নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিয়োগ পাওয়ার পাঁচ দিনেও রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিতে পারেননি ড. আনারুল হক প্রামাণিক। কলেজের ‘একটি পক্ষ’ তাঁর যোগদানে বাধার সৃষ্টি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তবে কলেজের পক্ষ থেকে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সরকারি শহিদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কিছু শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবারও তারা প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। তাঁরা অধ্যক্ষ হিসেবে আনারুল হককে চান না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চলা এ বিক্ষোভের কারণে পাঁচ দিন পরও যোগ দিতে পারেননি নতুন এই অধ্যক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের ‘দালাল’।
জানতে চাইলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবারই অনলাইনে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলীর কাছে যোগদানপত্র পাঠিয়েছি। দুপুরে তিনি বললেন, ‘‘পুরোনো অধ্যক্ষ অবমুক্ত হলেই তিনি আমার যোগদানপত্র অনলাইনে সাবমিট করে দেবেন।’” কিন্তু বিকেলে তিনি বললেন, ‘‘সার্ভার ডিস্টার্ব। অনলাইনে কাজ করা যাচ্ছে না।” কিছুক্ষণ পর তিনি বললেন, ‘‘আপনি কি চান আপনার যোগদানপত্র সাবমিট করে আমি ছাত্রদের কাছে মাইর খাই?” পরে বুঝলাম তিনি যোগ দেওয়াতে চাচ্ছেন না। তিনি আমার যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি।’
ড. আনারুল হক প্রামাণিক আরও বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলন কিছু নয়। কলেজেরই একটা পক্ষ চায় না যে আমি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিই। তারাই ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে মাঠে নামিয়েছে। এখন আমি এসব বুঝতে পারছি। নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আমি তো উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমি এ-ও বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে আমার কী সমস্যা আমাকে নিয়ে বসেন। কিন্তু তারা সেটিও করেননি।’
জানতে চাইলে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ছাত্ররা আমাদের ঘিরে রেখেছিল। তারা কোনোমতেই যোগদানপত্র নিয়ে কাজ করতে দেয়নি। বারবার আমাদের বের করে দিয়েছে। তাই যোগদান করানো যায়নি। আগামীকাল এটা সার্ভারে অটো হয়ে যাবে সম্ভবত।’
ছাত্রদের ভয়ে যোগদান করানো যাচ্ছে না—এমন কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি তো তাই। আমি বলিনি এ কথা। আমার সহকর্মীরা বলেছেন।’
কলেজেরই একটি চক্র নতুন অধ্যক্ষকে যোগদান করাতে চাচ্ছে না—এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি কেন এটা করতে যাব? আমি কি অধ্যক্ষ ক্যান্ডিডেট ছিলাম। তাঁর সঙ্গে কি আমার পূর্ববিরোধ আছে?’
এ প্রসঙ্গে ড. আনারুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘আমার যোগদানপত্র আমি দিয়েছি, সেটি অ্যাপ্রুভ করতে আইনগতভাবেই উপাধ্যক্ষ বাধ্য। কিন্তু তিনি করছেন না, নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। তিনি আগামীকালের (শনিবার) কথা বললেও সেটিও হবে না। তিনি আমাকে যোগদান করালে তো আমি অধ্যক্ষ। তখন আমি দেখব, কোন শিক্ষার্থীদের আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন অভিযোগ আনলে তো সেটা হলো না। আসলে উপাধ্যক্ষই কলেজে অধ্যক্ষ চাচ্ছেন না। তিনি হয়তো ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ১২ আগস্ট রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন অধ্যাপক আবদুল খালেক। অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি নিজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। এর প্রায় এক মাস পর রাজশাহী সরকারি শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হককে দেশসেরা এই কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন অধ্যক্ষের যোগদান নিয়ে চলছে জটিলতা।
নিয়োগ পাওয়ার পাঁচ দিনেও রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিতে পারেননি ড. আনারুল হক প্রামাণিক। কলেজের ‘একটি পক্ষ’ তাঁর যোগদানে বাধার সৃষ্টি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তবে কলেজের পক্ষ থেকে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সরকারি শহিদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কিছু শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবারও তারা প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। তাঁরা অধ্যক্ষ হিসেবে আনারুল হককে চান না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চলা এ বিক্ষোভের কারণে পাঁচ দিন পরও যোগ দিতে পারেননি নতুন এই অধ্যক্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের ‘দালাল’।
জানতে চাইলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবারই অনলাইনে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলীর কাছে যোগদানপত্র পাঠিয়েছি। দুপুরে তিনি বললেন, ‘‘পুরোনো অধ্যক্ষ অবমুক্ত হলেই তিনি আমার যোগদানপত্র অনলাইনে সাবমিট করে দেবেন।’” কিন্তু বিকেলে তিনি বললেন, ‘‘সার্ভার ডিস্টার্ব। অনলাইনে কাজ করা যাচ্ছে না।” কিছুক্ষণ পর তিনি বললেন, ‘‘আপনি কি চান আপনার যোগদানপত্র সাবমিট করে আমি ছাত্রদের কাছে মাইর খাই?” পরে বুঝলাম তিনি যোগ দেওয়াতে চাচ্ছেন না। তিনি আমার যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি।’
ড. আনারুল হক প্রামাণিক আরও বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলন কিছু নয়। কলেজেরই একটা পক্ষ চায় না যে আমি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিই। তারাই ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে মাঠে নামিয়েছে। এখন আমি এসব বুঝতে পারছি। নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আমি তো উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমি এ-ও বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে আমার কী সমস্যা আমাকে নিয়ে বসেন। কিন্তু তারা সেটিও করেননি।’
জানতে চাইলে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ছাত্ররা আমাদের ঘিরে রেখেছিল। তারা কোনোমতেই যোগদানপত্র নিয়ে কাজ করতে দেয়নি। বারবার আমাদের বের করে দিয়েছে। তাই যোগদান করানো যায়নি। আগামীকাল এটা সার্ভারে অটো হয়ে যাবে সম্ভবত।’
ছাত্রদের ভয়ে যোগদান করানো যাচ্ছে না—এমন কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি তো তাই। আমি বলিনি এ কথা। আমার সহকর্মীরা বলেছেন।’
কলেজেরই একটি চক্র নতুন অধ্যক্ষকে যোগদান করাতে চাচ্ছে না—এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি কেন এটা করতে যাব? আমি কি অধ্যক্ষ ক্যান্ডিডেট ছিলাম। তাঁর সঙ্গে কি আমার পূর্ববিরোধ আছে?’
এ প্রসঙ্গে ড. আনারুল হক প্রামাণিক বলেন, ‘আমার যোগদানপত্র আমি দিয়েছি, সেটি অ্যাপ্রুভ করতে আইনগতভাবেই উপাধ্যক্ষ বাধ্য। কিন্তু তিনি করছেন না, নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। তিনি আগামীকালের (শনিবার) কথা বললেও সেটিও হবে না। তিনি আমাকে যোগদান করালে তো আমি অধ্যক্ষ। তখন আমি দেখব, কোন শিক্ষার্থীদের আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন অভিযোগ আনলে তো সেটা হলো না। আসলে উপাধ্যক্ষই কলেজে অধ্যক্ষ চাচ্ছেন না। তিনি হয়তো ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ১২ আগস্ট রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন অধ্যাপক আবদুল খালেক। অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছেড়ে তিনি নিজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। এর প্রায় এক মাস পর রাজশাহী সরকারি শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনারুল হককে দেশসেরা এই কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন অধ্যক্ষের যোগদান নিয়ে চলছে জটিলতা।
দীর্ঘদিন ধরে জনবলসংকটে ধুঁকছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। চার ভাগের এক ভাগ কর্মচারী দিয়ে চলছে কার্যক্রম। জনবলের অভাবে পড়ে আছে দেশের বৃহত্তম এ রেলওয়ে কারখানার ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানি করা মেশিনারিজ।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার সাগরপারের সুগন্ধা পয়েন্টে হোটেল-মোটেল জোনের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ২ একর ৩০ শতক খাসজমি দখল করে শতাধিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জাল কাগজ বানিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে হোটেল-মোটেল জোনের বাতিল করা প্লটের এই জমি দখল করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, তাঁরা খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় দুজন। প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে ডিএনএ রিপোর্টে অস্পষ্টতা থাকায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেবরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে নির্বিচারে মারা পড়ছে ইলিশের পোনা বা জাটকা। নিষিদ্ধ বাঁধা, গোপ, বেহেন্দি ও কারেন্ট জালে এগুলো শিকার করা হচ্ছে। দেড়-দুই ইঞ্চি লম্বা এসব মাছকে এলাকার হাট-বাজারে ‘চাপিলা’ বলে বিক্রি করছেন জেলেরা। সেই সঙ্গে শুঁটকি বানানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে