Ajker Patrika

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রচার চালাতে না দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রচার চালাতে না দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচনে প্রচার চালাতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁর প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছেন। মিথ্যা মামলা দিয়েও তাঁর সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস। তিনি পৌরসভার প্রয়াত মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী। আওয়ামী লীগ নেতা বাবু পৌরসভার টানা দুইবারের মেয়র ছিলেন। 

প্রথমবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েই তিনি মেয়র হয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি। তাই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়ে মেয়র হন। এর দুই মাসের মাথায় তিনি ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা যান। তাই এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে প্রয়াত মেয়রের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁর প্রতীক নারকেল গাছ। ভোটগ্রহণ আগামী ৭ অক্টোবর। 

সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এলাকার মানুষ তাঁর স্বামীকে খুব ভালোবাসতেন। এলাকার মানুষের ইচ্ছায় তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এখন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থকেরা তাঁকে প্রচার চালাতে দিচ্ছেন না। তাঁর তিনটি মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব ওয়ার্ডে লাগানো পোস্টার নামিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টো হয়রানি করতে তাঁর ৫১ জন সমর্থকের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁর সমর্থকেরা নাকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর একটি নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছেন। এখন পুলিশ তাঁর কর্মীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। ভয়ে কেউ তাঁর সঙ্গে মাঠে নামতে পারছেন না। 

অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবার পঞ্চমবারের মতো মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আগের চারবারের প্রতিবারই হেরেছেন। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলে একজন ধরে জানান, তিনি নির্বাচনী সভায় ব্যস্ত। কথা বলতে পারবেন না। 

পুলিশের হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ সত্য নয়। যাঁদের নামে মামলা হয়েছে শুধু তাদেরই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর নির্বাচনের পরিবেশ খুব ভালো। কোথাও কোনো সমস্যা তো এখনো পর্যন্ত দেখছি না।’ 

এই উপনির্বাচনে আরও দুজন মেয়র প্রার্থী আছেন। তাঁরা হলেন-মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া রুলু ও জগ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জামায়াত অবশ্য আমিনুল ইসলামকে বহিষ্কার করেছে। তিনি এই পৌরসভার সাবেক মেয়র। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত