নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কেন্দুয়া বিএনপির নেতা খোকন আহমেদের গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা ৩০৪ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। গোপন সংবাদে ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার শহরের বাদে আঠারো বাড়ি এলাকার একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আজ শনিবার মদনের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জামিউল ইসলাম সাকিব এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মো. খোকন আহমেদ (৫০) কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি। তিনি কেন্দুয়া পৌরসভার বাদে আঠারো বাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং ওই এলাকায় তাঁর মালিকানাধীন মেসার্স নাহার ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ঈদে ভিজিএফের মাধ্যমে দরিদ্রদের বিতরণের জন্য দেওয়া বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল নিজের গুদামে অবৈধভাবে মজুত করেন খোকন আহমেদ। এমন গোপন খবরে গতকাল দুপুরে কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারো বাড়ি এলাকায় থাকা মেসার্স নাহার ট্রেডার্সের গুদামে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।
অভিযান টের পেয়ে একটি হ্যান্ডট্রলি করে এসব চাল গুদাম থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই বিএনপি নেতা। এ সময় হ্যান্ডট্রলিটি বঙ্গানিয়া মোড় থেকে আটক করে পুনরায় গুদামের সামনে নিয়ে আসে। পরে গোডাউন ও ট্রলিসহ মোট ৩০৪ বস্তা চাল জব্দ করা হয়, যার ওজন প্রায় ১৩ হাজার ৫১৫ কেজি। এসব চালের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৩০ টাকা। জব্দকৃত চালের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের পাটের বস্তা, টিসিবির বস্তা, নীল, সাদা ও হলুদ রঙের বিভিন্ন প্লাস্টিকের বস্তা ছিল বলে জানা গেছে।
অভিযানের সময় খোকন আহমেদকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করে ডাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। ফলে তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে জব্দ করা চাল কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত খোকন আহমেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি, যা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, ‘সরকারি ত্রাণের চাল মজুত করে রাখা এবং সরিয়ে ফেলার চেষ্টা যে উদ্দেশ্যেই হোক, তা একটি গুরুতর অপরাধ। অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জামিউল ইসলাম সাকিব বলেন, জব্দকৃত হ্যান্ডট্রলিতে ৩০৪ বস্তা সরকারি আতপ চাল ছিল। গেল ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে এসব চাল দেওয়া হয়েছিল। হ্যান্ডট্রলিতে নিচে খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি বস্তা, আর ওপরে কিছু সাদা বস্তায় চালগুলো রেখে নিয়ে যাচ্ছিল।
সঙ্গে থাকা লোকজন বিভিন্ন কাগজপত্র দেখিয়ে বলেছেন, বিতরণের পর বেঁচে যাওয়া এসব চাল তাঁরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কিনেছেন। অনুমতি থাকলে তাঁরা চালগুলো এভাবে লুকিয়ে নিয়ে যাবে কেন? এটাও প্রশ্ন। বেঁচে যাওয়া চাল বিক্রি করার নিয়ম আছে কি না, বিষয়টা জানতে হবে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ছুটিতে আছেন, আজ রাতে ফিরবেন বলেছেন। তারপর এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলব।
তিনি আরও বলেন, গুদামের মালিক খোকন আহমেদকে মোবাইল ফোনে কল করে ডাকা হলেও তিনি আসেননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। উপস্থিত দুজনকে আটক করা হলেও তাঁদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মো. খোকন আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জব্দকৃত চালগুলো উপজেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। আজ রাতে কর্মস্থলে ফিরব। ঘটনা শুনেছি। এসে এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনার কেন্দুয়া বিএনপির নেতা খোকন আহমেদের গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা ৩০৪ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। গোপন সংবাদে ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার শহরের বাদে আঠারো বাড়ি এলাকার একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আজ শনিবার মদনের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জামিউল ইসলাম সাকিব এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মো. খোকন আহমেদ (৫০) কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি। তিনি কেন্দুয়া পৌরসভার বাদে আঠারো বাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং ওই এলাকায় তাঁর মালিকানাধীন মেসার্স নাহার ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ঈদে ভিজিএফের মাধ্যমে দরিদ্রদের বিতরণের জন্য দেওয়া বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল নিজের গুদামে অবৈধভাবে মজুত করেন খোকন আহমেদ। এমন গোপন খবরে গতকাল দুপুরে কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারো বাড়ি এলাকায় থাকা মেসার্স নাহার ট্রেডার্সের গুদামে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।
অভিযান টের পেয়ে একটি হ্যান্ডট্রলি করে এসব চাল গুদাম থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই বিএনপি নেতা। এ সময় হ্যান্ডট্রলিটি বঙ্গানিয়া মোড় থেকে আটক করে পুনরায় গুদামের সামনে নিয়ে আসে। পরে গোডাউন ও ট্রলিসহ মোট ৩০৪ বস্তা চাল জব্দ করা হয়, যার ওজন প্রায় ১৩ হাজার ৫১৫ কেজি। এসব চালের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৩০ টাকা। জব্দকৃত চালের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের পাটের বস্তা, টিসিবির বস্তা, নীল, সাদা ও হলুদ রঙের বিভিন্ন প্লাস্টিকের বস্তা ছিল বলে জানা গেছে।
অভিযানের সময় খোকন আহমেদকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করে ডাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। ফলে তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে জব্দ করা চাল কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত খোকন আহমেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি, যা নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, ‘সরকারি ত্রাণের চাল মজুত করে রাখা এবং সরিয়ে ফেলার চেষ্টা যে উদ্দেশ্যেই হোক, তা একটি গুরুতর অপরাধ। অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জামিউল ইসলাম সাকিব বলেন, জব্দকৃত হ্যান্ডট্রলিতে ৩০৪ বস্তা সরকারি আতপ চাল ছিল। গেল ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে এসব চাল দেওয়া হয়েছিল। হ্যান্ডট্রলিতে নিচে খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি বস্তা, আর ওপরে কিছু সাদা বস্তায় চালগুলো রেখে নিয়ে যাচ্ছিল।
সঙ্গে থাকা লোকজন বিভিন্ন কাগজপত্র দেখিয়ে বলেছেন, বিতরণের পর বেঁচে যাওয়া এসব চাল তাঁরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কিনেছেন। অনুমতি থাকলে তাঁরা চালগুলো এভাবে লুকিয়ে নিয়ে যাবে কেন? এটাও প্রশ্ন। বেঁচে যাওয়া চাল বিক্রি করার নিয়ম আছে কি না, বিষয়টা জানতে হবে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ছুটিতে আছেন, আজ রাতে ফিরবেন বলেছেন। তারপর এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলব।
তিনি আরও বলেন, গুদামের মালিক খোকন আহমেদকে মোবাইল ফোনে কল করে ডাকা হলেও তিনি আসেননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। উপস্থিত দুজনকে আটক করা হলেও তাঁদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মো. খোকন আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জব্দকৃত চালগুলো উপজেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। আজ রাতে কর্মস্থলে ফিরব। ঘটনা শুনেছি। এসে এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে