Ajker Patrika

নেত্রকোনায় পাহাড়ে পানির জন্য হাহাকার

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪: ৪০
নেত্রকোনায় পাহাড়ে পানির জন্য হাহাকার

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলায় দুর্গাপুরের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাহাড়ে প্রায় প্রতিটি ঘরে চলছে পানির জন্য হাহাকার। পাহাড়ি ঝরনার ছড়ার ময়লাযুক্ত পানি ও পুকুরের ঘোলা পানিই এখন তাঁদের একমাত্র ভরসা। 

দুর্গাপুরের সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন ও কুল্লাগড়া ইউনিয়ন ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ি অঞ্চল। সেখানকার ১০ থেকে ১২টি গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। তবে তাদের কষ্টের অপর নাম পানি। পাহাড়ি ঝরনার ছড়া ও পুকুরের দূষিত পানি দিয়ে করতে হচ্ছে রান্না, গোসলসহ সব ধরনের কাজ। খেতেও হচ্ছে সেই পানি। এতে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বর্তমানে ওই সব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের কষ্ট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। 

সদর ইউনিয়নের গোপালপুর, ভবানীপুর, ফান্দা, বারমারী, ভরতপুর, গাজিকোনা গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ নলকূপ দিয়ে পানি আসে না। এর জন্য তারা বাধ্য হয়ে পুকুর বা পাহাড়ি ছড়ার পানি খাচ্ছে। এতে পেটের অসুখ, চর্মরোগসহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়েছে অনেকে। ওই গ্রামগুলোতে হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সংখ্যা বেশি থাকায় তাঁদের পক্ষে গভীর নলকূপ বসানো কিংবা গভীর কুয়া তৈরি করাও সম্ভব নয়। গ্রামে দু-একজন অধিক অর্থ ব্যয় করে সাবমারসিবল বসালেও বেশির ভাগ মানুষের ভাগ্যে জুটছে না বিশুদ্ধ পানি।  

গ্রামবাসী জানায়, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ও শুকনো মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে তাদের পানির জন্য খুবই কষ্ট করতে হচ্ছে। পাহাড়ি ছড়ার পানি আর পুকুরের ঘোলা পানিই এখন খেতে হচ্ছে। তা-ও দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়। সরকারিভাবেও কোনো রকম সহযোগিতা পাচ্ছে না। 

দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের আদিবাসী নারী বুবু মারাক। অতিদরিদ্র এই নারীর বাড়িতে নেই নলকূপ। ফলে পানির জন্য সারা বছরই কষ্ট করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমরার কল (টিউবওয়েল) নাই। আমরা অনেক আগে থাইকা পাহাড়ের ঝরনার যে ছড়ার পানি আছে ওইডাই খাই। রান্নাবান্নাসহ সব কাজ করি। খালি আমি না, সবারই এই অবস্থা।’   

একই এলাকার প্রবন্দ হাজং বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন পাহাড়ি ছড়ার পানি ব্যবহার করেছি। এই পানি খেয়ে অসুস্থ হতে হয়েছে অনেকবার। এখন একটু ভালো পানি খাওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা ঋণ করে বাড়ির সামনে সাবমারসিবল বসিয়েছি।’ 

পাহাড়ি ছড়া থেকে এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারী পানি সংগ্রহ করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে গত কয়েক বছর ধরে পানি পেতে হতদরিদ্র পরিবারগুলো তিন চাকের রিং বসিয়ে অগভীর কুয়া তৈরি করে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করলেও শুকনো মৌসুমে সেখানে পানি থাকে না। কোনো কোনোটায় পানি থাকলেও তা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সুপেয় পানি খেতে হলে দূর-দূরান্ত থেকে কাঁধে করে বয়ে আনতে হয়। 

বারোমারি গ্রামের হারিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িতে একটি নলকূপ আছে, কিন্তু তাতে পানি আসে না। বাধ্য হয়ে প্রতিদিন পুকুরের পানি ছাঁকনি করে তা দিয়েই রান্না, খাবারসহ সব চলে। পানির জন্য খুবই কষ্ট করতে হচ্ছে।’ 

স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক রেগুলার মানকিন বলেন, ‘আমাদের পানির খুবই অভাব। পাহাড়ি ছড়ায় গর্ত করে সে জায়গা থেকেই পানি সংগ্রহ করি সবাই। কিন্তু এই পানি বিশুদ্ধ না হওয়ায় নানা ধরনের রোগের দেখা দেয়। আমাদের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’ 

সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রীতা নকরেক বলেন, ‘আমাদের গ্রামে পানির তীব্র সংকট। পানির অভাবে গোসল, রান্না, কাপড় পরিষ্কারসহ নিত্যদিনের কাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একদিকে যেমন পানির অভাব, অন্যদিকে এবারের প্রচণ্ড গরমের কারণে পাহাড়ি ছড়া বা পুকুরের পানি দিনের বেলায় অনেক গরম হয়ে থাকায় রাতে আনতে হয়। সরকারিভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলে এলাকার মানুষের উপকার হতো।’ 

সদর ইউপির চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে গভীর টিউবওয়েল বসাতে হলে পাথর সরিয়ে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ফুট নিচে পর্যন্ত যেতে হয়। এটি ব্যয়বহুল, যা সেখানকার মানুষের জন্য কষ্টকর। তবে বিকল্প হিসেবে গভীর রিং টিউবওয়েল বসানো যায়। তাহলে আদিবাসীদের সুপেয় পানির সমস্যা কিছুটা দূর হবে। 

তিন চাকের রিং বসিয়ে তৈরি করা অগভীর কুয়া। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পাথরের জন্য গভীর নলকূপ বসানো সম্ভব হয় না। পাহাড়ি এলাকায় পানির সংকট নিরসনে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই পানির সংকট দূর করতে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করতে চাইছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম. রকিবুল হাসান বলেন, ‘পানিসংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওই গ্রামগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত ইভা নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় এই দম্পতি ভাড়া থাকতেন। ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানে লাশটি দেখতে পান। ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ইভার স্বামী দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি পলাতক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণের অনুমোদন

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নতুন ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণ এবং একটি হল পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন ও সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে রয়েছে ছাত্রদের জন্য তিনটি ও ছাত্রীদের জন্য তিনটি নতুন আবাসিক হল নির্মাণ, শেরেবাংলা ফজলুল হক হল পুনর্নির্মাণ, চিকিৎসাকেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, জুবেরী ভবনসহ কয়েকটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন পুনর্নির্মাণ, ইনোভেশন হাব নির্মাণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এসব হল ও ডরমিটরি নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি উন্নত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে উচ্চতর গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

এদিকে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১১টি ও মেয়েদের ৬টি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৩২ শতাংশ আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আরও দুটি নতুন হল নির্মাণাধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদ জাকসু নেতাদের

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকা 
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবি ক্যাম্পাসে জাকসু ও হল সংসদের নেতাদের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান ফটকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলে ‘শহীদ আলিফ যেই গেটে, ছাত্রলীগ কেন সেই গেটে’, ‘ছাত্রলীগ মিছিল করে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-সংলগ্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বটতলায় এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিত নেতারা। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও তাদের কিছু সদস্য উপস্থিত হয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সুযোগ বাইরে থেকে নয়, বরং ভেতর থেকে দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের হামলাকারীদের বিচার ও জাকসু নির্বাচনের পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে আজও আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রশাসনকে সতর্ক করছি, আপনারা কি ফ্যাসিবাদী দোসরদের পুনর্বাসন করতে চান, নাকি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট রক্ষা করতে চান? বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপস্থিতি আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে নতুবা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ কেমন হতে পারে, তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন।’

জাকসুর সহসভাপতি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘আমরা খুবই লজ্জিত হয়েছি, যখন দেখেছি গতকাল রাতে আমাদের প্রধান ফটকের সামনে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা মানববন্ধন করে যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব ব্যক্তি বসে আছেন, এটা কিন্তু আপনাদের জন্য অনেকটা লজ্জার।’

এর আগে একই ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাখা ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত