বারহাট্টা (নেত্রকোনা) ও ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে বারহাট্টা উপজেলা শহরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের জন্য উপজেলা শহরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় মোড়ে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। এদিকে বিএনপির নৈরাজ্যে বিরুদ্ধে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে গোপালপুর বাজারের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে এ সময় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে সম্মেলন মঞ্চটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আপাতত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।’
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও বারহাট্টা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মানিক আজাদ বলেন, ‘আমরা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অত্যন্ত ছোট পরিসরে একটি সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেই। কিন্তু আজ দুপুরে উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কয়েকজন দলীয় নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের সম্মেলন পণ্ড করে দেয় এবং মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করি। কিন্তু আজ দুপুর দেড়টার দিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অতর্কিতভাবে লোকজন নিয়ে আমাদের মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে এমন অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেম বলেন, ‘বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে আমরা খবর পাই, স্থানীয় বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে জড়ো হচ্ছে। এ কারণে আমরা মঞ্চটি ভেঙে দিয়েছি। বারহাট্টায় কোনো নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।’
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফুল হক বলেন, ‘আমরা এমন কোনো সংবাদ পাইনি। বারহাট্টায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।’
এদিকে বিএনপির সম্মেলনের মঞ্চ ভাঙচুরের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টায় বিএনপির সম্মেলন মঞ্চ ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স পুলিশ ও সরকারি দলকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি না করতে আহ্বান জানান। এ সময় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম হিলালি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে বারহাট্টা উপজেলা শহরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের জন্য উপজেলা শহরের গোপালপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় মোড়ে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। এদিকে বিএনপির নৈরাজ্যে বিরুদ্ধে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে গোপালপুর বাজারের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে এ সময় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে সম্মেলন মঞ্চটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আপাতত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।’
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও বারহাট্টা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মানিক আজাদ বলেন, ‘আমরা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অত্যন্ত ছোট পরিসরে একটি সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেই। কিন্তু আজ দুপুরে উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কয়েকজন দলীয় নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের সম্মেলন পণ্ড করে দেয় এবং মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করি। কিন্তু আজ দুপুর দেড়টার দিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অতর্কিতভাবে লোকজন নিয়ে আমাদের মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে এমন অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেম বলেন, ‘বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে আমরা খবর পাই, স্থানীয় বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে জড়ো হচ্ছে। এ কারণে আমরা মঞ্চটি ভেঙে দিয়েছি। বারহাট্টায় কোনো নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।’
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফুল হক বলেন, ‘আমরা এমন কোনো সংবাদ পাইনি। বারহাট্টায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।’
এদিকে বিএনপির সম্মেলনের মঞ্চ ভাঙচুরের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টায় বিএনপির সম্মেলন মঞ্চ ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স পুলিশ ও সরকারি দলকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি না করতে আহ্বান জানান। এ সময় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম হিলালি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
মুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৫ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার কিছু পর রুবেল তার প্রতিষ্ঠান ‘এফ রহমান ট্রেডিং’-এর ভেতরে কাজ করছিলেন। এসময় একদল দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। চিৎকার শুনে পাশের দোকানদার ও সিএনজি চালকরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে