ক্যাপশন: ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
করোনায় যখন বাবা ব্যাংকঋণে দিশেহারা, ঠিক সে সময় বাবার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় ছোট সানবীর। লেখাপড়ার পাশাপাশি মাসিক তাঁর আয় এখন লাখ টাকা। প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী ‘সানবীর আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেট।’
সানবীর (১৩) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল শহীদপাড়ার কবির হোসাইন-সুরভী হোসাইন দম্পতির বড় ছেলে। সে রাজশাহীর প্যারামাউন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। পরিবারে তাঁরা তিন ভাই-বোন।
দাদা বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের হাওলাদার পাড়ায়। নানা বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মোজাহারুল হক শুকুর।
করোনার সময় আর্থিক সংকটে পড়ে চাকরির জন্য ঢাকা থেকে বাবা মাসহ ঈশ্বরদীতে চলে আসে সানবীর। এখানে এসে তার বাবা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাকরি নেন।
ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটর প্রতি ব্যাপক আকর্ষণ সানবীরের। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির প্রতি অন্যরকম আকর্ষণে আজ তাঁকে বিশ্বের একজন কিশোর উদ্যোক্তা হতে সহযোগিতা করেছে।
তার বিভিন্ন প্রোফাইল ও পরিবার সূত্র থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি সে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ভারত, মালয়েশিয়া, তুরস্কের মতো দেশের শত শত বায়ার-সেলারের সঙ্গে দক্ষতা দিয়ে বিজনেস কনফারেন্স মিটিং আয়োজন করে যাচ্ছে। ভারতীয় কোম্পানি ড্যাবজন প্রাইভেট লিমিটেড, যুক্তরাষ্ট্রের তোরো ভেঞ্চার এলএসসি, তুরস্কের মেডিকেল কোম্পানি টর্নোস টর্সেনসজসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে ঘরে বসে কাজ করে। নিজ ভাষ্য অনুযায়ী, শিশু সানবীর এরই মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এইচটিএমল, জাভাস্ক্রিপ্টি, সিএসএস, বুটস্ট্র্যাপ, এসএএসএস, জেকোয়ারি, পিএইচপি, মাইএসকিউএল ডেটাবেইস, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, বাগ ফিক্সিং, সাইবার সিকিউরিটি, প্রোগ্রামিং ভাষা ও ফ্রেমওয়ার্কসহ অর্ধশতাধিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছে।
সানবীর হোসাইন বলে, ‘শুরুতে মা একটু রাগ করতেন। কিন্তু বাবা সাহস দিতেন। তখন থেকেই আমি মূলত মাউস নিয়ে নাড়াচাড়া করতাম। তারপর ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে দেখে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ শিখে আয়ত্ত করি। এখন আমি নিজেই ওয়েবসাইটের জটিল বিষয় সমাধানের টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউবে নিয়মিত আপলোড করছি। ২০২০ সালের মার্চে করোনার শুরু থেকে যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে, তখন বাবার ট্রেডিং বিজনেসের হাল ধরি। গুগল সার্চের মাধ্যমে মেইচেউং টেক ট্রেডিং নামে চায়নিজ একটি কোম্পানির সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর কানাডীয় প্রফেসর ওমর লায়লানির হাত ধরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং বিজনেসে পথচলা শুরু হয় আমার। তারপর থেকেই এই বিজনেসের শিক্ষা লাভ করি। তাদের সঙ্গে বিজনেস করার সূত্রপাত মূলত তখন থেকেই হয়।’
সানবীর বলে, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে পিপিই মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাবস, ভেন্টিলেটর নিয়ে কাজ শুরু করি। প্রথম থেকেই ব্যাপক সাড়া পাই। এরপর বিক্রি শুরু করি। আন্তর্জাতিকমানের চার শতাধিক মানুষের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ হয়। বর্তমানে ২৫টি বিশ্বের দামি ব্যান্ড আইটেম নিয়ে কাজ করছি।
সানবীরের মা সুরভী হোসাইন বলেন, ‘সানবীর প্রথম যখন মোবাইল-কম্পিউটার নিয়ে দিনরাত পড়ে থাকত, আমি একটু রাগ করতাম। ওর বাবা অবশ্য উৎসাহ দিতেন। এখন দেখছি সে অনেক বড় ক্যারিয়ার অর্জন করছে। এটা এখন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই সানবীর আমাদের দেশের সম্মান ও সাফল্য অর্জনে খুবই ভালো ভূমিকা রাখবে।’
সানবীরের বাবা কবির হোসাইন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে ছেলেকে অন্যদের সঙ্গে তেমন মিশতে না দিয়ে কম্পিউটারের দিকে ধাবিত করেছি। ছেলেকে ফেসবুক, ইন্টারনেট ও গেমস খেলা থেকে দূরে রাখতে তাকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং বিজনেসের সঙ্গে যোগাযোগে উদ্বুদ্ধ করেছি। অনেক বাবা-মাকে দেখেছি সন্তানদের গেমস খেলার দিকে মনোযোগী করে। এটি সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে।’
ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সানবীর অসাধারণ মেধাবী একজন শিশু। সে আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেট। কয়েক দিন আগে সে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদে এসেছিল। তার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তাকে সহযোগিতার সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তার দক্ষতায় বিস্মিত। তবে তাকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখন সে বয়সে অনেক ছোট ও লেখাপড়া করছে। সানবীরের এগিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা দরকার আমরা ঈশ্বরদী থেকে তাই করব।’
করোনায় যখন বাবা ব্যাংকঋণে দিশেহারা, ঠিক সে সময় বাবার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় ছোট সানবীর। লেখাপড়ার পাশাপাশি মাসিক তাঁর আয় এখন লাখ টাকা। প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী ‘সানবীর আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেট।’
সানবীর (১৩) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল শহীদপাড়ার কবির হোসাইন-সুরভী হোসাইন দম্পতির বড় ছেলে। সে রাজশাহীর প্যারামাউন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। পরিবারে তাঁরা তিন ভাই-বোন।
দাদা বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের হাওলাদার পাড়ায়। নানা বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মোজাহারুল হক শুকুর।
করোনার সময় আর্থিক সংকটে পড়ে চাকরির জন্য ঢাকা থেকে বাবা মাসহ ঈশ্বরদীতে চলে আসে সানবীর। এখানে এসে তার বাবা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাকরি নেন।
ছোটবেলা থেকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটর প্রতি ব্যাপক আকর্ষণ সানবীরের। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির প্রতি অন্যরকম আকর্ষণে আজ তাঁকে বিশ্বের একজন কিশোর উদ্যোক্তা হতে সহযোগিতা করেছে।
তার বিভিন্ন প্রোফাইল ও পরিবার সূত্র থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি সে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ভারত, মালয়েশিয়া, তুরস্কের মতো দেশের শত শত বায়ার-সেলারের সঙ্গে দক্ষতা দিয়ে বিজনেস কনফারেন্স মিটিং আয়োজন করে যাচ্ছে। ভারতীয় কোম্পানি ড্যাবজন প্রাইভেট লিমিটেড, যুক্তরাষ্ট্রের তোরো ভেঞ্চার এলএসসি, তুরস্কের মেডিকেল কোম্পানি টর্নোস টর্সেনসজসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে ঘরে বসে কাজ করে। নিজ ভাষ্য অনুযায়ী, শিশু সানবীর এরই মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এইচটিএমল, জাভাস্ক্রিপ্টি, সিএসএস, বুটস্ট্র্যাপ, এসএএসএস, জেকোয়ারি, পিএইচপি, মাইএসকিউএল ডেটাবেইস, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, বাগ ফিক্সিং, সাইবার সিকিউরিটি, প্রোগ্রামিং ভাষা ও ফ্রেমওয়ার্কসহ অর্ধশতাধিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছে।
সানবীর হোসাইন বলে, ‘শুরুতে মা একটু রাগ করতেন। কিন্তু বাবা সাহস দিতেন। তখন থেকেই আমি মূলত মাউস নিয়ে নাড়াচাড়া করতাম। তারপর ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে দেখে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ শিখে আয়ত্ত করি। এখন আমি নিজেই ওয়েবসাইটের জটিল বিষয় সমাধানের টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউবে নিয়মিত আপলোড করছি। ২০২০ সালের মার্চে করোনার শুরু থেকে যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে, তখন বাবার ট্রেডিং বিজনেসের হাল ধরি। গুগল সার্চের মাধ্যমে মেইচেউং টেক ট্রেডিং নামে চায়নিজ একটি কোম্পানির সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর কানাডীয় প্রফেসর ওমর লায়লানির হাত ধরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং বিজনেসে পথচলা শুরু হয় আমার। তারপর থেকেই এই বিজনেসের শিক্ষা লাভ করি। তাদের সঙ্গে বিজনেস করার সূত্রপাত মূলত তখন থেকেই হয়।’
সানবীর বলে, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে পিপিই মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাবস, ভেন্টিলেটর নিয়ে কাজ শুরু করি। প্রথম থেকেই ব্যাপক সাড়া পাই। এরপর বিক্রি শুরু করি। আন্তর্জাতিকমানের চার শতাধিক মানুষের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ হয়। বর্তমানে ২৫টি বিশ্বের দামি ব্যান্ড আইটেম নিয়ে কাজ করছি।
সানবীরের মা সুরভী হোসাইন বলেন, ‘সানবীর প্রথম যখন মোবাইল-কম্পিউটার নিয়ে দিনরাত পড়ে থাকত, আমি একটু রাগ করতাম। ওর বাবা অবশ্য উৎসাহ দিতেন। এখন দেখছি সে অনেক বড় ক্যারিয়ার অর্জন করছে। এটা এখন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই সানবীর আমাদের দেশের সম্মান ও সাফল্য অর্জনে খুবই ভালো ভূমিকা রাখবে।’
সানবীরের বাবা কবির হোসাইন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে ছেলেকে অন্যদের সঙ্গে তেমন মিশতে না দিয়ে কম্পিউটারের দিকে ধাবিত করেছি। ছেলেকে ফেসবুক, ইন্টারনেট ও গেমস খেলা থেকে দূরে রাখতে তাকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং বিজনেসের সঙ্গে যোগাযোগে উদ্বুদ্ধ করেছি। অনেক বাবা-মাকে দেখেছি সন্তানদের গেমস খেলার দিকে মনোযোগী করে। এটি সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে।’
ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সানবীর অসাধারণ মেধাবী একজন শিশু। সে আমাদের ন্যাশনাল অ্যাসেট। কয়েক দিন আগে সে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদে এসেছিল। তার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তাকে সহযোগিতার সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তার দক্ষতায় বিস্মিত। তবে তাকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখন সে বয়সে অনেক ছোট ও লেখাপড়া করছে। সানবীরের এগিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা দরকার আমরা ঈশ্বরদী থেকে তাই করব।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্টার লাগানো ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাস ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের প্রশাসনিক...
২২ মিনিট আগেপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ঋণ শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় ঋণের কিস্তির টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে তাঁরা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
৩২ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরোববার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খানের নেতৃত্বে পালেরহাট এলাকায় ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদের দেওয়া তথ্যে সহযোগী নাঈমের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা...
২ ঘণ্টা আগে