ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ তুলেছেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান মলিন। তিনি ইসলামপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন।
হামিদুর রহমানের অভিযোগ, নৌকা প্রতীক নিয়ে যাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাঁরা এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পদধারী আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও দাপটের সঙ্গে তাঁদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করছেন না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান মলিন। তবে ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত আসামিকে ছেড়ে না দেওয়ায় তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলির হুমকি দিয়েছেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান।
যুবদল নেতার দাবি, ওসির অভিযোগ সঠিক নয়। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ উপজেলার চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গত রোববার (১৬ মার্চ) রাতে বেনুয়ারচর সরদার গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন বেনুয়ারচর ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মিষ্টার আলী। রাত ২টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেককে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর পুলিশকে ফোন করে আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে বলেন যুবদল নেতা মলিন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ভোরের দিকে ঘটনাস্থলে যান ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফ। এ সময় যুবদল নেতা মলিন গ্রেপ্তার আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে ওসিকে ফোন করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে বদলি করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. সামছুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টার দিকে আব্দুল খালেককে আটক করি। যুবদল নেতা মলিন মোবাইল ফোনে আসামি আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আমি জানালে ঘটনাস্থলে ওসি স্যার গিয়ে আসামিকে থানায় আনেন।’
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আব্দুল খালেককে পুলিশ আটক করে। আব্দুল খালেক ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ৪৭ নম্বর সদস্য।
তাঁকে ছাড়াতে বেআইনি তদবির করেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান মলিন। পরে আমি অনেকটা বাধ্য হয়ে ভোরে ঘটনাস্থলে যাই। এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেওয়া হবে না জানালে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন যুবদল নেতা মলিন। একপর্যায়ে তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব স্যারের কাছে গিয়ে আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেবেন বলে হুমকি দেন।’
ওসির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান মলিন বলেন, ‘আমি ওসি সাহেবকে বদলির হুমকি দিইনি। এটা প্রমাণ করতে পারবেন না তিনি। মূলত আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচার করা হচ্ছে। নৌকা প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যানেরাসহ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারা এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও তাঁদের গ্রেপ্তার করছেন না ওসি। এ নিয়ে কথা বলায় ওসি সাহেব আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন। সেদিন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমানের বাবা নিরপরাধ আব্দুল খালেককে আটক করার বিষয়ে শুধু কথা বলেছি। ওসি সাহেব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’
তবে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মুকুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনিছুর রহমান যুবদল করেন না। তিনি মূলত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু পাননি।’
এ বিষয়ে মামলার বাদী মিষ্টার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারামারির ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছি। ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ওসিকে বদলির হুমকির বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। এইমাত্র শুনলাম। কাউকে বদলির হুমকি দেওয়া শিশুসুলভ আচরণ। আমরা কাউকে এ রকম হুমকি দেওয়ার এখতিয়ার রাখি না। পাল্টাপাল্টি অভিযোগও শুভ নয়।’
জামালপুরের ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ তুলেছেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান মলিন। তিনি ইসলামপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন।
হামিদুর রহমানের অভিযোগ, নৌকা প্রতীক নিয়ে যাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাঁরা এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পদধারী আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও দাপটের সঙ্গে তাঁদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করছেন না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান মলিন। তবে ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত আসামিকে ছেড়ে না দেওয়ায় তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলির হুমকি দিয়েছেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান।
যুবদল নেতার দাবি, ওসির অভিযোগ সঠিক নয়। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ উপজেলার চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে গত রোববার (১৬ মার্চ) রাতে বেনুয়ারচর সরদার গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন বেনুয়ারচর ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মিষ্টার আলী। রাত ২টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেককে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর পুলিশকে ফোন করে আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে বলেন যুবদল নেতা মলিন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ভোরের দিকে ঘটনাস্থলে যান ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফ। এ সময় যুবদল নেতা মলিন গ্রেপ্তার আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে ওসিকে ফোন করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে বদলি করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. সামছুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টার দিকে আব্দুল খালেককে আটক করি। যুবদল নেতা মলিন মোবাইল ফোনে আসামি আব্দুল খালেককে ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আমি জানালে ঘটনাস্থলে ওসি স্যার গিয়ে আসামিকে থানায় আনেন।’
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ওসি মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আব্দুল খালেককে পুলিশ আটক করে। আব্দুল খালেক ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ৪৭ নম্বর সদস্য।
তাঁকে ছাড়াতে বেআইনি তদবির করেন যুবদল নেতা হামিদুর রহমান মলিন। পরে আমি অনেকটা বাধ্য হয়ে ভোরে ঘটনাস্থলে যাই। এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেওয়া হবে না জানালে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন যুবদল নেতা মলিন। একপর্যায়ে তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব স্যারের কাছে গিয়ে আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেবেন বলে হুমকি দেন।’
ওসির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান মলিন বলেন, ‘আমি ওসি সাহেবকে বদলির হুমকি দিইনি। এটা প্রমাণ করতে পারবেন না তিনি। মূলত আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচার করা হচ্ছে। নৌকা প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যানেরাসহ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারা এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও তাঁদের গ্রেপ্তার করছেন না ওসি। এ নিয়ে কথা বলায় ওসি সাহেব আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন। সেদিন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমানের বাবা নিরপরাধ আব্দুল খালেককে আটক করার বিষয়ে শুধু কথা বলেছি। ওসি সাহেব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’
তবে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মুকুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আনিছুর রহমান যুবদল করেন না। তিনি মূলত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু পাননি।’
এ বিষয়ে মামলার বাদী মিষ্টার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারামারির ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছি। ১১ নম্বর আসামি আব্দুল খালেক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ওসিকে বদলির হুমকির বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। এইমাত্র শুনলাম। কাউকে বদলির হুমকি দেওয়া শিশুসুলভ আচরণ। আমরা কাউকে এ রকম হুমকি দেওয়ার এখতিয়ার রাখি না। পাল্টাপাল্টি অভিযোগও শুভ নয়।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
১৮ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২২ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৩ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৩৭ মিনিট আগে