রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নিজ বাসভবন ‘উজান’-এ তিনি মারা যান বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ হাসান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
রাজশাহীর চৌদ্দপাই বিহাস আবাসিক এলাকায় নিজ বাড়ি উজানে তিনি মারা যান। বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে পারিবারিক সূত্রে। তিন মেয়ে, এক ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিক শেষ পর্যন্ত নিজের যাত্রা সমাপ্তি টানলেন। কথাসাহিত্যে তাঁর অবদানগুলো নিয়ে আলোচনা শুরুর আগে একবার দেখে নেওয়া যাক তাঁর অভিযাত্রাটির দিকে। রাঢ়বঙ্গের এ লেখকের কলমে উঠে এসেছে বাংলার সাধারণ মানুষের গল্পগাথা।
কিছুদিন আগেও একবার ভক্ত ও পাঠকদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন এই কথাসাহিত্যিক। হঠাৎ করেই এসেছিল তাঁর অসুস্থ হওয়ার খবর। বাংলা সাহিত্যের পাঠক মাত্রই দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছিলেন সবাই। তবে সে যাত্রা সব শঙ্কাকে মিথ্যে করে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
গত ১৬ আগস্ট ছেলে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসানের ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রথম হাসান আজিজুল হকের অসুস্থতার কথা জানা যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২১ আগস্ট এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। সেখানে তাঁকে প্রথমে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সেদিন রাতে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। তাঁকে এই হাসপাতালে আনার পরদিন ২২ আগস্ট বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আরাফাতকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এই মেডিকেল বোর্ডের অধীনেই তাঁর চিকিৎসা চলে। দীর্ঘ ১৯ দিনের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান এ কথাসাহিত্যিক। ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয়।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন। এরপর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নগরের চৌদ্দপাইয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৯ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নিজ বাসভবন ‘উজান’-এ তিনি মারা যান বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ হাসান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
রাজশাহীর চৌদ্দপাই বিহাস আবাসিক এলাকায় নিজ বাড়ি উজানে তিনি মারা যান। বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে পারিবারিক সূত্রে। তিন মেয়ে, এক ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিক শেষ পর্যন্ত নিজের যাত্রা সমাপ্তি টানলেন। কথাসাহিত্যে তাঁর অবদানগুলো নিয়ে আলোচনা শুরুর আগে একবার দেখে নেওয়া যাক তাঁর অভিযাত্রাটির দিকে। রাঢ়বঙ্গের এ লেখকের কলমে উঠে এসেছে বাংলার সাধারণ মানুষের গল্পগাথা।
কিছুদিন আগেও একবার ভক্ত ও পাঠকদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন এই কথাসাহিত্যিক। হঠাৎ করেই এসেছিল তাঁর অসুস্থ হওয়ার খবর। বাংলা সাহিত্যের পাঠক মাত্রই দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছিলেন সবাই। তবে সে যাত্রা সব শঙ্কাকে মিথ্যে করে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
গত ১৬ আগস্ট ছেলে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসানের ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রথম হাসান আজিজুল হকের অসুস্থতার কথা জানা যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২১ আগস্ট এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। সেখানে তাঁকে প্রথমে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সেদিন রাতে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। তাঁকে এই হাসপাতালে আনার পরদিন ২২ আগস্ট বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আরাফাতকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এই মেডিকেল বোর্ডের অধীনেই তাঁর চিকিৎসা চলে। দীর্ঘ ১৯ দিনের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান এ কথাসাহিত্যিক। ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয়।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন। এরপর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নগরের চৌদ্দপাইয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৯ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে