প্রতিনিধি, জয়পুরহাট
শোনোচি (শুনছি) কঠোর লকডাউন চলোচে (চলছে)। বাড়িত শুয়ে-বসে থাকলে, পাঁচটা লোকের মুকত (মুখে) খাদ্য তুলে দিমো কীভাবে? সংসার চলবে কীভাবে? সে জন্য সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে, ভাঙা কাচের বোতল, পুরোনো বই, খাতা, খবরের কাগজ, টিন, লোহা, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সংগ্রহ করে মহাজনের কাছে বিক্রি করি। তাতেই যে লাভ টিকে, তা দিয়ে কোনো রকম চলে।
লকডাউনের মধ্যে দিনকাল কেমন যাচ্ছে, এই প্রশ্নে এভাবেই কষ্টের কথা বলেন সদর উপজেলার হিচমি গ্রামের ধলু হোসেন।
স্ত্রী, পাঁচ বছর বয়সী কন্যা, মা এবং প্রতিবন্ধী বাবার ভরণপোষণের ভার তাঁর একার। তিনি মূলত দিন মজুর। এমনিতেই এ পেশায় সব সময় কাজ পাওয়া যায় না। এর মধ্যে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে মহামারি। থেমে থেমে লকডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এক চাচার পরামর্শে, পুরোনো একটি ভ্যানগাড়ি কিনে শুরু করেন ভাঙ্গারির ব্যবসা। এখন দিন মজুরের কাজ না থাকলে, সকাল সকাল ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার পুরোনো ও ভাঙ্গারি মাল সংগ্রহ করে দিন শেষে মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁর ৩০০-৩৫০ টাকা থাকে।
ভাঙ্গারির ব্যবসাটাও ঠিকমতো করতে পারছেন না। মনের মধ্যে সব সময় সংক্রমণের ভয় কাজ করে। সব এলাকায় যেতে পারেন না। আবার বিকেল ৫টার আগেই সব কাজ সারতে হয়।
শুধু ধলু হোসেনই নন–জেলার প্রায় ১২ হাজার শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা তাঁর মতোই। চায়ের দোকানের শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, কুলি, দিনমজুর সবার। তাঁরা না পারছেন বাড়িতে বসে থাকতে, না পাচ্ছেন কাজ।
জয়পুরহাট জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে মোটর শ্রমিকসহ সব শ্রেণির শ্রমিকদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এ জেলায় প্রায় ৬ হাজার মোটর শ্রমিক আছে। দুর্দশাগ্রস্ত মোটর শ্রমিকদের গত রমজানের ঈদে সংগঠনের ফান্ড উজাড় করে ১৭ লাখ টাকা সহযোগিতা করা হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন জয়পুরহাটের পৌর মেয়র। বর্তমানে সংগঠনের ফান্ডে কোনো টাকা নেই।
শোনোচি (শুনছি) কঠোর লকডাউন চলোচে (চলছে)। বাড়িত শুয়ে-বসে থাকলে, পাঁচটা লোকের মুকত (মুখে) খাদ্য তুলে দিমো কীভাবে? সংসার চলবে কীভাবে? সে জন্য সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে, ভাঙা কাচের বোতল, পুরোনো বই, খাতা, খবরের কাগজ, টিন, লোহা, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সংগ্রহ করে মহাজনের কাছে বিক্রি করি। তাতেই যে লাভ টিকে, তা দিয়ে কোনো রকম চলে।
লকডাউনের মধ্যে দিনকাল কেমন যাচ্ছে, এই প্রশ্নে এভাবেই কষ্টের কথা বলেন সদর উপজেলার হিচমি গ্রামের ধলু হোসেন।
স্ত্রী, পাঁচ বছর বয়সী কন্যা, মা এবং প্রতিবন্ধী বাবার ভরণপোষণের ভার তাঁর একার। তিনি মূলত দিন মজুর। এমনিতেই এ পেশায় সব সময় কাজ পাওয়া যায় না। এর মধ্যে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে মহামারি। থেমে থেমে লকডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এক চাচার পরামর্শে, পুরোনো একটি ভ্যানগাড়ি কিনে শুরু করেন ভাঙ্গারির ব্যবসা। এখন দিন মজুরের কাজ না থাকলে, সকাল সকাল ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার পুরোনো ও ভাঙ্গারি মাল সংগ্রহ করে দিন শেষে মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁর ৩০০-৩৫০ টাকা থাকে।
ভাঙ্গারির ব্যবসাটাও ঠিকমতো করতে পারছেন না। মনের মধ্যে সব সময় সংক্রমণের ভয় কাজ করে। সব এলাকায় যেতে পারেন না। আবার বিকেল ৫টার আগেই সব কাজ সারতে হয়।
শুধু ধলু হোসেনই নন–জেলার প্রায় ১২ হাজার শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা তাঁর মতোই। চায়ের দোকানের শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, কুলি, দিনমজুর সবার। তাঁরা না পারছেন বাড়িতে বসে থাকতে, না পাচ্ছেন কাজ।
জয়পুরহাট জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে মোটর শ্রমিকসহ সব শ্রেণির শ্রমিকদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এ জেলায় প্রায় ৬ হাজার মোটর শ্রমিক আছে। দুর্দশাগ্রস্ত মোটর শ্রমিকদের গত রমজানের ঈদে সংগঠনের ফান্ড উজাড় করে ১৭ লাখ টাকা সহযোগিতা করা হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন জয়পুরহাটের পৌর মেয়র। বর্তমানে সংগঠনের ফান্ডে কোনো টাকা নেই।
মে দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ সুজাত মিয়ার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ জামিল মিয়া নামের এক হামলাকারীকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার তিমিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেমহান মে দিবসসহ সরকারি তিন দিনের ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় করেছেন পর্যটকেরা। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৯০ শতাংশ হোটেল–মোটেল। বিক্রি বেড়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।
২০ মিনিট আগেময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ১ নম্বর দুল্লা ইউনিয়নের হরিরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগেআজ মে দিবস। তবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার অধিকাংশ দিনমজুর জানেন না মে দিবস কী। অধিকাংশ শ্রমিক বলছেন, ‘আমরা দিবস দিয়ে কী করব, না খাটলে যখন মুখে ভাত ওঠে না। তা ছাড়া আমরা দিবস–টিবস অত বুঝি না। দিনমজুর খেটে খেতে হবে এটাই বুঝি। কাজ করলে টাকা পাব, সেই টাকা দিয়ে পরিবারের মুখে ভাত তুলে দেব, আমরা এটাই বুঝি।
৩৪ মিনিট আগে