শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সরকারি ভাতার টাকা হারাচ্ছেন অনেক সুবিধাভোগী। প্রতারক চক্র নানা কৌশলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ (জিডি) উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, অভিযোগের পর বেশ কয়েকজনের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসবের জন্য ভাতাভোগীদের অসচেতনতা ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার না জানাকে দায়ী করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
শিবগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৩ হাজার ৩৫৩ জন বয়স্ক, ৫ হাজার ৭২৩ জন বিধবা ও ৬ হাজার ১৭৭ ব্যক্তির নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে। কার্ডধারী প্রত্যেক বিধবা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা, বয়স্ক ৬০০ টাকা ও প্রতিবন্ধী ৮৫০ টাকা ভাতা পান। সেই হিসাবে তিন মাস পরপর এক বছরে চার কিস্তিতে তাঁদের টাকা দেওয়া হয়। এসব কার্ডধারীর মোবাইল ফোনে নগদ হিসাব নম্বরে ভাতার টাকা পাঠানো হয়। একশ্রেণির প্রতারক চক্র কৌশলে তাঁদের অনেকের কাছ থেকে সেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের দহপাড়া (আকন্দ পাড়া) গ্রামের রোকেয়া বেগম প্রতিবন্ধী ভাতা পান। তিনি বলেন, ‘আমার মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তি সমাজসেবা অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে কল করে বলে, আমার নাকি নতুন ভাতা বই তৈরি হচ্ছে। বই নম্বরটা তাঁকে এসএমএস করে দিতে বলেছে। পরে আমার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। সেই মেসেজ তাকে জানালে দেখি আমার টাকা নাই হয়ে গেছে। পরে এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। কিন্তু আজও টাকা ফেরত পাইনি।’
কিচক ইউনিয়নের চল্লিশছত্র ঘুঘারপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রেহেনা বেগম (৩৮) বলেন, ‘আমার নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়েছে। কীভাবে টাকা কাটল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ধারণা, সমাজসেবা অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত। তা না হলে ভাতাভোগীদের তালিকা ও মোবাইল নম্বর হ্যাকাররা কোথা থেকে সংগ্রহ করল?’
একই ইউনিয়নের মাটিয়ান উত্তরপাড়া গ্রামের ভাতাভোগী ইউসুফ আলী (৭০) বলেন, ‘আমি মোবাইলের তেমন কিছুই বুঝি না। এজেন্টকে পিন নম্বর বলি, এজেন্টই টাকা তুলে আমার হাতে দেয়। এবার আমি ভাতার টাকা পাইনি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, আমার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামের আসমা বেগম, চকপাড়া গ্রামের বাসু মিয়া, কাশিপুর গ্রামের জিল্লু মিয়া, কিচক ইউনিয়নের চল্লিশছত্র ঘুঘারপাড়া গ্রামের রেহেনা বেগম, মাটিয়ান পুকুরপাড়া গ্রামের মিজু আহমেদসহ উপজেলার অনেক ভাতাভোগীর টাকা এভাবেই প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, ‘ভাতাভোগীরা অসচেতন হওয়ায় বারবার এমনটি হচ্ছে। তা ছাড়া অনেক ভাতাভোগী মোবাইল ফোনের ব্যবহার জানেন না। আমরা বারবার তাঁদের সতর্ক করেছি, কিন্তু তাতে কোনো ফল হচ্ছে না।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যেই ভাতাভোগীদের টাকা হ্যাক হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৌশলে কয়েকজনের কিছু টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।’
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সরকারি ভাতার টাকা হারাচ্ছেন অনেক সুবিধাভোগী। প্রতারক চক্র নানা কৌশলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ (জিডি) উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, অভিযোগের পর বেশ কয়েকজনের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসবের জন্য ভাতাভোগীদের অসচেতনতা ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার না জানাকে দায়ী করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
শিবগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৩ হাজার ৩৫৩ জন বয়স্ক, ৫ হাজার ৭২৩ জন বিধবা ও ৬ হাজার ১৭৭ ব্যক্তির নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে। কার্ডধারী প্রত্যেক বিধবা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা, বয়স্ক ৬০০ টাকা ও প্রতিবন্ধী ৮৫০ টাকা ভাতা পান। সেই হিসাবে তিন মাস পরপর এক বছরে চার কিস্তিতে তাঁদের টাকা দেওয়া হয়। এসব কার্ডধারীর মোবাইল ফোনে নগদ হিসাব নম্বরে ভাতার টাকা পাঠানো হয়। একশ্রেণির প্রতারক চক্র কৌশলে তাঁদের অনেকের কাছ থেকে সেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের দহপাড়া (আকন্দ পাড়া) গ্রামের রোকেয়া বেগম প্রতিবন্ধী ভাতা পান। তিনি বলেন, ‘আমার মোবাইল ফোনে এক ব্যক্তি সমাজসেবা অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে কল করে বলে, আমার নাকি নতুন ভাতা বই তৈরি হচ্ছে। বই নম্বরটা তাঁকে এসএমএস করে দিতে বলেছে। পরে আমার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। সেই মেসেজ তাকে জানালে দেখি আমার টাকা নাই হয়ে গেছে। পরে এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। কিন্তু আজও টাকা ফেরত পাইনি।’
কিচক ইউনিয়নের চল্লিশছত্র ঘুঘারপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রেহেনা বেগম (৩৮) বলেন, ‘আমার নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়েছে। কীভাবে টাকা কাটল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার ধারণা, সমাজসেবা অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত। তা না হলে ভাতাভোগীদের তালিকা ও মোবাইল নম্বর হ্যাকাররা কোথা থেকে সংগ্রহ করল?’
একই ইউনিয়নের মাটিয়ান উত্তরপাড়া গ্রামের ভাতাভোগী ইউসুফ আলী (৭০) বলেন, ‘আমি মোবাইলের তেমন কিছুই বুঝি না। এজেন্টকে পিন নম্বর বলি, এজেন্টই টাকা তুলে আমার হাতে দেয়। এবার আমি ভাতার টাকা পাইনি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, আমার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামের আসমা বেগম, চকপাড়া গ্রামের বাসু মিয়া, কাশিপুর গ্রামের জিল্লু মিয়া, কিচক ইউনিয়নের চল্লিশছত্র ঘুঘারপাড়া গ্রামের রেহেনা বেগম, মাটিয়ান পুকুরপাড়া গ্রামের মিজু আহমেদসহ উপজেলার অনেক ভাতাভোগীর টাকা এভাবেই প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, ‘ভাতাভোগীরা অসচেতন হওয়ায় বারবার এমনটি হচ্ছে। তা ছাড়া অনেক ভাতাভোগী মোবাইল ফোনের ব্যবহার জানেন না। আমরা বারবার তাঁদের সতর্ক করেছি, কিন্তু তাতে কোনো ফল হচ্ছে না।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যেই ভাতাভোগীদের টাকা হ্যাক হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৌশলে কয়েকজনের কিছু টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে