তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাফিজুর রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষক ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে দুই বাউলশিল্পী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান কাস্তা গ্রামের বাসিন্দা এবং কাস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি ৭ নম্বর মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিলের বড় ভাই।
স্থানীয়রা জানান, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের বাউলশিল্পী কামনা সরকার (২৮), তাঁর স্বামী বাবু সরকার, আরেক শিল্পী উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের ঘোনা কালজানি গ্রামের রাঙা হোসেনের মেয়ে বন্যা খাতুনকে নিয়ে তাড়াশের ভোগলমান গ্রামের এক স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে কাস্তা বাজারে এসে নাজমুল নামে তাঁদের একজন যন্ত্রসংগীত বাদ্যকরের সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে থাকা শিক্ষক হাফিজুর রহমান শিল্পী কামনা সরকার ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বেশভূষা (সাজসজ্জা) নিয়ে কটূক্তি করেন। ওই শিল্পীরা প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের গালাগালি করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষকের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৬) ঘটনাস্থলে এসে বাবার সঙ্গে মিলে শিল্পীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ঘটনার সময় শিল্পী কামনা সরকার শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও তাঁর ছেলেকে সংযত হয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় হাফিজুর রহমান শিল্পী কামনার পেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পাশাপাশি বাবা-ছেলে মিলে দুই শিল্পীকে মারধর করেন। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রাকিবুল ইসলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে শিল্পী কামনা সরকারকে স্থানান্তর করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাউলশিল্পীরা আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। তাই আমার ছেলে তাঁদের দুই-একটি চড়-থাপ্পড় মেরেছে। তবে গুরুতর আহত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আহত এক শিল্পীকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে শিল্পীরা গালাগালি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়ে শিল্পী কামনা সরকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজ উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগও করেননি।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাফিজুর রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষক ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে দুই বাউলশিল্পী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান কাস্তা গ্রামের বাসিন্দা এবং কাস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি ৭ নম্বর মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিলের বড় ভাই।
স্থানীয়রা জানান, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের বাউলশিল্পী কামনা সরকার (২৮), তাঁর স্বামী বাবু সরকার, আরেক শিল্পী উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের ঘোনা কালজানি গ্রামের রাঙা হোসেনের মেয়ে বন্যা খাতুনকে নিয়ে তাড়াশের ভোগলমান গ্রামের এক স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে কাস্তা বাজারে এসে নাজমুল নামে তাঁদের একজন যন্ত্রসংগীত বাদ্যকরের সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে থাকা শিক্ষক হাফিজুর রহমান শিল্পী কামনা সরকার ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বেশভূষা (সাজসজ্জা) নিয়ে কটূক্তি করেন। ওই শিল্পীরা প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের গালাগালি করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষকের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৬) ঘটনাস্থলে এসে বাবার সঙ্গে মিলে শিল্পীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ঘটনার সময় শিল্পী কামনা সরকার শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও তাঁর ছেলেকে সংযত হয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় হাফিজুর রহমান শিল্পী কামনার পেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। পাশাপাশি বাবা-ছেলে মিলে দুই শিল্পীকে মারধর করেন। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রাকিবুল ইসলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে শিল্পী কামনা সরকারকে স্থানান্তর করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাউলশিল্পীরা আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। তাই আমার ছেলে তাঁদের দুই-একটি চড়-থাপ্পড় মেরেছে। তবে গুরুতর আহত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আহত এক শিল্পীকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে শিল্পীরা গালাগালি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়ে শিল্পী কামনা সরকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজ উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগও করেননি।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
১৫ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১৮ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
২৯ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৩৩ মিনিট আগে