প্রতিনিধি
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ): সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনা নদীর করালগ্রাসে শুধু ভিটেমাটি নয়, একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষের স্বপ্ন। প্রতিদিনই যেন যমুনার করালগ্রাস স্বপ্নগুলো টুকরো টুকরো করে খেয়ে ফেলছে।
গত কয়েক দিনে উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, হাটবাজার, কাঁচা-পাকা সড়ক, আবাদি জমিসহ বহু স্থাপনা। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর ভেঙে আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর ব্যাপক ভাঙনের সময় বাঘুটিয়া ও খাসপুকুরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার জিয়ো ব্যাগ ফেলা হলেও তা নদীতে ভেসে যায়।
চৌহালী উপজেলা সিরাজগঞ্জের হলেও তা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে, যার কারণে চৌহালীকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে অভিমত এলাকাবাসীর। এদিকে হুমকির মধ্যে আছে চরবিনানই, চরসলিমাবাদ, চরনাকালিয়া, রেহাইপুখুরিয়া, মিটুয়ানি, দেওয়ানগঞ্জ ও খাসপুখুরিয়া গ্রাম। ঘরবাড়ি হারিয়ে ভাঙনকবলিত মানুষ অনেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সহায়–সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব এসব মানুষ ছেলেমেয়ে নিয়ে খেয়ে–না খেয়ে মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজছেন। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁরা আরও বলেন, এই মুহূর্তে যদি ভাঙন রোধে কাজ না করা হয়, তাহলে বর্ষা মৌসুমেই বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বাকি অংশটুকু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আসবাবপত্র অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন, এভাবে ভাংতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই অস্তিত্ব হারাব আমরা, অন্য জেলায় বসবাস করতে হবে আমাদের। এখন আমাদের প্রাণের দাবি একটাই, চৌহালীতে স্থায়ী বেড়িবাধ চাই।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর দক্ষিণ এলাকায় প্রায় পাচঁ কিলোমিটার নদীভাঙন রয়েছে। এই জায়গায় ভাঙন রোধে ৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার একটি অস্থায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি অনুমোদন হবে বলে আমরা আশা করছি।
চৌহালী (সিরাজগঞ্জ): সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনা নদীর করালগ্রাসে শুধু ভিটেমাটি নয়, একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষের স্বপ্ন। প্রতিদিনই যেন যমুনার করালগ্রাস স্বপ্নগুলো টুকরো টুকরো করে খেয়ে ফেলছে।
গত কয়েক দিনে উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, হাটবাজার, কাঁচা-পাকা সড়ক, আবাদি জমিসহ বহু স্থাপনা। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর ভেঙে আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর ব্যাপক ভাঙনের সময় বাঘুটিয়া ও খাসপুকুরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার জিয়ো ব্যাগ ফেলা হলেও তা নদীতে ভেসে যায়।
চৌহালী উপজেলা সিরাজগঞ্জের হলেও তা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে, যার কারণে চৌহালীকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে অভিমত এলাকাবাসীর। এদিকে হুমকির মধ্যে আছে চরবিনানই, চরসলিমাবাদ, চরনাকালিয়া, রেহাইপুখুরিয়া, মিটুয়ানি, দেওয়ানগঞ্জ ও খাসপুখুরিয়া গ্রাম। ঘরবাড়ি হারিয়ে ভাঙনকবলিত মানুষ অনেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সহায়–সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব এসব মানুষ ছেলেমেয়ে নিয়ে খেয়ে–না খেয়ে মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজছেন। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁরা আরও বলেন, এই মুহূর্তে যদি ভাঙন রোধে কাজ না করা হয়, তাহলে বর্ষা মৌসুমেই বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বাকি অংশটুকু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আসবাবপত্র অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন, এভাবে ভাংতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই অস্তিত্ব হারাব আমরা, অন্য জেলায় বসবাস করতে হবে আমাদের। এখন আমাদের প্রাণের দাবি একটাই, চৌহালীতে স্থায়ী বেড়িবাধ চাই।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর দক্ষিণ এলাকায় প্রায় পাচঁ কিলোমিটার নদীভাঙন রয়েছে। এই জায়গায় ভাঙন রোধে ৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার একটি অস্থায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি অনুমোদন হবে বলে আমরা আশা করছি।
প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।
৪৩ মিনিট আগেশ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে ভাঙছে ইট, গড়ে উঠছে দালান, সেতু, রাস্তা। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এই পরিশ্রমের কাজ করেও জোড়া লাগেনি তাঁদের ভাগ্য। এখান থেকে পাওয়া সামান্য আয়ে তাঁরা কোনোরকমে ধরে রেখেছেন সংসারের হাল।
১ ঘণ্টা আগেসড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৯ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৯ ঘণ্টা আগে