Ajker Patrika

নারিকেলের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে ক্রেতা কম 

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট), প্রতিনিধি
নারিকেলের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে ক্রেতা কম 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তাই এ সময় হিন্দু পল্লির মন্দিরে মন্দিরে মা দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।  

শারদীয় দুর্গাপূজায় মা দুর্গাকে পূজার সময় হরেক রকমের ফলমূলে পাশাপাশি নারিকেল ও নারিকেলের নাড়ু দিতে হয়। শুধু মা দুর্গার জন্যই নয়, এ সময় বাড়িতে আগত অতিথিদের আপ্যায়নেও নারিকেল নাড়ুও রাখতে হয়।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ক্রেতাশূন্য দুর্গাপূজার নারিকেল বাজার। বাজারে দোকানিরা নারিকেলের পসরা সাজিয়ে রাখলেও দেখা মিলছে না ক্রেতাদের। 

এলাকা সূত্রে এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, বাজারে নারিকেলের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। গত পূজায় এক জোড়া নারিকেলের দাম ছিল আকার ভেদে ৫০, ৬০ বা ৭০ টাকা। সেই নারিকেল এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৮০, ১০০ বা ১২০ টাকায়। 

এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, 'আড়তে নারিকেলের দাম বেশি ধরায় আমরাও একটু বেশি দামেই বিক্রি করছি।' 

পাঁচবিবি পৌর শহরের দমদমা এলাকার উল্লাস হাজরা ও রাম কুন্ডু বলেন, 'আশ্বিন ও কার্তিক মাসে সংসারে অন্য মাসের তুলনায় অভাব দেখা দেয়। কিন্তু যতই অভাব হোক না কেন, মা দুর্গার পূজায় ফলমূল, মোয়া, নাড়ু, নারিকেল দিতে হয়। কিন্তু বাজারে নারিকেল বেশি মূল্যে কিনতে গিয়ে বিপাকে পরতে হচ্ছে আমাদের মতো সনাতন ধর্মের পরিবারের লোকদের। তারা আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর নারিকেলের দাম অনেক বেশি।' 

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি বাজারের নারিকেল বিক্রেতা ফিরোজ, জনি ও মুকুল বলেন, 'দুর্গাপূজা আর কয়েক দিন পর শুরু হবে। কিন্তু এখনো তেমন বিক্রয় শুরু হয়নি।' 

এ বিষয়ে নারিকেল বিক্রেতা ফিরোজ বলেন, 'খুলনার বাগেরহাট থেকে পূজা উপলক্ষে এক মাস আগে হাজার প্রতি পঞ্চাশ হাজার টাকা দরে ৮ হাজার নারিকেল মজুত করেছি। এর মধ্যে অনেক নারকেল নষ্ট থাকবে আবার আকারেও ছোট বড় থাকবে।' 

ফিরোজ আরও বলেন, 'এ পর্যন্ত ৮ হাজারের মধ্যে ১ হাজার নারিকেলও বিক্রয় করতে পারিনি। আজ সোমবার সকাল ৮টায় দোকান খুলেছি। এ পর্যন্ত ৩ ’টি নারিকেল বিক্রয় করেছি। তবে পূজার আগমূর্হুতে বিক্রয় ভালো হবে বলেও তিনি আশাবাদী।' 

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পাঁচবিবি উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক সুনীল রায় বলেন, এ বছর উপজেলায় ৭৩ ’টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। বাঁশ ও মাটির কাজ প্রায় শেষের পথে। অনেক মন্দিরে রঙের কাজও চলছে বলেও তিনি জানান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত