Ajker Patrika

‘রাজশাহীতে নামতেই স্বস্তি লাগছে’

রাজশাহী প্রতিনিধি
‘রাজশাহীতে নামতেই স্বস্তি লাগছে’

‘স্টেশনে ১৬ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছিলাম। তারপর হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠি। সিটে বসে থাকলেও ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রীরা। চরম গরমে এভাবেই এলাম। এখন রাজশাহীতে নামতেই স্বস্তি লাগছে। এত ভোগান্তির সবই ভুলে গেলাম।’ —শুক্রবার দুপুর ১২টায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী এসে স্টেশনে নেমে এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন পবা উপজেলার নওহাটা এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার আলী। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢাকায় কর্মরত জুলফিকার ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। 

ঢাকা-রাজশাহী রুটের পদ্মা এক্সপ্রেসের রাজশাহী পৌঁছানোর কথা ভোর সাড়ে ৪টায়। সেই ট্রেন আসে সকাল ৭টায়। তবুও যাত্রীদের কোনো অভিযোগ নেই। রাজশাহী ফিরতে পেরেছেন এটিই বড় কথা। স্টেশনে নেমেই একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে আনিকা তাবাসসুম নামের এক তরুণী বললেন, ‘অবশেষে রাজশাহী! ঈদের সময় ট্রেনে বাড়ি ফেরাটা যুদ্ধে জয়লাভ করার মতো বিষয়। সেই যুদ্ধেই জয় করে এলাম। এ জন্য কষ্টটাও কম করতে হয়নি। ১০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছিলাম। পায়ে ব্যথা ধরে গিয়েছিল। শেষমেশ রাজশাহী এলাম। ঈদটা শেষ করে আবার ঠিকমতো ফিরতে পারলেই হয়।’ 

 স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে আসতে পেরে খুশি সবাইরাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম বলেন, ট্রেনগুলো প্রায় ঠিক সময়েই রাজশাহী আসছে। কোনো কোনো সময় কিছুটা হয়তো বিলম্ব হচ্ছে। ঈদের সময় এমনটা বিভিন্ন কারণেই হয়ে থাকে। তবে যাত্রীরা নিরাপদে ফিরতে পারছেন এতেই স্বস্তি। 

ট্রেনের যাত্রীদের মতো একইভাবে রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেও যাত্রীরা প্রাণের শহরে নেমে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন। তবে রাস্তায় কোথাও কোথাও যানজটের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

তুহিনুর আলম নামের এক ব্যক্তি সড়কপথে ঢাকা থেকে রাজশাহী এসে জানান, পুরো রাস্তা মোটামুটি ভালোই আছে। কিন্তু কোথাও কোথাও কাজ চলছে। সে কারণে যানজট দেখা দিয়েছে। ছয় ঘণ্টার পথ পার হয়ে এসেছেন সাড়ে ৯ ঘণ্টায়। তবুও তিনি খুশি। 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত