নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্কুলড্রেস না পরে স্কুলে আসায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটি পক্ষ বলছে, হিজাব পরে আসার কারণেই শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। আরেকটি পক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষক শাসন করেছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে কোন্দল থাকায় নিজ স্বার্থ হাসিলে একটি পক্ষ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা উসকানি দিচ্ছে।
ঘটনার এক দিন পর ওই বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ওই শিক্ষক বলছেন, স্কুলড্রেস পরে না আসায় তিনি শিক্ষার্থীদের কিছুটা শাসন করেছেন। এতে এখন ধর্মীয় রং চড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ঘটনার দিন তিনি স্কুলের কাজে বাইরে ছিলেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে শোকজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষেরই অভিযোগ পাননি তিনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই শিক্ষকের বাড়ি এবং স্কুলটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনা গত বুধবারের। ওই দিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ ওঠে, ‘হিজাব’ পরার কারণেই নাকি ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা ওই স্কুলে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। স্কুলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে না পেয়ে স্কুলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বুধবার স্কুলে হিজাব পরে যাওয়ার কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্কুলড্রেস না পরে এলে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
যদিও স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই দিন শুধু মেয়েদের নয়, মারধর করা হয়েছিল ছেলেদেরও। স্কুলড্রেস না পরার কারণেই এভাবে ‘শাসন’ করা হয়। কয়েকজন মেয়েকে মারধর করেন আমোদিনী পাল। আর ছেলেদের মারধর করেন স্কুলের অন্য এক পুরুষ শিক্ষক। স্কুলড্রেস না পরে আসার কারণ জানতে চাইলেও এ নিয়ে কেউ সুস্পষ্ট কিছু বলেননি।
এরপর স্কুল থেকে বাড়িতে চলে যায় অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণি পড়ুয়া প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থী। ঘটনার পরদিন এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কয়েকজন অভিভাবক অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আমোদিনী পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ধর্মীয় ইস্যুতে নয়। স্কুলড্রেস পরে আসতেই কিছুটা শাসন করেছিলেন তিনি। এর ওপর এখন ধর্মীয় রং লাগানো হচ্ছে। কিছু লোক এ কাজ করছে। তিনি জানান, এর আগেও শিক্ষার্থীদের স্কুলড্রেস পরে স্কুলে আসার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তারা শোনেনি।
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্কুলড্রেস না পরে স্কুলে আসায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটি পক্ষ বলছে, হিজাব পরে আসার কারণেই শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। আরেকটি পক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষক শাসন করেছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে কোন্দল থাকায় নিজ স্বার্থ হাসিলে একটি পক্ষ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা উসকানি দিচ্ছে।
ঘটনার এক দিন পর ওই বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ওই শিক্ষক বলছেন, স্কুলড্রেস পরে না আসায় তিনি শিক্ষার্থীদের কিছুটা শাসন করেছেন। এতে এখন ধর্মীয় রং চড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ঘটনার দিন তিনি স্কুলের কাজে বাইরে ছিলেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে শোকজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষেরই অভিযোগ পাননি তিনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই শিক্ষকের বাড়ি এবং স্কুলটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনা গত বুধবারের। ওই দিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ ওঠে, ‘হিজাব’ পরার কারণেই নাকি ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা ওই স্কুলে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। স্কুলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে না পেয়ে স্কুলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বুধবার স্কুলে হিজাব পরে যাওয়ার কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্কুলড্রেস না পরে এলে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
যদিও স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই দিন শুধু মেয়েদের নয়, মারধর করা হয়েছিল ছেলেদেরও। স্কুলড্রেস না পরার কারণেই এভাবে ‘শাসন’ করা হয়। কয়েকজন মেয়েকে মারধর করেন আমোদিনী পাল। আর ছেলেদের মারধর করেন স্কুলের অন্য এক পুরুষ শিক্ষক। স্কুলড্রেস না পরে আসার কারণ জানতে চাইলেও এ নিয়ে কেউ সুস্পষ্ট কিছু বলেননি।
এরপর স্কুল থেকে বাড়িতে চলে যায় অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণি পড়ুয়া প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থী। ঘটনার পরদিন এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কয়েকজন অভিভাবক অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আমোদিনী পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ধর্মীয় ইস্যুতে নয়। স্কুলড্রেস পরে আসতেই কিছুটা শাসন করেছিলেন তিনি। এর ওপর এখন ধর্মীয় রং লাগানো হচ্ছে। কিছু লোক এ কাজ করছে। তিনি জানান, এর আগেও শিক্ষার্থীদের স্কুলড্রেস পরে স্কুলে আসার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তারা শোনেনি।
মোংলায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের পূর্বঘোষিত সমাবেশ বিএনপি–সমর্থিত শ্রমিকদের হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে। এতে এনসিপির নেত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামে স্কুলে গিয়ে নিখোঁজের পরদিন মো. রাহাত (১৩) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে রাহাতের বন্ধুরা তাকে হত্যা করেছে। আজ বুধবার ভোরে নগরের চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে কর্দমাক্ত অবস্থায় রাহাতের লাশ উদ্ধার
১৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত চয়েন উদ্দিন মৃধার ছেলে জহুরুল ইসলাম মৃধা (৪৫) ও মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বিভাগ গ্রামের মফিজ উদ্দিনের
২৯ মিনিট আগেরাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় আবাসিক ভবনের দশতলা ছাদ থেকে পড়ে তাসকিয়া তানহা (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বজনেরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎ
১ ঘণ্টা আগে