গারো পাহাড়
জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকার বনাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই প্রায় প্রতিদিন ঘটছে অগ্নিকাণ্ড। মরে যাচ্ছে শাল-গজারি গাছের চারা। বনের কীটপতঙ্গ ও পশুপাখিও মারা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গুল্মজাতীয় ঔষধি লতাপাতা ও বনের গাছ। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। তবে কে বা কারা আগুন দিচ্ছে বনে, জানে না কেউই। বন বিভাগ বলছে, প্রতিবছরই দিনে ও রাতের বিভিন্ন সময় এই আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। স্বল্প লোকবল নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বনপ্রহরীরাও।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের মধুটিলা, রাংটিয়া ও বালিজুড়ি রেঞ্জসহ জেলায় প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমি রয়েছে। শুষ্ক মৌসুম শুরুতেই প্রতিদিনই বনের বিভিন্ন জায়গায় আগুন দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। গত তিন দিনে উপজেলার কাংশা, রাংটিয়া, হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট, দরবেশটিলা এলাকার বিস্তৃত শালবনের কমপক্ষে ২০টি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শেরপুরের গারো পাহাড়ের শাল-গজারির বনটি মূলত পত্রঝরা বন। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এই বনের গাছ থেকে প্রচুর শুষ্ক পাতা ঝরে পড়ে। এই পাতাতেই আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গুল্মজাতীয় লতাপাতা এবং ঔষধিগাছ পুড়ে যাওয়ায় খাদ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে বন্য প্রাণীদের। এভাবে আগুন দেওয়া চলতে থাকলে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি বনের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া আশঙ্কা রয়েছে।
গত শনিবার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশের বনের বিশাল এলাকাজুড়ে ঝরা পাতা ও ছোট ছোট চারা গাছগুলো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে পাহাড়ি মাটিও।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বনের ভেতর একটি অসাধু চক্র নিজেদের সুবিধার্থে এ কাজ করে। আগুন দিয়ে বন পরিষ্কার করে সেখানে চাষাবাদ করে। এমনকি আগুনে পুড়ে গাছ মরে গেলে রাতের আঁধারে তা চুরি করে।
রাংটিয়া এলাকার যুবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতকারী আছে, যারা পাহাড়দ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী—তারাই পাহাড়ে আগুন দেয়। তারা এই বনকে, প্রকৃতিকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বন বিভাগসহ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
ছোট গজনী এলাকার সামাজিক বনায়নের অংশীদার মো. হুরমুজ আলী বলেন, ‘বনে বেশি পরিমাণ পাতা জমা হওয়ায় বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকেও আগুন লেগে যাচ্ছে। বাইরে থেকে আসা পর্যটকেরাও না বুঝে বিড়ি-সিগারেটের আগুন ফেলছেন। আমরা আগুন নেভাতে বন বিভাগের লোকজনের সঙ্গে কাজ করি। তবে কে বা কারা আগুন দিচ্ছে, তাদের ধরা যাচ্ছে না।’
শুকনো পাতার কারণে আগুন অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে বন বিভাগের লোকজনকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখছি না—বলেন, রাংটিয়া এলাকার কৃষক হামিদুল্লাহ।
গজনী এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটক শোয়াইব হাসান বলেন, আগুনে বন ধ্বংস এবং বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে গেলে গারো পাহাড়ে পর্যটকও আসবেন না। তাই কঠোর নজরদারির মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা হোক।
পরিবেশবাদী সংগঠন শাইনের নির্বাহী পরিচালক ও ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার মো. মুগনিউর রহমান মনি বলেন, ‘গারো পাহাড়ে আগুন দিয়ে গাছপালা ধ্বংসসহ প্রাণী ও কীটপতঙ্গ হত্যা করছে একদল দুর্বৃত্ত। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের অনুরোধ, বন বাঁচাতে দ্রুত বনে নজরদারি বাড়িয়ে এসব দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘এই আগুন নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই এমনভাবে বনের ঝরে পড়া পাতায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে এবার এই রেঞ্জে আগুন দেওয়ার ঘটনাটা বেশি। আগুনের কারণে কীটপতঙ্গ ও বনের ছোট ছোট গাছপালা, ঝোপঝাড় পুড়ে যাচ্ছে। এতে বনের ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। আমরা স্বল্প লোকবল নিয়ে আগুন মোকাবিলায় চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এস বি তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, ‘এখন শুকনো মৌসুম। শালপাতা খুবই শুষ্ক অবস্থায় বনে পড়ে স্তূপ হয়ে থাকে। এক জায়গায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না আনতে আরেক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আমাদের স্বল্প জনবল দিয়ে এত বড় পাহাড়ের আগুন নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন। এরপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সহকারী বন সংরক্ষক আরও বলেন, আগুনের ঘটনায় গত শনিবার রাতে ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এসব আগুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকার বনাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই প্রায় প্রতিদিন ঘটছে অগ্নিকাণ্ড। মরে যাচ্ছে শাল-গজারি গাছের চারা। বনের কীটপতঙ্গ ও পশুপাখিও মারা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গুল্মজাতীয় ঔষধি লতাপাতা ও বনের গাছ। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। তবে কে বা কারা আগুন দিচ্ছে বনে, জানে না কেউই। বন বিভাগ বলছে, প্রতিবছরই দিনে ও রাতের বিভিন্ন সময় এই আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। স্বল্প লোকবল নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বনপ্রহরীরাও।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের মধুটিলা, রাংটিয়া ও বালিজুড়ি রেঞ্জসহ জেলায় প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমি রয়েছে। শুষ্ক মৌসুম শুরুতেই প্রতিদিনই বনের বিভিন্ন জায়গায় আগুন দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। গত তিন দিনে উপজেলার কাংশা, রাংটিয়া, হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট, দরবেশটিলা এলাকার বিস্তৃত শালবনের কমপক্ষে ২০টি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শেরপুরের গারো পাহাড়ের শাল-গজারির বনটি মূলত পত্রঝরা বন। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এই বনের গাছ থেকে প্রচুর শুষ্ক পাতা ঝরে পড়ে। এই পাতাতেই আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গুল্মজাতীয় লতাপাতা এবং ঔষধিগাছ পুড়ে যাওয়ায় খাদ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে বন্য প্রাণীদের। এভাবে আগুন দেওয়া চলতে থাকলে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি বনের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া আশঙ্কা রয়েছে।
গত শনিবার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশের বনের বিশাল এলাকাজুড়ে ঝরা পাতা ও ছোট ছোট চারা গাছগুলো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে পাহাড়ি মাটিও।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বনের ভেতর একটি অসাধু চক্র নিজেদের সুবিধার্থে এ কাজ করে। আগুন দিয়ে বন পরিষ্কার করে সেখানে চাষাবাদ করে। এমনকি আগুনে পুড়ে গাছ মরে গেলে রাতের আঁধারে তা চুরি করে।
রাংটিয়া এলাকার যুবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতকারী আছে, যারা পাহাড়দ্রোহী, রাষ্ট্রদ্রোহী—তারাই পাহাড়ে আগুন দেয়। তারা এই বনকে, প্রকৃতিকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বন বিভাগসহ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
ছোট গজনী এলাকার সামাজিক বনায়নের অংশীদার মো. হুরমুজ আলী বলেন, ‘বনে বেশি পরিমাণ পাতা জমা হওয়ায় বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকেও আগুন লেগে যাচ্ছে। বাইরে থেকে আসা পর্যটকেরাও না বুঝে বিড়ি-সিগারেটের আগুন ফেলছেন। আমরা আগুন নেভাতে বন বিভাগের লোকজনের সঙ্গে কাজ করি। তবে কে বা কারা আগুন দিচ্ছে, তাদের ধরা যাচ্ছে না।’
শুকনো পাতার কারণে আগুন অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে বন বিভাগের লোকজনকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখছি না—বলেন, রাংটিয়া এলাকার কৃষক হামিদুল্লাহ।
গজনী এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটক শোয়াইব হাসান বলেন, আগুনে বন ধ্বংস এবং বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে গেলে গারো পাহাড়ে পর্যটকও আসবেন না। তাই কঠোর নজরদারির মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা হোক।
পরিবেশবাদী সংগঠন শাইনের নির্বাহী পরিচালক ও ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার মো. মুগনিউর রহমান মনি বলেন, ‘গারো পাহাড়ে আগুন দিয়ে গাছপালা ধ্বংসসহ প্রাণী ও কীটপতঙ্গ হত্যা করছে একদল দুর্বৃত্ত। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের অনুরোধ, বন বাঁচাতে দ্রুত বনে নজরদারি বাড়িয়ে এসব দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘এই আগুন নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই এমনভাবে বনের ঝরে পড়া পাতায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে এবার এই রেঞ্জে আগুন দেওয়ার ঘটনাটা বেশি। আগুনের কারণে কীটপতঙ্গ ও বনের ছোট ছোট গাছপালা, ঝোপঝাড় পুড়ে যাচ্ছে। এতে বনের ইকোসিস্টেম নষ্ট হচ্ছে। আমরা স্বল্প লোকবল নিয়ে আগুন মোকাবিলায় চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এস বি তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, ‘এখন শুকনো মৌসুম। শালপাতা খুবই শুষ্ক অবস্থায় বনে পড়ে স্তূপ হয়ে থাকে। এক জায়গায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না আনতে আরেক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আমাদের স্বল্প জনবল দিয়ে এত বড় পাহাড়ের আগুন নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন। এরপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সহকারী বন সংরক্ষক আরও বলেন, আগুনের ঘটনায় গত শনিবার রাতে ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এসব আগুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে