নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
পাঁচ বছরে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের নগদ টাকা কমেছে। তবে বেড়েছে ব্যাংকের টাকার পরিমাণ। এনামুল হক ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার এই আসনের এমপি। তবে এবার মনোনয়ন পাননি। তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এনামুল হক হলফনামায় দেখিয়েছেন, এখন তার হাতে নগদ টাকা আছে ২৫ লাখ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় দেখিয়েছিলেন যে, সে সময় তার হাতে ছিল নগদ ৩৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৮ টাকা। স্ত্রীর ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। এখন তার স্ত্রীর হাতে আছে ৩ লাখ টাকা। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই নগদ টাকার পরিমাণ কমেছে।
তবে বেড়েছে ব্যাংকের টাকা। ২০১৮ সালে এনামুলের ব্যাংক হিসাবে ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ১১৪ টাকা। আর স্ত্রীর ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৩২৫ টাকা। এখন এনামুলের নামে ব্যাংকে আছে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬ টাকা। স্ত্রীর ব্যাংকে আছে ৩২ লাখ ১০ হাজার ৪৪ টাকা। এনামুল ও তার স্ত্রীর আগের মতোই বন্ড আছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার ও ৭ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার টাকার। ব্যবসাখাতে এনামুলের বিপুল বিনিয়োগ এবং আয় রয়েছে।
রাজশাহী-৪ আসনে এবার আরও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন-আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ মনোনীত), আবু তালেব প্রামানিক (জাতীয় পার্টি) ও সাইফুল ইসলাম রায়হান (বিএনএম)। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা তাদের হলফনামাও পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস। তার নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছিল। তবে তদন্তের সময় মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাহেরপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক এই মেয়র মৎস্য খামার থেকে বছরে ১০ কোটি ১ লাখ টাকা আয় করেন। এ ছাড়া কৃষিখাত থেকে আসে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মেয়র হিসেবে সম্মানীর খাত থেকে বছরে আসে আরও ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
আবুল কালাম আজাদের হাতে এখন নগদ টাকার পরিমাণ ১০ লাখ। ব্যাংকে আছে ৫০ হাজার। ডিপিএস আছে ২৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৭ টাকার। একটি মোটরসাইকেল আছে তার। এছাড়া ৩৩ লাখ টাকার একটি মাইক্রোবাস ও ১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের একটি হার্ড জিপ রয়েছে। একটি পিস্তল আছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দামের। একটি শটগান আছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, উপহারের ২০ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি আছে।
আবুল কালাম আজাদ দানসূত্রে পেয়েছেন সাড়ে ৬২ লাখ টাকার ৪ দশমিক ৪০ একর কৃষিজমি ও ১ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের ৩ দশমিক ৪৫ একর অকৃষি জমি। ১০টি মৎস্য খামারের জন্য তিনি লিজ নিয়ে রেখেছেন সাড়ে ৮৫ একর জমি। একটি আবাসিক ও একটি বাণিজ্যক ভবন আছে তার। এই ভবন দুটির মূল্য ৬৭ লাখ টাকা। স্বামী-স্ত্রীর নামে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ আছে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায়।
এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু তালেব প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পর্যন্ত। তার নামে একটি মামলা বিচারাধীন। তিনি ব্যবসা করে বছরে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা কামাই করেন। তার হাতে ২২ লাখ ২২ হাজার টাকা রয়েছে। তবে ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। স্ত্রীর নামে আছে ১৫ ভরি স্বর্ণ। তালেবের নিজের ও স্ত্রীর নামে কোনো জমিজমা নেই।
এ আসনের বিএনএমের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রায়হানের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। তার নামে কোনো মামলা নেই। ব্যবসা করে বছরে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। তার হাতে ৩ লাখ টাকা আছে, ব্যাংকে কিছু নেই। একটি মোটরসাইকেল, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র বাসায় আছে তার। এ ছাড়া তার অন্য কোনো সম্পদ নেই।
পাঁচ বছরে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের নগদ টাকা কমেছে। তবে বেড়েছে ব্যাংকের টাকার পরিমাণ। এনামুল হক ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার এই আসনের এমপি। তবে এবার মনোনয়ন পাননি। তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এনামুল হক হলফনামায় দেখিয়েছেন, এখন তার হাতে নগদ টাকা আছে ২৫ লাখ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় দেখিয়েছিলেন যে, সে সময় তার হাতে ছিল নগদ ৩৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৮ টাকা। স্ত্রীর ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। এখন তার স্ত্রীর হাতে আছে ৩ লাখ টাকা। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই নগদ টাকার পরিমাণ কমেছে।
তবে বেড়েছে ব্যাংকের টাকা। ২০১৮ সালে এনামুলের ব্যাংক হিসাবে ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ১১৪ টাকা। আর স্ত্রীর ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৩২৫ টাকা। এখন এনামুলের নামে ব্যাংকে আছে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬ টাকা। স্ত্রীর ব্যাংকে আছে ৩২ লাখ ১০ হাজার ৪৪ টাকা। এনামুল ও তার স্ত্রীর আগের মতোই বন্ড আছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার ও ৭ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার টাকার। ব্যবসাখাতে এনামুলের বিপুল বিনিয়োগ এবং আয় রয়েছে।
রাজশাহী-৪ আসনে এবার আরও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন-আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ মনোনীত), আবু তালেব প্রামানিক (জাতীয় পার্টি) ও সাইফুল ইসলাম রায়হান (বিএনএম)। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা তাদের হলফনামাও পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস। তার নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছিল। তবে তদন্তের সময় মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাহেরপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক এই মেয়র মৎস্য খামার থেকে বছরে ১০ কোটি ১ লাখ টাকা আয় করেন। এ ছাড়া কৃষিখাত থেকে আসে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মেয়র হিসেবে সম্মানীর খাত থেকে বছরে আসে আরও ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
আবুল কালাম আজাদের হাতে এখন নগদ টাকার পরিমাণ ১০ লাখ। ব্যাংকে আছে ৫০ হাজার। ডিপিএস আছে ২৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৭ টাকার। একটি মোটরসাইকেল আছে তার। এছাড়া ৩৩ লাখ টাকার একটি মাইক্রোবাস ও ১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের একটি হার্ড জিপ রয়েছে। একটি পিস্তল আছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দামের। একটি শটগান আছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, উপহারের ২০ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি আছে।
আবুল কালাম আজাদ দানসূত্রে পেয়েছেন সাড়ে ৬২ লাখ টাকার ৪ দশমিক ৪০ একর কৃষিজমি ও ১ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের ৩ দশমিক ৪৫ একর অকৃষি জমি। ১০টি মৎস্য খামারের জন্য তিনি লিজ নিয়ে রেখেছেন সাড়ে ৮৫ একর জমি। একটি আবাসিক ও একটি বাণিজ্যক ভবন আছে তার। এই ভবন দুটির মূল্য ৬৭ লাখ টাকা। স্বামী-স্ত্রীর নামে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ আছে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায়।
এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু তালেব প্রামাণিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পর্যন্ত। তার নামে একটি মামলা বিচারাধীন। তিনি ব্যবসা করে বছরে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা কামাই করেন। তার হাতে ২২ লাখ ২২ হাজার টাকা রয়েছে। তবে ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। স্ত্রীর নামে আছে ১৫ ভরি স্বর্ণ। তালেবের নিজের ও স্ত্রীর নামে কোনো জমিজমা নেই।
এ আসনের বিএনএমের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রায়হানের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। তার নামে কোনো মামলা নেই। ব্যবসা করে বছরে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। তার হাতে ৩ লাখ টাকা আছে, ব্যাংকে কিছু নেই। একটি মোটরসাইকেল, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র বাসায় আছে তার। এ ছাড়া তার অন্য কোনো সম্পদ নেই।
হাতিয়ায় গ্রাম চৌকিদারকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। আহত চৌকিদারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার উপজেলার ১ নম্বর হরনী ইউনিয়নের দিদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেঝালকাঠি জেলা শহরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন কর্তৃক নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সদর চৌমাথায় গিয়ে
৬ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করাসহ সব ধরনের ‘দেশবিরোধী’ কর্মকাণ্ড থেকে সরকার পিছু হটবে, এমন প্রত্যাশা নিয়ে শেষ হয়েছে বন্দর অভিমুখে দুই দিনের রোডমার্চ। আজ শনিবার বিকেলে বন্দর ভবনের বিপরীতে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’-এর আয়োজনে হওয়া এই রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশে
১০ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আমরা চাই, বাংলাদেশে সত্যিকার গণতান্ত্রিক ট্রানজিশন হোক। জনগণের ম্যান্ডেটে যারাই ভোটে জিতবে, তারাই ক্ষমতা গ্রহণ করবে।’
১০ মিনিট আগে