রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একটি আবাসিক হলে মধ্যরাতে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বাজাতে নিষেধ করায় এক সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের এ অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী। এ ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল তিন সাংবাদিক সংগঠন।
এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ঘটনাটি শুনেই তিনি হল প্রশাসনকে ডেকেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মারধরের শিকার রায়হান ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। অন্যজন দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন।
যাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁরা হলেন, ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন আকাশ, ছাত্রলীগের কর্মী সম্রাট, ইমরান, নাফিজ ও আমির হামজা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের ২১৬ নম্বর কক্ষে উচ্চশব্দে গান-বাজনা হচ্ছিল। তিনতলার ৩১৫ নম্বর কক্ষ থেকে শব্দ সহ্য করতে না পেরে আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলামকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় আসেন। ২১৬ নম্বর কক্ষে হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আকাশকে দেখে কোথায় গান বাজে তা জিজ্ঞেস করেন শাহাদাত। এ কথা জিজ্ঞেস করলে উভয়ের ওপর চড়াও হন এবং তুই তোকারি শুরু করেন আকাশ।
একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে ২১৬ নম্বর কক্ষ থেকে বের হন ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান ও সম্রাট। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে শাহাদাতের কানে সজোরে থাপ্পড় দেন ইমরান। ওই সময়ে পাশের কক্ষের (২১৭ নম্বর) সাংবাদিক রায়হান ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও ধাক্কা দেন ইমরান ও সম্রাট।
পরে অন্য সহযোগীদের ডাকেন আকাশ। পরে ২০৮ নম্বর কক্ষের নাজিম ও আমির হামজাসহ কয়েকজন মিলে অতর্কিতভাবে রায়হানকে মারধর করেন। এতে তিনি মাথায় ও চোখে আঘাত পান। এ ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা ও অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি জানান তাঁরা।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আল আমিন আকাশ বলেন, ‘সাংবাদিক রায়হানের সঙ্গে কিছু হয়নি। শাহাদাত ভাই এসে গান বাজানোর জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বিষয়টি নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ছাড়া মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে এ ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মী রায়হান ইসলামের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল তিন সাংবাদিক সংগঠন। তাঁরা আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান তাঁরা।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই হলের আবাসিক শিক্ষক ড. গৌতম দত্তকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
এ ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একটি আবাসিক হলে মধ্যরাতে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বাজাতে নিষেধ করায় এক সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের এ অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী। এ ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল তিন সাংবাদিক সংগঠন।
এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ঘটনাটি শুনেই তিনি হল প্রশাসনকে ডেকেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মারধরের শিকার রায়হান ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। অন্যজন দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন।
যাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁরা হলেন, ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন আকাশ, ছাত্রলীগের কর্মী সম্রাট, ইমরান, নাফিজ ও আমির হামজা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের ২১৬ নম্বর কক্ষে উচ্চশব্দে গান-বাজনা হচ্ছিল। তিনতলার ৩১৫ নম্বর কক্ষ থেকে শব্দ সহ্য করতে না পেরে আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলামকে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় আসেন। ২১৬ নম্বর কক্ষে হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আকাশকে দেখে কোথায় গান বাজে তা জিজ্ঞেস করেন শাহাদাত। এ কথা জিজ্ঞেস করলে উভয়ের ওপর চড়াও হন এবং তুই তোকারি শুরু করেন আকাশ।
একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে ২১৬ নম্বর কক্ষ থেকে বের হন ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান ও সম্রাট। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে শাহাদাতের কানে সজোরে থাপ্পড় দেন ইমরান। ওই সময়ে পাশের কক্ষের (২১৭ নম্বর) সাংবাদিক রায়হান ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও ধাক্কা দেন ইমরান ও সম্রাট।
পরে অন্য সহযোগীদের ডাকেন আকাশ। পরে ২০৮ নম্বর কক্ষের নাজিম ও আমির হামজাসহ কয়েকজন মিলে অতর্কিতভাবে রায়হানকে মারধর করেন। এতে তিনি মাথায় ও চোখে আঘাত পান। এ ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা ও অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি জানান তাঁরা।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আল আমিন আকাশ বলেন, ‘সাংবাদিক রায়হানের সঙ্গে কিছু হয়নি। শাহাদাত ভাই এসে গান বাজানোর জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বিষয়টি নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ছাড়া মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে এ ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মী রায়হান ইসলামের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল তিন সাংবাদিক সংগঠন। তাঁরা আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান তাঁরা।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই হলের আবাসিক শিক্ষক ড. গৌতম দত্তকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
এ ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। গতকাল সোমবার (২৩ জুন) ভুক্তভোগী ওই নারী নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। আদালত মাধবদী থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী খন্দকার
২ মিনিট আগেরাজশাহীর তানোর উপজেলার শতবর্ষী গোকুল-মথুরা খেলার মাঠ রক্ষায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
৫ মিনিট আগে২০২৫ সালের এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), ডিপ্লোমা ইন কমার্স ও আলিম পরীক্ষা ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে ঢাকা মহানগরীর ৮৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করাসহ ঢাকা মহানগরের সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখতে নগরবাসী
৭ মিনিট আগেবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হক দাবি করেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পরিকল্পিতভাবে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মামলা করেছে।
১৫ মিনিট আগে