও তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। 

আন্দোলন চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রেডিওলজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুবাইদা তন্দ্রা ও ডেন্টাল বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বীথি খাতুন। এ সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীদের এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হকের সঙ্গে বসেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবীন সবুজ। এ সময় আইএইচটি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তারা অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এরপর তাৎক্ষণিকভাবে কর্মচারীদের একটি শৌচাগারকে শুধু ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। পড়ে থাকা একটি কক্ষকে মেয়েদের কমন রুম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আগেই ক্লাস রুটিন দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সহায়তা চাইবেন বলে জানান অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, প্রশাসনিক বিষয়গুলো তিনি দেখে দ্রুতই সমাধান করবেন। আর অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন দরকার তার জন্য রাজশাহীর জনপ্রতিনিধি এবং গণপূর্তের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। অধ্যক্ষের এসব আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকারাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবীন সবুজ বলেন, ‘রাজশাহীতে এটি খুবই বড় একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পড়াশোনার মান ভালো না। শিক্ষার্থীরা এখানে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে না। অথচ চিকিৎসা ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে একজন ডাক্তার। রোগী এলেই আগে বলি এটা-ওটা টেস্ট করে আনেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে এই টেস্টগুলো করেন আইএইচটি থেকে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরাই। তাই তাদেরও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা দরকার। তা না হলে রিপোর্ট ভালো হবে না। চিকিৎসা ভালো হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছিলাম। অধ্যক্ষ তিনটি দাবি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিয়েছেন। অন্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য যা করা দরকার তিনি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি রাজশাহীর সিটি মেয়র ও সংসদ সদস্যের সঙ্গে বসবেন বলেছেন।’

আইএইচটির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মোট ১১টি দাবি জানিয়েছি। কয়েকটা ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে। বাকিগুলো পূরণের ব্যাপারে অধ্যক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করব। তারপর সব দাবি পূরণ না হলে আবার আন্দোলন করব।’

অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এসেছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের নেগোসিয়েশন হয়ে গেছে। এখন কোনো সমস্যা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের বাসায় দুর্বৃত্তের আগুন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ কাজ করেছে বলে দাবি করেন প্রীতম সোহাগ।

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কে বা কারা বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেয়। এতে আমার স্ত্রীর স্যান্ডেল, পাপোশ পুড়ে যায়। এ ছাড়া ওপরে থাকা বিদ্যুতের কার্ড মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আগুন নিভে যায়। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানান।’

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘ধারণা করছি, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। যারা রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে উঠছে না। তবে এসবে আমি ভীত নই। যারা এই হীন কাজ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।’

আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশের ভিডিও করে প্রীতম সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজস্ব আইডিতে আজ সকাল ৭টার দিকে পোস্ট করেন। এতে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এনসিপি নেতার বাড়ির গেটে আগুন দিয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনদুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে তাঁদের হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১২
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত