নেত্রকোনা প্রতিনিধি
ঢাকার সাভারে একটি সরিষার তেলের কারখানায় কাজ করে স্ত্রী আর চার সন্তানের ভরণপোষণ করতেন সাব্বির ইসলাম (৪৮)। গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করতে দেখে কর্মহীন সাব্বিরের শাসক দলের ওপর ক্ষোভ বাড়ছিল। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। ৫ আগস্ট সকালে সাভারের বাইপাইল এলাকায় ডান কানের পাশ দিয়ে পুলিশের করা গুলি ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। তাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
সাব্বির ইসলাম নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার লুনেশ্বর ইউনিয়নের খিলা বাউন্দি গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট সাব্বির। আট বছর আগে বাবা মারা যান। ২০-২২ বছর আগে উপজেলা সদরের বানিয়াজান গ্রামের ফরিদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। দরিদ্র বাবার সন্তান সাব্বির বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি চলে যান। সাব্বিরের শ্বশুরবাড়ির পরিবারও অভাবী। সেখানে গিয়ে একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করছিলেন। সাত-আট বছর আগে সেই কুঁড়েঘরটিও ভেঙে পড়ে। জীবিকার তাগিদে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গিয়ে একটি সরিষার তেলের কারখানায় কাজ শুরু করেন।
সাব্বিরের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ১২ বছর বয়সী ছেলে মো. মমিন মিয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সাব্বিরের রোজগারে কোনো রকম চলছিল ছয় সদস্যের পরিবার। কিন্তু ৫ আগস্ট গুলিতে শেষ হয়ে গেল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় ফরিদা বেগম। কান্নায় ভেঙে পড়া ফরিদা বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমার প্রতিবন্ধী ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব?’
ফরিদা বেগম আরও বলেন, ‘আন্দোলন শুরু হওয়ার পর কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কাজ না থাকায় ধারদেনা করে চলেছি। ছেলে-মেয়েরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চলছিল। এসব দেখে আন্দোলনে যোগ দেন সাব্বির। যাওয়ার সময় বলে যান, আন্দোলন শেষ হলে ছেলে-মেয়েদের জন্য বাজার সদাই নিয়ে আসবেন। নয়তো আন্দোলনে জীবন দেবেন। কিছু একটা ফয়সালা করেই ঘরে ফিরবেন।’
ফরিদা বেগম আরও বলেন, ‘দেশ তো স্বাধীন হলো। সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু আমার যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনো দিন পূরণ হবে না। এতগুলো পোলাপান নিয়ে আমি কীভাবে চলব? তাদের ভরণপোষণ, পড়াশোনা কীভাবে করব। কত কিছু স্বপ্ন ছিল, সবই তো শেষ। এই মৃত্যুর বিচার আল্লাহর কাছেই দিলাম। তিনিই মহা ক্ষমতাশালী।’
ফরিদা বেগমের ভাই মো. চঞ্চল মিয়া বলেন, ‘রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। বোনের এই বিপদে যতটুকু সামর্থ্য আছে করার চেষ্টা করছি। সাব্বিরের পোলাপানগুলো দেখাশোনা করা, তাদের মানুষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। মহা অন্ধকারে ছেয়ে গেছে ফরিদা ও তার পোলাপানের ভবিষ্যৎ। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
ঢাকার সাভারে একটি সরিষার তেলের কারখানায় কাজ করে স্ত্রী আর চার সন্তানের ভরণপোষণ করতেন সাব্বির ইসলাম (৪৮)। গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করতে দেখে কর্মহীন সাব্বিরের শাসক দলের ওপর ক্ষোভ বাড়ছিল। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। ৫ আগস্ট সকালে সাভারের বাইপাইল এলাকায় ডান কানের পাশ দিয়ে পুলিশের করা গুলি ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। তাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
সাব্বির ইসলাম নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার লুনেশ্বর ইউনিয়নের খিলা বাউন্দি গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট সাব্বির। আট বছর আগে বাবা মারা যান। ২০-২২ বছর আগে উপজেলা সদরের বানিয়াজান গ্রামের ফরিদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। দরিদ্র বাবার সন্তান সাব্বির বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি চলে যান। সাব্বিরের শ্বশুরবাড়ির পরিবারও অভাবী। সেখানে গিয়ে একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করছিলেন। সাত-আট বছর আগে সেই কুঁড়েঘরটিও ভেঙে পড়ে। জীবিকার তাগিদে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গিয়ে একটি সরিষার তেলের কারখানায় কাজ শুরু করেন।
সাব্বিরের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ১২ বছর বয়সী ছেলে মো. মমিন মিয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সাব্বিরের রোজগারে কোনো রকম চলছিল ছয় সদস্যের পরিবার। কিন্তু ৫ আগস্ট গুলিতে শেষ হয়ে গেল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় ফরিদা বেগম। কান্নায় ভেঙে পড়া ফরিদা বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল। এখন আমার প্রতিবন্ধী ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব?’
ফরিদা বেগম আরও বলেন, ‘আন্দোলন শুরু হওয়ার পর কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কাজ না থাকায় ধারদেনা করে চলেছি। ছেলে-মেয়েরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চলছিল। এসব দেখে আন্দোলনে যোগ দেন সাব্বির। যাওয়ার সময় বলে যান, আন্দোলন শেষ হলে ছেলে-মেয়েদের জন্য বাজার সদাই নিয়ে আসবেন। নয়তো আন্দোলনে জীবন দেবেন। কিছু একটা ফয়সালা করেই ঘরে ফিরবেন।’
ফরিদা বেগম আরও বলেন, ‘দেশ তো স্বাধীন হলো। সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু আমার যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনো দিন পূরণ হবে না। এতগুলো পোলাপান নিয়ে আমি কীভাবে চলব? তাদের ভরণপোষণ, পড়াশোনা কীভাবে করব। কত কিছু স্বপ্ন ছিল, সবই তো শেষ। এই মৃত্যুর বিচার আল্লাহর কাছেই দিলাম। তিনিই মহা ক্ষমতাশালী।’
ফরিদা বেগমের ভাই মো. চঞ্চল মিয়া বলেন, ‘রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। বোনের এই বিপদে যতটুকু সামর্থ্য আছে করার চেষ্টা করছি। সাব্বিরের পোলাপানগুলো দেখাশোনা করা, তাদের মানুষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। মহা অন্ধকারে ছেয়ে গেছে ফরিদা ও তার পোলাপানের ভবিষ্যৎ। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
শরীয়তপুরে নেশার টাকা জোগাতে নিজের দেড় মাসের শিশুকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মা-বাবার বিরুদ্ধে।
৬ মিনিট আগেচাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধে ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত রায় দিয়েছেন।
১৪ মিনিট আগেরাজধানীর ডেমরা থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাঁকে জামিন দেন।
১৮ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গার দর্শনা হল্ট স্টেশনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
২২ মিনিট আগে