প্রতিনিধি
বগুড়া সদর (বগুড়া): বগুড়ায় প্রচুর কলা চাষ হয়। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ জেলায় প্রায় ১১শ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়। এর মধ্যে শুধু শিবগঞ্জ উপজেলাতেই চাষ হয় ৫০০ হেক্টর জমিতে। এ ফসল চাষের সঙ্গে যুক্ত অন্তত পাঁচ হাজার চাষি। এখানে কলার কাঁদি সংগ্রহের পর গাছগুলো জমিতেই ফেলে রাখা হয়। এই গাছ পচে কিছুটা জৈবসারের প্রয়োজন মেটালেও পরিবেশ দূষণেও বড় ভূমিকা রাখে।
বগুড়ার শিবগঞ্জে ফেলে দেওয়া কলাগাছের বাকল থেকেই তৈরি হচ্ছে আঁশ। এই আঁশ থেকে তৈরি হচ্ছে ভ্যানিটি ব্যাগসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত পণ্য। আর আঁশ ছাড়ানোর পর বর্জ্য থেকে তৈরি করা হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচোসার)।
বগুড়ায় কলার গাছ থেকে আঁশ তৈরির উদ্যোগ শুরু করেছেন শিবগঞ্জের অর্জুনপুর গ্রামের বকুল হোসেন। পরিত্যক্ত কলাগাছ সংগ্রহ করে বাকল থেকে আঁশ সংগ্রহ করেন তিনি। সরকারের পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে ও বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএসের এসইপি প্রকল্পের সহযোগিতায় তিনি গড়ে তুলেছেন মেসার্স বকুল ফাইবার অ্যান্ড ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট। পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় কয়েকজন নারী ও পুরুষ তার প্ল্যান্টে কাজ করেন।
উদ্যোক্তা বকুল হোসেন বলেন, আগে কলার ছড়া সংগ্রহের পর চাষিরা গাছগুলো যত্রতত্র ফেলে দিতেন। এতে গাছগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াতো ও পরিবেশ দূষিত হতো। এখন ফেলে দেওয়া কলাগাছ থেকে সুতা এবং বর্জ্য থেকে সার তৈরি হয়।
বকুল জানান, একটি কলার গাছ থেকে তৈরি হয় ৪০০ গ্রাম আঁশ। ৯০ টাকা খরচে উৎপাদিত প্রতি কেজি আঁশ বিক্রি হয় ১৪০ টাকায়। পাশাপাশি এর পরিত্যক্ত অংশ, গোবর ও কেঁচো একটি সিমেন্টের রিংয়ের মাঝে ২১ দিন রেখে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। ৬০ কেজি বর্জ্য, পরিমাণমতো গোবর ও হাফ কেজি কেঁচোর মাধ্যমে ৪০ কেজি সার পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কলার গাছের আঁশ থেকে কাপড়, ঢেউটিন, হার্ডবোর্ডসহ ঘরের নানা আসবাবপত্র তৈরি করা সম্ভব। উৎপাদিত এসব পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে ভারতসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি হচ্ছে পোশাক, ভ্যানিটি ব্যাগ, জানালার পর্দা, ঘরের টেবিল-চেয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাবপত্র। দেশেও টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঠাকুরগাঁওসহ আরও কয়েকটি স্থানে কলাগাছ থেকে আঁশ ছাড়িয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি শিবগঞ্জের অর্জুনপুরে সরেজমিনে বকুল হোসেনের কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, দুটি মেশিনে কলাগাছ থেকে আঁশ ছড়াানো হচ্ছে। নিয়োজিত রয়েছেন পাঁচজন শ্রমিক। মেশিনে ছাড়ানো আঁশগুলো পানিতে ধোয়ার পর রোদে শুকানো হয়। এরপর সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় সুতা। সেই সুতায় তৈরি হয় নানা শৌখিন হস্তশিল্প।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন বলেন, বগুড়ায় প্রতিবছর ১১শ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়। ফাইবার তৈরির এই প্রযুক্তি বগুড়ায় বিকশিত হলে কলার গাছ থেকেও কলার সমানই আয় করা সম্ভব।
পিকেএসএফের পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমদ বলেন, দেশে-বিদেশে প্রাকৃতিক জিনিসপত্রের চাহিদা রয়েছে। আশা করি আরও বেশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে, ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসবে। এই শিল্প বিশ্বে একটি ভালো বাজার পাবে। এই প্রকল্পে সহায়তাকারী সংস্থা টিএমএসএসের উপনির্বাহী পরিচালক সোহরাব আলী খান বলেন, ফাইবার তৈরির এই পদ্ধতি প্রসার লাভ করলে বগুড়ায় অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে বগুড়া।
বগুড়া সদর (বগুড়া): বগুড়ায় প্রচুর কলা চাষ হয়। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ জেলায় প্রায় ১১শ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়। এর মধ্যে শুধু শিবগঞ্জ উপজেলাতেই চাষ হয় ৫০০ হেক্টর জমিতে। এ ফসল চাষের সঙ্গে যুক্ত অন্তত পাঁচ হাজার চাষি। এখানে কলার কাঁদি সংগ্রহের পর গাছগুলো জমিতেই ফেলে রাখা হয়। এই গাছ পচে কিছুটা জৈবসারের প্রয়োজন মেটালেও পরিবেশ দূষণেও বড় ভূমিকা রাখে।
বগুড়ার শিবগঞ্জে ফেলে দেওয়া কলাগাছের বাকল থেকেই তৈরি হচ্ছে আঁশ। এই আঁশ থেকে তৈরি হচ্ছে ভ্যানিটি ব্যাগসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পজাত পণ্য। আর আঁশ ছাড়ানোর পর বর্জ্য থেকে তৈরি করা হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচোসার)।
বগুড়ায় কলার গাছ থেকে আঁশ তৈরির উদ্যোগ শুরু করেছেন শিবগঞ্জের অর্জুনপুর গ্রামের বকুল হোসেন। পরিত্যক্ত কলাগাছ সংগ্রহ করে বাকল থেকে আঁশ সংগ্রহ করেন তিনি। সরকারের পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে ও বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএসের এসইপি প্রকল্পের সহযোগিতায় তিনি গড়ে তুলেছেন মেসার্স বকুল ফাইবার অ্যান্ড ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট। পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় কয়েকজন নারী ও পুরুষ তার প্ল্যান্টে কাজ করেন।
উদ্যোক্তা বকুল হোসেন বলেন, আগে কলার ছড়া সংগ্রহের পর চাষিরা গাছগুলো যত্রতত্র ফেলে দিতেন। এতে গাছগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াতো ও পরিবেশ দূষিত হতো। এখন ফেলে দেওয়া কলাগাছ থেকে সুতা এবং বর্জ্য থেকে সার তৈরি হয়।
বকুল জানান, একটি কলার গাছ থেকে তৈরি হয় ৪০০ গ্রাম আঁশ। ৯০ টাকা খরচে উৎপাদিত প্রতি কেজি আঁশ বিক্রি হয় ১৪০ টাকায়। পাশাপাশি এর পরিত্যক্ত অংশ, গোবর ও কেঁচো একটি সিমেন্টের রিংয়ের মাঝে ২১ দিন রেখে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। ৬০ কেজি বর্জ্য, পরিমাণমতো গোবর ও হাফ কেজি কেঁচোর মাধ্যমে ৪০ কেজি সার পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কলার গাছের আঁশ থেকে কাপড়, ঢেউটিন, হার্ডবোর্ডসহ ঘরের নানা আসবাবপত্র তৈরি করা সম্ভব। উৎপাদিত এসব পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে ভারতসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি হচ্ছে পোশাক, ভ্যানিটি ব্যাগ, জানালার পর্দা, ঘরের টেবিল-চেয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাবপত্র। দেশেও টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঠাকুরগাঁওসহ আরও কয়েকটি স্থানে কলাগাছ থেকে আঁশ ছাড়িয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি শিবগঞ্জের অর্জুনপুরে সরেজমিনে বকুল হোসেনের কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, দুটি মেশিনে কলাগাছ থেকে আঁশ ছড়াানো হচ্ছে। নিয়োজিত রয়েছেন পাঁচজন শ্রমিক। মেশিনে ছাড়ানো আঁশগুলো পানিতে ধোয়ার পর রোদে শুকানো হয়। এরপর সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় সুতা। সেই সুতায় তৈরি হয় নানা শৌখিন হস্তশিল্প।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন বলেন, বগুড়ায় প্রতিবছর ১১শ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়। ফাইবার তৈরির এই প্রযুক্তি বগুড়ায় বিকশিত হলে কলার গাছ থেকেও কলার সমানই আয় করা সম্ভব।
পিকেএসএফের পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমদ বলেন, দেশে-বিদেশে প্রাকৃতিক জিনিসপত্রের চাহিদা রয়েছে। আশা করি আরও বেশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে, ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসবে। এই শিল্প বিশ্বে একটি ভালো বাজার পাবে। এই প্রকল্পে সহায়তাকারী সংস্থা টিএমএসএসের উপনির্বাহী পরিচালক সোহরাব আলী খান বলেন, ফাইবার তৈরির এই পদ্ধতি প্রসার লাভ করলে বগুড়ায় অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে বগুড়া।
বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম।
২৯ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২-এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লো
৪৩ মিনিট আগেপুলিশ বলছে, দুটি লাশই বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যাত্রীর আসনে থাকা মরদেহের মুখ থেঁতলানো অবস্থায় ছিল। গাড়ির সব দরজা খোলা ছিল। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানায়নি তারা।
১ ঘণ্টা আগেফেনীর পরশুরাম সীমান্তে নুরুল ইসলাম (৬৩) নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৭ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার বিকেলে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উভয় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে