লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
মানসিক ভারসাম্যহীন মাজেরা খাতুনকে লোহার শেকলে বেঁধে মা হাজেরা খাতুন দিনমজুরের কাজে যান। আর বাবা বের হন গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে। শিকল ছিঁড়ে মায়ের খোঁজে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্তানকে না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন বাবা-মা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর মায়ের কোলে ফিরেছেন তিনি।
আজ রোববার মোল্লাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাজেরা খাতুনকে (২৮) দেখতে বাড়িতে প্রতিবেশী নারী-পুরুষের ঢল নেমেছে। মা হাজেরা খাতুন সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত। সন্তানকে বুকে টেনে নিয়ে আদর করছেন। অসুস্থ কঙ্কাল শরীরে ঘরের বারান্দায় শুয়ে আছেন মাজেরা। কথা বলতে পারছেন না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে সবাইকে দেখছেন।
হাজেরা খাতুন (৬৪) বলেন, মেয়ে মাজেরা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় হঠাৎ মাথাব্যথা বলে চিৎকার করতে থাকে। কিছুদিন পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলামি শুরু করে। কথা আড়ষ্ট হয়ে যায়। হঠাৎ করেই সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। অতিষ্ঠ হয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মা ধানের খোলায় দিনমজুরের কাজে যান। আর তাঁর বাবা রকশেদ আলী বের হন গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে। মাজেরার বয়স যখন ১৩ বছর, তখন তিনি শিকল ছিঁড়ে মাকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে যান।
হাজেরা খাতুন আরও বলেন, অসুস্থ মাজেরা কাউকে চিনতে পারছে না। কথাও বলতে পারছে না। তাঁকে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই।
দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়ার কালিহাটি গ্রামের মেয়ে মলেজান বেগমের বিয়ে হয়েছে মাজেরাদের গ্রাম মোল্লাপাড়ায়। মলেজানের মা আয়মনা বেগম চিকিৎসার জন্য পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। হাসপাতালে অসুস্থ মাজেরা খাতুনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখে চিনতে পেরে মেয়ে মলেজানের কাছে খবর দেন। মলেজানের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান মা হাজেরা। শনাক্তের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) ইমরান জাকারিয়া বলেন, পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের রাস্তার পাশে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন গত ২৮ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করেন মাজেরাকে। কথা বলতে না পারায় নাম-পরিচয়হীন মানসিক প্রতিবন্ধী মাজেরাকে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে শনাক্ত করলে গত ৬ অক্টোবর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মানসিক ভারসাম্যহীন মাজেরা খাতুনকে লোহার শেকলে বেঁধে মা হাজেরা খাতুন দিনমজুরের কাজে যান। আর বাবা বের হন গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে। শিকল ছিঁড়ে মায়ের খোঁজে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্তানকে না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন বাবা-মা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর মায়ের কোলে ফিরেছেন তিনি।
আজ রোববার মোল্লাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাজেরা খাতুনকে (২৮) দেখতে বাড়িতে প্রতিবেশী নারী-পুরুষের ঢল নেমেছে। মা হাজেরা খাতুন সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত। সন্তানকে বুকে টেনে নিয়ে আদর করছেন। অসুস্থ কঙ্কাল শরীরে ঘরের বারান্দায় শুয়ে আছেন মাজেরা। কথা বলতে পারছেন না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে সবাইকে দেখছেন।
হাজেরা খাতুন (৬৪) বলেন, মেয়ে মাজেরা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় হঠাৎ মাথাব্যথা বলে চিৎকার করতে থাকে। কিছুদিন পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলামি শুরু করে। কথা আড়ষ্ট হয়ে যায়। হঠাৎ করেই সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। অতিষ্ঠ হয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মা ধানের খোলায় দিনমজুরের কাজে যান। আর তাঁর বাবা রকশেদ আলী বের হন গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে। মাজেরার বয়স যখন ১৩ বছর, তখন তিনি শিকল ছিঁড়ে মাকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে যান।
হাজেরা খাতুন আরও বলেন, অসুস্থ মাজেরা কাউকে চিনতে পারছে না। কথাও বলতে পারছে না। তাঁকে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই।
দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়ার কালিহাটি গ্রামের মেয়ে মলেজান বেগমের বিয়ে হয়েছে মাজেরাদের গ্রাম মোল্লাপাড়ায়। মলেজানের মা আয়মনা বেগম চিকিৎসার জন্য পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। হাসপাতালে অসুস্থ মাজেরা খাতুনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখে চিনতে পেরে মেয়ে মলেজানের কাছে খবর দেন। মলেজানের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান মা হাজেরা। শনাক্তের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) ইমরান জাকারিয়া বলেন, পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের রাস্তার পাশে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন গত ২৮ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করেন মাজেরাকে। কথা বলতে না পারায় নাম-পরিচয়হীন মানসিক প্রতিবন্ধী মাজেরাকে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে শনাক্ত করলে গত ৬ অক্টোবর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে...
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। এরপরও মৎস্য বিভাগের ছয়টি হ্যাচারির মধ্যে মাত্র দুটি সচল। বাকিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলোয় ডিম ফোটানোর সাকুলার ও সিস্টেন ট্রাংকের অবস্থা করুণ।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে সমন্বিত মানবিক সহায়তা জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘হিউম্যানিটারিয়ান-ডেভেলপমেন্ট কোএক্সিসটেন্স নেক্সাস টু অ্যাড্রেস রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের যাত্রা...
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাবনগরের দুটি ব্লক এবং স্যানভ্যালির আংশিক জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৫ ঘণ্টা আগে