Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের ‘কালো কাকের’ সঙ্গে তুলনা, ভুল স্বীকার রাবি শিক্ষকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ক্লাসে কালো বোরকা পরা শিক্ষার্থীদের ‘কালো কাকের’ সঙ্গে তুলনা করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ টি এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত বুধবার মাস্টার্সের ‘বি’ গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিভাগের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টায় ২০৪ নম্বর কক্ষে এ টি এম রফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় কালো বোরকা পরা শিক্ষার্থীদের ‘কালো কাকের’ সঙ্গে তুলনা করে অপদস্থ করেন তিনি। এ ছাড়া বিভাগের এক সিনিয়র শিক্ষকের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।

অভিযোগে ভুক্তভোগীরা বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে থাকাকালে বিভিন্ন সময় তাঁদের পরিবার, আর্থিক অবস্থা, পোশাক-পরিচ্ছদ, শারীরিক গঠন ইত্যাদি বিষয়ে অশালীন মন্তব্যের শিকার হতেন, যা অনেক সময় শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে কষ্ট দিত।

এ ছাড়া পোশাক দেখলেই বোঝা যায় কোন পরিবার থেকে এসেছ, বাবার কর্ম নিয়ে কটূক্তি করা, যাদের বাবা বিদেশে থাকে তারা তো মানুষ হয় না, শিক্ষার্থীদের টোকাই বলে সম্বোধন করা, দক্ষিণ বঙ্গের মানুষকে (বি-ক্লাস) বলে কটূক্তি করা, শিক্ষার্থীদের অশোভন ভাষায় তিরস্কার করা, শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর এবং নাম চিহ্নিত করে রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তাঁরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রফিকুল স্যারের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থী হিসেবে মনে করতেন না। আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করতেন এবং পছন্দের শিক্ষার্থীর খাতায় নম্বর বেশি দিতেন। গত দুই দিন আগেও আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। আমার বিভাগের সিনিয়র এক শিক্ষকের সঙ্গে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আর এটাকে কেন্দ্র করেই শিক্ষার্থীরা সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।’

সার্বিক বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুন্সি মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগে বিষয়টিকে আমরা আমলে নিয়ে জরুরি একাডেমিক সভা ডাকি।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চান এবং বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি একাডেমিক মিটিংয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত