Ajker Patrika

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়: ৫ বার তালা ভেঙে খোলার পর এবার দরজাই উধাও

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ২১: ৩৪
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়: ৫ বার তালা ভেঙে খোলার পর এবার দরজাই উধাও

পরপর পাঁচবার তালা ভেঙে খুলতে হয়েছে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়। এবার কার্যালয় খোলার পর দরজাই উধাও হয়ে গেছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অনুসারীরা দরজা খুলে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়।

এদিকে দরজা খুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে জেলার আশানুরূপ পদ না পাওয়া নেতা–কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। 

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার ৪২ দিন পর আজ সোমবার অনুসারীদের নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। বিকেল ৫টার দিকে শহরের টেম্পল রোডে অবস্থিত কার্যালয়টির দরজা খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

জেলা ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা বলছেন, আজ বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত নেতা–কর্মী জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে যান। এ সময় তাঁরা তালাবদ্ধ কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে কার্যালয়ের সামনে টেম্পল রোডে অবস্থান নেন। পরে সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীরা গিয়ে ছাত্রলীগ কার্যালয়ের দরজা খুলে পাশের টাউন ক্লাবে রেখে দেন। 

জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতা–কর্মীদের পক্ষে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্যালয়ে কেউ না থাকার সুযোগে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দরজা ভেঙে ছাত্রলীগ অফিসে প্রবেশ করে। পরে তাদের সঙ্গে আসা কর্মীরা দরজা খুলে নিয়ে যায়।’ 

মাহফুজার আরও বলেন, ‘বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জেলা ছাত্রলীগ অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দরজা খুলে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এখন ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ 

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ের দরজা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছেজেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। কয়েক দিন পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা–কর্মীরা তালা ভেঙে ফেলেন। সর্বশেষ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত নেতা–কর্মীরা আবার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এভাবে পাঁচ দফা তালা দেওয়া এবং ভাঙার পর আজ সোমবার দরজার কপাটই খুলে নিয়ে যাওয়া হলো। কার্যালয়ে যাতে আর তালা ঝুলানো সম্ভব না হয় সে উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দরজা খুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় অভিযোগ অস্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দরজা কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে জানি না। আমাদের কোনো কর্মী দরজা খুলে নেয়নি। আমরা এখন থেকে প্রতিদিন অফিসে বসব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত