রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ সংক্রান্ত জটিলতায় পুরো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগগুলোর কেউ মুখ খুলছেন না। অনুষদের ডিন বলছেন, শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দিতে আসছে না। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পরীক্ষা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ফলাফল না পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১০ সিরিজের জামিল ও ১৩ সিরিজের সারওয়ার। জামিল রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও সারওয়ার ছাত্রলীগকর্মী বলে জানা গেছে।
এই দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফল প্রকাশ না হওয়ার বিষয়ে বিভাগের শিক্ষকেরা কোনো কারণ উল্লেখ করছেন না।
তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিভাগ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ওই দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়ার যোগ্যতা ছিল না। কিন্তু বিভাগের সাবেক সভাপতি তাঁদের প্রবেশপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে যোগ্যতা না থাকার বিষয়টি সামনে এলেই নিয়ম অনুযায়ীই তাঁদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রুয়েটে কোনো পরীক্ষা হতে না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন ওই দুই শিক্ষার্থী। এতে রুয়েট ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
গত ১৯ অক্টোবর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুষদভুক্ত পুরকৌশল, আর্কিটেকচার ও বিইসিএম বিভাগের ১৬ সিরিজের চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অনিবার্য কারণ উল্লেখ করা হয়। পরে অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮ সিরিজের চলমান পরীক্ষা ও আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের ১৬ সিরিজের সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এন এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসছে না। এ কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ১৯ অক্টোবর তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ পরীক্ষা দিতে না যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা আসতে থাকে বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে। কেউ পরীক্ষা দিতে গেলে সমস্যা হতে পারে এমনটাও জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা ভয়ে ওই দিনের পরীক্ষা দিতে আসেননি।
হুমকির বিষয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এন এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এমন কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জান যায়, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রুয়েট ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসফাক ইয়াসশির ইপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফল প্রকাশ করা হয়নি। বিভাগ থেকে বলা হয় শিক্ষার্থী নাকি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্য ছিল না, তাই ফল প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যদি একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতাই না থাকে তবে তাকে রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলো কেন? আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভাগ ও অনুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
পুরো অনুষদে পরীক্ষা স্থগিত কেন হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কেন স্থগিত করা হয়েছে, সেটি আমাদের জানা নেই।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ সংক্রান্ত জটিলতায় পুরো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগগুলোর কেউ মুখ খুলছেন না। অনুষদের ডিন বলছেন, শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দিতে আসছে না। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পরীক্ষা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ফলাফল না পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১০ সিরিজের জামিল ও ১৩ সিরিজের সারওয়ার। জামিল রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও সারওয়ার ছাত্রলীগকর্মী বলে জানা গেছে।
এই দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফল প্রকাশ না হওয়ার বিষয়ে বিভাগের শিক্ষকেরা কোনো কারণ উল্লেখ করছেন না।
তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিভাগ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ওই দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়ার যোগ্যতা ছিল না। কিন্তু বিভাগের সাবেক সভাপতি তাঁদের প্রবেশপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে যোগ্যতা না থাকার বিষয়টি সামনে এলেই নিয়ম অনুযায়ীই তাঁদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রুয়েটে কোনো পরীক্ষা হতে না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন ওই দুই শিক্ষার্থী। এতে রুয়েট ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
গত ১৯ অক্টোবর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুষদভুক্ত পুরকৌশল, আর্কিটেকচার ও বিইসিএম বিভাগের ১৬ সিরিজের চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অনিবার্য কারণ উল্লেখ করা হয়। পরে অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮ সিরিজের চলমান পরীক্ষা ও আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের ১৬ সিরিজের সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এন এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসছে না। এ কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ১৯ অক্টোবর তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের একটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ পরীক্ষা দিতে না যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা আসতে থাকে বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে। কেউ পরীক্ষা দিতে গেলে সমস্যা হতে পারে এমনটাও জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা ভয়ে ওই দিনের পরীক্ষা দিতে আসেননি।
হুমকির বিষয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এন এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এমন কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জান যায়, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রুয়েট ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসফাক ইয়াসশির ইপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার পরও ফল প্রকাশ করা হয়নি। বিভাগ থেকে বলা হয় শিক্ষার্থী নাকি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্য ছিল না, তাই ফল প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যদি একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতাই না থাকে তবে তাকে রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলো কেন? আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভাগ ও অনুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
পুরো অনুষদে পরীক্ষা স্থগিত কেন হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কেন স্থগিত করা হয়েছে, সেটি আমাদের জানা নেই।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৪১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে