গণেশ দাস, বগুড়া
বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম পাঁচখুর। ৩০০ পরিবারের বসবাস এই গ্রামে। গ্রামটিতে ঢুকতেই সড়কের দুই পাশে দেখা মিলবে শত শত তালগাছ। গ্রামের লোকজন সড়কের পাশে, ফাঁকা জায়গায় ও পতিত জমিতে তালের বীজ রোপণ করে। এসব তালগাছের পাতার ডাঁটা থেকে বের করা আঁশ দিয়ে ঘরে বসেই নারীরা তৈরি করেন নানা রকমের শৌখিন তৈজসপত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নারীদের তৈরি করা এসব তৈজসপত্র দেশে চাহিদা কম থাকলেও দেশের বাইরে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
পাঁচখুর গ্রামের বাসিন্দা হাদিসা বেগম নামের এক নারী জানান, তাঁর স্বামী দুবাই থাকেন। সংসারের কাজের ফাঁকে তালের পাতার আঁশ দিয়ে তৈরি করেন টেবিল ম্যাট। প্রতিদিন চারটি টেবিল ম্যাট তৈরি করে তিনি আয় করেন ১৫০ টাকা।
বৃষ্টি খাতুন নামের এক নারী জানান, ১২ বছর আগে পাঁচখুর গ্রামে বিয়ে হয় তাঁর। শ্বশুরবাড়ি আসার পর দেখতে পান শাশুড়ি-ননদ থেকে শুরু করে প্রতিবেশী সব নারী তালগাছের আঁশ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন। তাঁদের দেখে বৃষ্টি বেগমও এই কাজ শুরু করেন। বৃষ্টি খাতুন বলেন, ‘অবসর সময়ে পণ্য তৈরি করে টাকা পাই। এতে স্বামীর কাছে টাকা চাইতে হয় না।’
বৃষ্টির মতোই পাঁচখুর গ্রামের পারভিন খাতুন, কুলসুম বিবি, মায়া বেগম, লাভলী বেগম ও মিনারা বেগম তালপাতার ডাঁটার আঁশ দিয়ে টুপি, টেবিল ম্যাট, ঝুড়িসহ নানা ধরনের খেলনা এবং ঘরে ব্যবহারিক তৈজসপত্র বানাচ্ছেন।
এসব তৈজসপত্র বানানোর কারিগরেরা জানান, গ্রামের সব বাড়িতেই তালপাতার ডাঁটা থেকে পাওয়া আঁশ দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হয় বছরের বারো মাস। তালপাতার ডাঁটা কিছুটা শুকানোর পর হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে আঁশ বের করা হয়। পরে তা রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকম তৈজসপত্র।
পাঁচখুর গ্রামের তৈরি এসব পণ্য সংগ্রহ করে রপ্তানিকারকদের সরবরাহ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী। তিনি বলেন, গ্রামের এই শিল্প প্রায় শত বছরের পুরোনো। এক সময় টুপি এবং গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত পণ্য তৈরি হতো স্বল্প পরিসরে। দিনে দিনে চাহিদা বাড়ায় এখন তৈরি হচ্ছে বাহারি পণ্য। এই পণ্য এখন দেশ ছাড়িয়ে জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
ইউনুস বলেন, ‘আমার বাবা ছহির উদ্দিন ৫০ বছর এই পেশায় ছিলেন। বাবাও তালের আঁশ দিয়ে টুপি তৈরি করতেন। বাবা ও দাদার পেশা ধরে রাখতে আমিও এই পেশায় যুক্ত হয়েছি। তবে আমি নিজে তৈরি করি না। কর্মীদের মাধ্যমে তৈরি করে বিক্রি করি।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই গ্রামের তৈরি করা পণ্য পরিবেশবান্ধব। গ্রামের প্রতিটি পরিবার স্বাবলম্বী হওয়ায় তাদের ঋণের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে তারা বিসিকের সহযোগিতা নিতে আসেনি। তার পরেও গ্রাম পরিদর্শন করে তাদের কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম পাঁচখুর। ৩০০ পরিবারের বসবাস এই গ্রামে। গ্রামটিতে ঢুকতেই সড়কের দুই পাশে দেখা মিলবে শত শত তালগাছ। গ্রামের লোকজন সড়কের পাশে, ফাঁকা জায়গায় ও পতিত জমিতে তালের বীজ রোপণ করে। এসব তালগাছের পাতার ডাঁটা থেকে বের করা আঁশ দিয়ে ঘরে বসেই নারীরা তৈরি করেন নানা রকমের শৌখিন তৈজসপত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নারীদের তৈরি করা এসব তৈজসপত্র দেশে চাহিদা কম থাকলেও দেশের বাইরে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
পাঁচখুর গ্রামের বাসিন্দা হাদিসা বেগম নামের এক নারী জানান, তাঁর স্বামী দুবাই থাকেন। সংসারের কাজের ফাঁকে তালের পাতার আঁশ দিয়ে তৈরি করেন টেবিল ম্যাট। প্রতিদিন চারটি টেবিল ম্যাট তৈরি করে তিনি আয় করেন ১৫০ টাকা।
বৃষ্টি খাতুন নামের এক নারী জানান, ১২ বছর আগে পাঁচখুর গ্রামে বিয়ে হয় তাঁর। শ্বশুরবাড়ি আসার পর দেখতে পান শাশুড়ি-ননদ থেকে শুরু করে প্রতিবেশী সব নারী তালগাছের আঁশ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন। তাঁদের দেখে বৃষ্টি বেগমও এই কাজ শুরু করেন। বৃষ্টি খাতুন বলেন, ‘অবসর সময়ে পণ্য তৈরি করে টাকা পাই। এতে স্বামীর কাছে টাকা চাইতে হয় না।’
বৃষ্টির মতোই পাঁচখুর গ্রামের পারভিন খাতুন, কুলসুম বিবি, মায়া বেগম, লাভলী বেগম ও মিনারা বেগম তালপাতার ডাঁটার আঁশ দিয়ে টুপি, টেবিল ম্যাট, ঝুড়িসহ নানা ধরনের খেলনা এবং ঘরে ব্যবহারিক তৈজসপত্র বানাচ্ছেন।
এসব তৈজসপত্র বানানোর কারিগরেরা জানান, গ্রামের সব বাড়িতেই তালপাতার ডাঁটা থেকে পাওয়া আঁশ দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হয় বছরের বারো মাস। তালপাতার ডাঁটা কিছুটা শুকানোর পর হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে আঁশ বের করা হয়। পরে তা রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকম তৈজসপত্র।
পাঁচখুর গ্রামের তৈরি এসব পণ্য সংগ্রহ করে রপ্তানিকারকদের সরবরাহ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী। তিনি বলেন, গ্রামের এই শিল্প প্রায় শত বছরের পুরোনো। এক সময় টুপি এবং গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত পণ্য তৈরি হতো স্বল্প পরিসরে। দিনে দিনে চাহিদা বাড়ায় এখন তৈরি হচ্ছে বাহারি পণ্য। এই পণ্য এখন দেশ ছাড়িয়ে জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
ইউনুস বলেন, ‘আমার বাবা ছহির উদ্দিন ৫০ বছর এই পেশায় ছিলেন। বাবাও তালের আঁশ দিয়ে টুপি তৈরি করতেন। বাবা ও দাদার পেশা ধরে রাখতে আমিও এই পেশায় যুক্ত হয়েছি। তবে আমি নিজে তৈরি করি না। কর্মীদের মাধ্যমে তৈরি করে বিক্রি করি।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই গ্রামের তৈরি করা পণ্য পরিবেশবান্ধব। গ্রামের প্রতিটি পরিবার স্বাবলম্বী হওয়ায় তাদের ঋণের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে তারা বিসিকের সহযোগিতা নিতে আসেনি। তার পরেও গ্রাম পরিদর্শন করে তাদের কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চুরির অভিযোগে এক যুবককে গণপিটুনি নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম রাহিম (২২)। তিনি দক্ষিণ বারপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
৩ মিনিট আগেগতকাল সোয়া ১টার দিকে টঙ্গী-গাজীপুর রুটে চলাচল করা ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাসের ড্রাইভারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আঘাত পেয়ে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে রাত সাড়ে ৮টায় উত্তরা পশ্চিম থানায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। এ সময় আসামিদে
৪ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৫ জনকে ছাঁটাই ও মামলা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ মামলায় পুলিশ আজ বুধবার সাত শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে। যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সোলায়মান কবির বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় মাম
১০ মিনিট আগেমাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪র্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। সাক্ষ্য দিয়েছেন মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেলের তিন জন চিকিৎসক। যারা শিশুটির চিকিৎসা করেছিলেন।
৩০ মিনিট আগে