জাককানইবি প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার অভিযুক্ত ১৩ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিভাগের ৩০ জন ভুক্তভোগী ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে বলা হয়, ‘আমরা ১৮তম আবর্তনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা আমাদের ‘চেইন অব কমান্ড’ ও ‘ভার্সিটির কালচার’ শেখানোর নামে অমানুষিক নির্যাতন করেন। ম্যানার শেখানোর নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের আটকে রাখা হয়। কারও অসুস্থতা বা কোনো অসুবিধা বিবেচনা করা হয়নি। ছেলেদের রাতে বঙ্গবন্ধু হলের ৪১৬ ও ৮২৪ নম্বর কক্ষে এবং জঙ্গলবাড়িতে নিয়ে হেনস্তা করে ফজরের নামাজের সময় ছাড়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আমাদের ব্যাচের ৩২ শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মানসিক অত্যাচার করা হয়। যার ফলে সেখানে উপস্থিত দুজন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ রকম মিটিংয়ে এর আগেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছেলেদের বেশি অত্যাচার করা হয় শারীরিক ও মানসিকভাবে। এসব কাজে জড়িত উল্লেখযোগ্য সিনিয়রদের নামগুলো হলো–আশরাফ, মাসুম, ইমরান, জিসান, মারুফ, নিঝুম, তামান্না, ডানা, জীম, ফারিহা, পুনম, অর্পিতা ও লিজা তালুকদার।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, ‘আমাদের সিনিয়রদের জেলাসহ নাম মুখস্থ করতে হয়। এমনকি কোন সিনিয়রের কী পছন্দ, তাও মনে রাখতে বলা হয়। জোরপূর্বক ছেলেদের নারী সিনিয়রের নম্বর দিয়ে বলা হয় প্রপোজ করে কুপ্রস্তাব দিতে।
এ ছাড়া নানাভাবে মেয়েদের হেনস্তা করা হয়। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়। এসব কারণে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমাদের ক্লাসমেট লাইজু একবার এসব বিষয়ের ভিডিও সাংবাদিকদের জানাতে চান। এই খবর জেনে আমাদের ওপর জোর করা হয়, যেন আমরা তাঁর সঙ্গে কথা না বলি। তাঁকে যেন আমরা বয়কট করি, এর জন্য সিনিয়ররা আমাদের চাপ দেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী জানান, ‘আমাদের সিনিয়ররা ডেকে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আটকে রেখে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করে। দাঁড় করিয়ে অপমান করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনকি নানান ইঙ্গিতে আমাদের অসম্মান করা হয়। একদিন এক ছেলেকে আমাদের একজনের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, ‘তুই কি ওর সঙ্গে শুবি নাকি?’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অনেকেই রান্না করে খাই। আমাদের রাত পর্যন্ত আটকে রাখায় খাওয়াদাওয়াও ঠিকমতো হয় না। এসব বিষয়ে আমরা কাউকে কিছু যেন না জানাই, সে জন্য সব সময় বয়কটের ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, বিভাগীয় প্রধান-প্রক্টরদের আমরা পকেটে নিয়ে ঘুরি। তাই আমরা এসব বিষয়ে কাউকে জানানোর সাহস করতে পারিনি। আজকে আমাদের মধ্যে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কারও অসুস্থতার কথা বলা হলে তাঁরা বলেন, এগুলো আমরা অজুহাত দেখাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভাগ থেকে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাতে এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিভাগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীরা এসে অভিযোগপত্রটি তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রক্টর অফিস থেকেও দেওয়া হবে কারণ দর্শানোর নোটিশ।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার অভিযুক্ত ১৩ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিভাগের ৩০ জন ভুক্তভোগী ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে বলা হয়, ‘আমরা ১৮তম আবর্তনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা আমাদের ‘চেইন অব কমান্ড’ ও ‘ভার্সিটির কালচার’ শেখানোর নামে অমানুষিক নির্যাতন করেন। ম্যানার শেখানোর নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাদের আটকে রাখা হয়। কারও অসুস্থতা বা কোনো অসুবিধা বিবেচনা করা হয়নি। ছেলেদের রাতে বঙ্গবন্ধু হলের ৪১৬ ও ৮২৪ নম্বর কক্ষে এবং জঙ্গলবাড়িতে নিয়ে হেনস্তা করে ফজরের নামাজের সময় ছাড়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আমাদের ব্যাচের ৩২ শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মানসিক অত্যাচার করা হয়। যার ফলে সেখানে উপস্থিত দুজন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ রকম মিটিংয়ে এর আগেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছেলেদের বেশি অত্যাচার করা হয় শারীরিক ও মানসিকভাবে। এসব কাজে জড়িত উল্লেখযোগ্য সিনিয়রদের নামগুলো হলো–আশরাফ, মাসুম, ইমরান, জিসান, মারুফ, নিঝুম, তামান্না, ডানা, জীম, ফারিহা, পুনম, অর্পিতা ও লিজা তালুকদার।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, ‘আমাদের সিনিয়রদের জেলাসহ নাম মুখস্থ করতে হয়। এমনকি কোন সিনিয়রের কী পছন্দ, তাও মনে রাখতে বলা হয়। জোরপূর্বক ছেলেদের নারী সিনিয়রের নম্বর দিয়ে বলা হয় প্রপোজ করে কুপ্রস্তাব দিতে।
এ ছাড়া নানাভাবে মেয়েদের হেনস্তা করা হয়। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়। এসব কারণে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমাদের ক্লাসমেট লাইজু একবার এসব বিষয়ের ভিডিও সাংবাদিকদের জানাতে চান। এই খবর জেনে আমাদের ওপর জোর করা হয়, যেন আমরা তাঁর সঙ্গে কথা না বলি। তাঁকে যেন আমরা বয়কট করি, এর জন্য সিনিয়ররা আমাদের চাপ দেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী জানান, ‘আমাদের সিনিয়ররা ডেকে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আটকে রেখে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করে। দাঁড় করিয়ে অপমান করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনকি নানান ইঙ্গিতে আমাদের অসম্মান করা হয়। একদিন এক ছেলেকে আমাদের একজনের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, ‘তুই কি ওর সঙ্গে শুবি নাকি?’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অনেকেই রান্না করে খাই। আমাদের রাত পর্যন্ত আটকে রাখায় খাওয়াদাওয়াও ঠিকমতো হয় না। এসব বিষয়ে আমরা কাউকে কিছু যেন না জানাই, সে জন্য সব সময় বয়কটের ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, বিভাগীয় প্রধান-প্রক্টরদের আমরা পকেটে নিয়ে ঘুরি। তাই আমরা এসব বিষয়ে কাউকে জানানোর সাহস করতে পারিনি। আজকে আমাদের মধ্যে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কারও অসুস্থতার কথা বলা হলে তাঁরা বলেন, এগুলো আমরা অজুহাত দেখাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভাগ থেকে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের উত্থাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা রাতে এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিভাগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীরা এসে অভিযোগপত্রটি তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রক্টর অফিস থেকেও দেওয়া হবে কারণ দর্শানোর নোটিশ।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ফের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন খোদ মালিকেরাই। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান রতন।
১ ঘণ্টা আগেএকপর্যায়ে চালক পেছনের দুই যাত্রীকে ‘বস বস’ বলে কী যেন বলতে থাকেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার পার হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী হঠাৎ মোকসেদ আলীর চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলেন। তখন তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা আদতে অপহরণকারী চক্রের সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপসচিব তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর বাউফলে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক নতুন ও পুরোনো পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বইগুলো উদ্ধার করে স্কুলে জমা দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে