Ajker Patrika

চোখে আঘাত পাওয়া রাবির ৩ শিক্ষার্থীর বিদেশে চিকিৎসার খরচ দেবে প্রশাসন 

রাবি প্রতিনিধি
চোখে আঘাত পাওয়া রাবির ৩ শিক্ষার্থীর বিদেশে চিকিৎসার খরচ দেবে প্রশাসন 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় চোখে আঘাত পাওয়া ৩ শিক্ষার্থীকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা। চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের পরামর্শের পর আহত শিক্ষার্থীদের ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তাঁদের ভারতে চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

চোখে আঘাত পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ইসলাম, ফারসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেসবাহুল ও মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম। 

জানা গেছে, আহত তিন শিক্ষার্থীর চোখে ‘ভিট্রিয়ল রেটিনাল’ ইনজুরির কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৪ মার্চ তাঁদের ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। তবে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে গত বুধবার সেখান থেকে তাঁদের ফেরত পাঠিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আল আমিন ও মেসবাহুল রাজশাহীতে ফিরেছেন। আলিমুল ঢাকায় পাসপোর্টের কাজ সেরে খুলনায় নিজ বাড়িতে গেছেন। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আল আমিন ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন আমরা বুঝতে পারিনি গুলি করা হবে। আকস্মিক আমাদের ওপর হামলা করা হয়। হামলার পর আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে পিলেট (বন্দুকে ব্যবহৃত ছোট গুলি) রয়েছে। গলার নিচে প্রায় ২০-৩০টা পিলেট রয়েছে। ঢাকায় আমাদের তেমন কোনো চিকিৎসা করা হয়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খরচ বহন করতে চেয়েছে। 

ফার্সি বিভাগের মেসবাহুল বলেন, ঢাকায় যাওয়ার পর নতুন কোনো চিকিৎসা হয়নি, যা হওয়ার রাজশাহীতেই হয়েছে। চোখে এখনো গুলির পিলেট আছে। ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। 

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা কোনো ঝুঁকি নিতে চান না, অপারেশন করতে হবে। সে জন্য ভারতে সার্জারি করতে ও চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। 

মার্কেটিং বিভাগের আলিমুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, যোগাযোগও করেননি। বর্তমানে তিনি খুলনায় তাঁর বাড়িতে রয়েছেন। তাঁর ভারতে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করা হয়ে গেছে। অতিদ্রুত তিনি যাবেন। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আল আমিন ও মেসবাহুলের পরিবারের সদস্যরা এসেছিলেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন শিক্ষার্থীর বিদেশে চিকিৎসার খরচ দেবে। সাধ্যের মধ্যে থাকলে শতভাগ খরচই দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুজনকে পাসপোর্ট করতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত