লালপুর (নাটোর) ইমাম হাসান মুক্তি
নাটোরের লালপুরে চায়না বেলি ফুল চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। এ কাজের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৬০ হাজার নারী-পুরুষের ভাগ্য বদলে গেছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, এখানকার নারীরা ঘরের কাজ শেষে বেলি ফুলের মালা গেঁথে অর্থ উপার্জন করেন। তাঁদের এই বাড়তি উপার্জন পরিবারে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন নবীনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শিশিরভেজা সকালে ফুল তোলায় ব্যস্ত নারী ও শিশুরা। গাছ থেকে ফুল তুলে এনে বাড়ির বারান্দায়, উঠানে, বাড়ির আঙিনার খোলা জায়গায় মাদুর বিছিয়ে মনের আনন্দে মালা গাঁথছেন তাঁরা।
এলাকার ফুলচাষি ও শ্রমিকেরা বলেন, 'বেলি ফুলের মৌসুমে (মার্চ-নভেম্বর) প্রতিদিন ২০ হাজারের অধিক মালা তৈরি হয়। আর এই মালা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারা দেশে পাঠানো হয়। ৬ ফুট লম্বা মালা বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়।'
উল্লেখ্য, চায়না ফুল চাষে প্রতি বিঘা জমির ভাড়া বছরে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরি, গাছ লাগানো ও পরিচর্যায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফুল তুলে ১০০ মালা তৈরিতে শ্রমিকেরা পান ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এই গ্রাম ছাড়াও বালিতিতা ইসলামপুর, গড়ের ভিটা, লালপুর, বিলমাড়িয়া, ঢুষপাড়া এবং পার্শ্ববর্তী বাগাতিপাড়া উপজেলার লোকমানপুর ও মালঞ্চি গ্রামে বেলি ফুলের চাষ বিস্তার লাভ করেছে।
নবীনগর গ্রামে বেলি ফুল চাষের উদ্যোক্তা মো. আবদুল আজিজ (৫৫) জানান, তিনি ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে ফুলগাছের চারা আনেন এবং এরপর নিজের পাঁচ কাঠা জমিতে চাষ শুরু করেন। পরে আরও দুই বিঘা জমি কেনেন। এখন তিনি প্রায় ১৮ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে ফুলের চাষ করছেন। এখান থেকে প্রতিদিন ৮-১০ হাজার মালা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আড়তে বিক্রি করেন।
ফুলচাষি জাফর আলম (৪৬) বলেন, 'প্রতিবেশী আবদুল আজিজকে দেখে ২০০৪ সালে তিন বিঘা জমিতে ফুলের চাষ শুরু করি। এখন নিজের ১০ বিঘা ও ইজারা নিয়ে ৬০ বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করছি। মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বেলি ফুলের মৌসুমে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মালা বিক্রি করি। ১০০ মালা বিক্রি করে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পাওয়া যায়।'
আনোয়ারা খাতুন (৫২) বলেন, 'দিনে দেড় শ পর্যন্ত মালা গাঁথা সম্ভব। ফুলের কুঁড়ি কম থাকলে দিনে ৪০ থেকে ৬০টি মালা গাঁথা যায়।'
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'উপজেলায় ১৩ হেক্টরের অধিক জমিতে চায়না বেলি ফুলের চাষ হয়েছে। এই ফুল চাষে ওই গ্রামের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ভবিষ্যতে ফুল বাজারজাত করতে স্থায়ী কৃষি মার্কেট স্থাপন করা হবে।'
নাটোরের লালপুরে চায়না বেলি ফুল চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। এ কাজের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৬০ হাজার নারী-পুরুষের ভাগ্য বদলে গেছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, এখানকার নারীরা ঘরের কাজ শেষে বেলি ফুলের মালা গেঁথে অর্থ উপার্জন করেন। তাঁদের এই বাড়তি উপার্জন পরিবারে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন নবীনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শিশিরভেজা সকালে ফুল তোলায় ব্যস্ত নারী ও শিশুরা। গাছ থেকে ফুল তুলে এনে বাড়ির বারান্দায়, উঠানে, বাড়ির আঙিনার খোলা জায়গায় মাদুর বিছিয়ে মনের আনন্দে মালা গাঁথছেন তাঁরা।
এলাকার ফুলচাষি ও শ্রমিকেরা বলেন, 'বেলি ফুলের মৌসুমে (মার্চ-নভেম্বর) প্রতিদিন ২০ হাজারের অধিক মালা তৈরি হয়। আর এই মালা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারা দেশে পাঠানো হয়। ৬ ফুট লম্বা মালা বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়।'
উল্লেখ্য, চায়না ফুল চাষে প্রতি বিঘা জমির ভাড়া বছরে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রতি বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরি, গাছ লাগানো ও পরিচর্যায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফুল তুলে ১০০ মালা তৈরিতে শ্রমিকেরা পান ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এই গ্রাম ছাড়াও বালিতিতা ইসলামপুর, গড়ের ভিটা, লালপুর, বিলমাড়িয়া, ঢুষপাড়া এবং পার্শ্ববর্তী বাগাতিপাড়া উপজেলার লোকমানপুর ও মালঞ্চি গ্রামে বেলি ফুলের চাষ বিস্তার লাভ করেছে।
নবীনগর গ্রামে বেলি ফুল চাষের উদ্যোক্তা মো. আবদুল আজিজ (৫৫) জানান, তিনি ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে ফুলগাছের চারা আনেন এবং এরপর নিজের পাঁচ কাঠা জমিতে চাষ শুরু করেন। পরে আরও দুই বিঘা জমি কেনেন। এখন তিনি প্রায় ১৮ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে ফুলের চাষ করছেন। এখান থেকে প্রতিদিন ৮-১০ হাজার মালা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আড়তে বিক্রি করেন।
ফুলচাষি জাফর আলম (৪৬) বলেন, 'প্রতিবেশী আবদুল আজিজকে দেখে ২০০৪ সালে তিন বিঘা জমিতে ফুলের চাষ শুরু করি। এখন নিজের ১০ বিঘা ও ইজারা নিয়ে ৬০ বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করছি। মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বেলি ফুলের মৌসুমে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মালা বিক্রি করি। ১০০ মালা বিক্রি করে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পাওয়া যায়।'
আনোয়ারা খাতুন (৫২) বলেন, 'দিনে দেড় শ পর্যন্ত মালা গাঁথা সম্ভব। ফুলের কুঁড়ি কম থাকলে দিনে ৪০ থেকে ৬০টি মালা গাঁথা যায়।'
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'উপজেলায় ১৩ হেক্টরের অধিক জমিতে চায়না বেলি ফুলের চাষ হয়েছে। এই ফুল চাষে ওই গ্রামের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ভবিষ্যতে ফুল বাজারজাত করতে স্থায়ী কৃষি মার্কেট স্থাপন করা হবে।'
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৭ ঘণ্টা আগে