দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মন্দির নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে দুই দিনে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে কৃষ্ণভক্ত ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতুয়া সম্প্রদায়ের কৃষ্ণা রানী মন্দিরে পূজা দিতে গেলে কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন।
মতুয়া সম্প্রদায়ের আহতরা হলেন কৃষ্ণা রানী (৩৫), নিকট চন্দ্র হাওলাদার (১৭), ভিবাস চন্দ্র হাওলাদার (৩০), ঝুমুর রানী (২৫)। কৃষ্ণভক্ত পক্ষের আহতরা হলেন লক্ষ্মী রানী (৪০), সুবর্ণা রানী (১৫), অন্তরা রানী (১৫), চপলা রানী (২৫)। ঘটনার খবর পেয়ে দশমিনা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।
গতকাল মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে বুধবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে আরও ছয়জন গুরুতর আহত হন। এ সময় মতুয়া সম্প্রদায়ের অমল শিকারী (৪৫), মিঠুন চন্দ্র শিকারী (৩০) আহত হন। এ ছাড়া কৃষ্ণভক্ত সম্প্রদায়ের মন্টু হাওলাদার (৪০), সন্তোষ হাওলাদার (৪০), সুদাংসু হাওলাদার (৫০), দিবাংসু হাওলাদার (৩০) আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি কৃষ্ণ মন্দির আছে। সেখানে কৃষ্ণভক্তরা পূজা-প্রার্থনা করেন। বছর কয়েক আগে ওই কৃষ্ণ মন্দিরের পাশে আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায় পূজা-প্রার্থনা করে আসছে। মতুয়া সম্প্রদায় মন্দির করার পর থেকে কৃষ্ণভক্তরা তা মেনে নিতে পারেনি। এ মন্দির নিয়ে তাদের দুই গ্রুপে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।
এই মন্দির নিয়ে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মধ্যস্থতায় তা সমঝোতা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতুয়াভক্ত কৃষ্ণা রানী মন্দিরে পূজা দিতে এলে কৃষ্ণভক্ত লক্ষ্মী রানীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
মতুয়া সম্প্রদায়ের আহত কৃষ্ণা রানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভিন্ন একটি জায়গায় মন্দির করে পূজা-প্রার্থনা করি। মন্দির নির্মাণ করার পর থেকে কৃষ্ণভক্তরা সাধারণভাবে মেনে নিতে পারেনি। কয়েক মাস আগে তারা আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। আমরা সন্ধ্যায় পূজা দিতে গেলে কৃষ্ণভক্তরা আজেবাজে কথা বলে প্রতিবাদ করলে শিবাষ, সুমন, সাগর, তমিজসহ ১০-১২ জন আমাদের টানাহেঁচড়া করে পেটায়। আমার ছেলে আমাদের রক্ষা করতে আসলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।’
কৃষ্ণভক্তের আহত লক্ষ্মী রানী বলেন, ‘মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলমান। মন্দিরের জায়গা নিয়ে ঝগড়া হয়, ওই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় কমল শিকারি, মিঠুন, অনুজ, নরেষসহ ২০-২২ জন আমাদের বাড়িঘর থেকে বের দিয়ে আমাদের পিটিয়ে চারজনকে আহত করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী হাসান গাজী বলেন, ‘দুই দিনের সংঘর্ষে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’
দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদা নাসরিন জিতু জানান, আহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
দশমিনা থানার ওসি আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মন্দির নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে দুই দিনে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে কৃষ্ণভক্ত ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতুয়া সম্প্রদায়ের কৃষ্ণা রানী মন্দিরে পূজা দিতে গেলে কথা-কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন।
মতুয়া সম্প্রদায়ের আহতরা হলেন কৃষ্ণা রানী (৩৫), নিকট চন্দ্র হাওলাদার (১৭), ভিবাস চন্দ্র হাওলাদার (৩০), ঝুমুর রানী (২৫)। কৃষ্ণভক্ত পক্ষের আহতরা হলেন লক্ষ্মী রানী (৪০), সুবর্ণা রানী (১৫), অন্তরা রানী (১৫), চপলা রানী (২৫)। ঘটনার খবর পেয়ে দশমিনা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।
গতকাল মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে বুধবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে আরও ছয়জন গুরুতর আহত হন। এ সময় মতুয়া সম্প্রদায়ের অমল শিকারী (৪৫), মিঠুন চন্দ্র শিকারী (৩০) আহত হন। এ ছাড়া কৃষ্ণভক্ত সম্প্রদায়ের মন্টু হাওলাদার (৪০), সন্তোষ হাওলাদার (৪০), সুদাংসু হাওলাদার (৫০), দিবাংসু হাওলাদার (৩০) আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়াপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একটি কৃষ্ণ মন্দির আছে। সেখানে কৃষ্ণভক্তরা পূজা-প্রার্থনা করেন। বছর কয়েক আগে ওই কৃষ্ণ মন্দিরের পাশে আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায় পূজা-প্রার্থনা করে আসছে। মতুয়া সম্প্রদায় মন্দির করার পর থেকে কৃষ্ণভক্তরা তা মেনে নিতে পারেনি। এ মন্দির নিয়ে তাদের দুই গ্রুপে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।
এই মন্দির নিয়ে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মধ্যস্থতায় তা সমঝোতা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতুয়াভক্ত কৃষ্ণা রানী মন্দিরে পূজা দিতে এলে কৃষ্ণভক্ত লক্ষ্মী রানীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
মতুয়া সম্প্রদায়ের আহত কৃষ্ণা রানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভিন্ন একটি জায়গায় মন্দির করে পূজা-প্রার্থনা করি। মন্দির নির্মাণ করার পর থেকে কৃষ্ণভক্তরা সাধারণভাবে মেনে নিতে পারেনি। কয়েক মাস আগে তারা আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। আমরা সন্ধ্যায় পূজা দিতে গেলে কৃষ্ণভক্তরা আজেবাজে কথা বলে প্রতিবাদ করলে শিবাষ, সুমন, সাগর, তমিজসহ ১০-১২ জন আমাদের টানাহেঁচড়া করে পেটায়। আমার ছেলে আমাদের রক্ষা করতে আসলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।’
কৃষ্ণভক্তের আহত লক্ষ্মী রানী বলেন, ‘মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলমান। মন্দিরের জায়গা নিয়ে ঝগড়া হয়, ওই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় কমল শিকারি, মিঠুন, অনুজ, নরেষসহ ২০-২২ জন আমাদের বাড়িঘর থেকে বের দিয়ে আমাদের পিটিয়ে চারজনকে আহত করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী হাসান গাজী বলেন, ‘দুই দিনের সংঘর্ষে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’
দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদা নাসরিন জিতু জানান, আহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
দশমিনা থানার ওসি আব্দুল আলিম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পরিদর্শক ও গুলশান থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনায় এক মালয়েশিয়াপ্রবাসীর বাড়িতে অতর্কিত হামলা ও গুলির অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দাস
২৯ মিনিট আগেনোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সরুরগো পোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৫ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ভাড়াটিয়া হয়ে বসবাস করা দুই ভাই স্থানীয়দের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাড়ির (বাসা) মালিক গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে