নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এলাকার কয়েক বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাসকা বাজারসংলগ্ন স্থানে হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজার রয়েছে। ওই মাজারে দীর্ঘদিন ধরে বার্ষিক ওরস পালন করে আসছেন ল্যাংটা পাগলার ভক্তরা। এবার ৬৪তম বার্ষিক ওরস পালনের প্রস্তুতি নেয় মাজার কমিটি। তবে পবিত্র রমজান মাস থাকায় বুধবার (০৫ মার্চ) শুধু দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মাজার কমিটি। এ উপলক্ষে তোরণ নির্মাণসহ মাজারের আশপাশে আলোকসজ্জা করা হয়। কিন্তু সোমবার রাতে স্থানীয় মসজিদে তারাবির নামাজের পর তৌহিদি জনতার পরিচয়ে লোকজন হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, তারাবির নামাজের পর ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মাজারে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তোরণ, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ভেঙে ফেলে। এতে ওরস পণ্ড হয়ে যায়। ওই ব্যক্তি জানান, মাজারে হামলার খবর পেয়ে এলাকার শত শত ভক্ত মাজারে জড়ো হন।
পরে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
তৌহিদি জনতার এক সদস্য বলেন, ‘এখানে তারা মাজার করবে, গান-বাজনা, নাচানাচি ও মাদকসেবন করবে—এটি আমরা তৌহিদি জনতা করতে দেব না। আমরা বেশ কয়েকবার তাদের বুঝিয়েছি এসব হারাম কাজ না করার জন্য। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে গেট, প্যান্ডেল বানানোসহ ওরসের আয়োজন করে। আমাদের দাবি একটাই, এসব বেদাত কাজকর্ম চলবে না। আর মাজার কমিটি আমাদের কথা না মেনে কেন ওরস আয়োজন করল তা তৌহিদি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না করলে আমরা তৌহিদি জনতা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।’
মাজার কমিটির সভাপতি আলী উছমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এখানে ভক্তরা ওরস পালন করে আসছেন। এবার রমজান মাস থাকায় আমরা শুধু দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তৌহিদি জনতার নামে লোকজন লাঠি মিছিল করে মাজারে হামলা চালায়। এ সময় ভক্তরা খবর পেয়ে মাজারে আসতে থাকেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।’
জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘বুধবার মাজারে ওরস করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কমিটির লোকজন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এলাকার কয়েক বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাসকা বাজারসংলগ্ন স্থানে হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজার রয়েছে। ওই মাজারে দীর্ঘদিন ধরে বার্ষিক ওরস পালন করে আসছেন ল্যাংটা পাগলার ভক্তরা। এবার ৬৪তম বার্ষিক ওরস পালনের প্রস্তুতি নেয় মাজার কমিটি। তবে পবিত্র রমজান মাস থাকায় বুধবার (০৫ মার্চ) শুধু দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মাজার কমিটি। এ উপলক্ষে তোরণ নির্মাণসহ মাজারের আশপাশে আলোকসজ্জা করা হয়। কিন্তু সোমবার রাতে স্থানীয় মসজিদে তারাবির নামাজের পর তৌহিদি জনতার পরিচয়ে লোকজন হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, তারাবির নামাজের পর ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে মাজারে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তোরণ, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ভেঙে ফেলে। এতে ওরস পণ্ড হয়ে যায়। ওই ব্যক্তি জানান, মাজারে হামলার খবর পেয়ে এলাকার শত শত ভক্ত মাজারে জড়ো হন।
পরে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
তৌহিদি জনতার এক সদস্য বলেন, ‘এখানে তারা মাজার করবে, গান-বাজনা, নাচানাচি ও মাদকসেবন করবে—এটি আমরা তৌহিদি জনতা করতে দেব না। আমরা বেশ কয়েকবার তাদের বুঝিয়েছি এসব হারাম কাজ না করার জন্য। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে গেট, প্যান্ডেল বানানোসহ ওরসের আয়োজন করে। আমাদের দাবি একটাই, এসব বেদাত কাজকর্ম চলবে না। আর মাজার কমিটি আমাদের কথা না মেনে কেন ওরস আয়োজন করল তা তৌহিদি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না করলে আমরা তৌহিদি জনতা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।’
মাজার কমিটির সভাপতি আলী উছমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এখানে ভক্তরা ওরস পালন করে আসছেন। এবার রমজান মাস থাকায় আমরা শুধু দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তৌহিদি জনতার নামে লোকজন লাঠি মিছিল করে মাজারে হামলা চালায়। এ সময় ভক্তরা খবর পেয়ে মাজারে আসতে থাকেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।’
জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘বুধবার মাজারে ওরস করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কমিটির লোকজন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’
কারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
২০ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৩৫ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
১ ঘণ্টা আগে