প্রতিনিধি, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জিল বাংলা চিনিকলে কর্মরত ৯০ জন শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রেরিত ৫ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর দুটি পত্রের আদেশে তাঁদের ছাঁটাই করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
জিল বাংলা চিনিকল সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০-২১ মৌসুম থেকে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের ৬টি চিনিকলে আখমাড়াই স্থগিত করা হয়। মিল স্থগিত করা হলে সেসব মিলগুলোতে কর্মরত স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত লোকবল বেকার হয়ে পড়ে। তাই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনে থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর প্রেরিত দুটি পত্র আদেশে চিনিকল কর্তৃপক্ষ ৯০ জনকে ছাঁটাই করেছে। সে জন্য জিল বাংলা চিনিকলে স্থায়ী পদের বিপরীতে এত দিন যারা চুক্তিভিত্তিক বা কাজ নেই, মজুরি নেই ভিত্তিতে কাজ করছিলেন তাঁদের ছাঁটাই করা হয়।
চাকরি হারানো দেওয়ানগঞ্জের রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে জিল বাংলা চিনিকলে ইলেকট্রিক সহকারী স্থায়ী পদে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে আসছি। আমার মতো আরও অনেকেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। আমাদের চিনিকল কর্তৃপক্ষ আশ্বাসও দিয়ে ছিলেন যে চুক্তিভিত্তিক চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে। স্থায়ীকরণ তো দূরে থাক এখন আমাদের চাকরি থেকেই ছাঁটাই করা হল।
রেজাউল করিম আরও বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর আমাদের ছাঁটাইয়ের বিজ্ঞপ্তি এসেছে। হঠাৎ ছাঁটাইয়ের খবর শুনে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। পদে বহাল থাকতে আন্দোলনেও নেমেছিলাম। কিন্তু কোন কিছুতেই মন গলেনি জিল বাংলা চিনিকল কর্তৃপক্ষের। তাই আমি সরকারের কাছে আমাদের কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
চাকরি হারানো মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, আমার বাবা চিনিকলে বীজ বিভাগে এলএমএস পদে কর্মরত ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর ২০১৬ সালে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আমাকে বাবার পদে চুক্তিভিত্তিক স্থলাভিষিক্ত করেন। আমাকেও গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কর্মী ছাঁটাইয়ের আদেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরি না থাকলে বৃদ্ধ মা, দুই সন্তান স্ত্রী নিয়ে সংসার কীভাবে চলবে?
জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রায়হান বলেন, চিনিকলটি সরকারি। আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি চাকরি করি। যেহেতু সরকারি সিদ্ধান্তে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে তাই এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। ছাঁটাইকৃতরা এত দিন স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেছেন। কর্তৃপক্ষ যে কোন মুহূর্তে সে চুক্তি বাতিল বা স্থগিত করতে পারেন।
জিল বাংলা চিনিকল ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আল ফারুক ওমর শরীফ গালিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিনিকলে স্থায়ী পদে চুক্তি ভিত্তিক ১৭০ জন কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের আদেশ এসেছে।
চিনিকল ব্যবস্থাপক আরও বলেন, জিল বাংলা চিনিকল থেকে তাঁদের ছাঁটাই করেছেন সরকার। তাঁদের পদ স্থায়ী হলেও নিয়োগ ছিল চুক্তিভিত্তিক স্থলাভিষিক্ত। কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে চিনিকল কর্তৃপক্ষের কোন হস্তক্ষেপ নেই। চুক্তিভিত্তিক বলে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিসুল আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রমিক কর্মচারী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন নিয়েছে। আমার এ ব্যাপারে মতামত বা ভিন্নমত নেই। স্থগিত হওয়া ৬টি চিনিকল থেকে যারা এখানে আসছেন তাঁর সবাই স্থায়ী নিয়োগধারী। আর যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁরা অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জিল বাংলা চিনিকলে কর্মরত ৯০ জন শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রেরিত ৫ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর দুটি পত্রের আদেশে তাঁদের ছাঁটাই করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
জিল বাংলা চিনিকল সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০-২১ মৌসুম থেকে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের ৬টি চিনিকলে আখমাড়াই স্থগিত করা হয়। মিল স্থগিত করা হলে সেসব মিলগুলোতে কর্মরত স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত লোকবল বেকার হয়ে পড়ে। তাই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনে থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর প্রেরিত দুটি পত্র আদেশে চিনিকল কর্তৃপক্ষ ৯০ জনকে ছাঁটাই করেছে। সে জন্য জিল বাংলা চিনিকলে স্থায়ী পদের বিপরীতে এত দিন যারা চুক্তিভিত্তিক বা কাজ নেই, মজুরি নেই ভিত্তিতে কাজ করছিলেন তাঁদের ছাঁটাই করা হয়।
চাকরি হারানো দেওয়ানগঞ্জের রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে জিল বাংলা চিনিকলে ইলেকট্রিক সহকারী স্থায়ী পদে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে আসছি। আমার মতো আরও অনেকেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। আমাদের চিনিকল কর্তৃপক্ষ আশ্বাসও দিয়ে ছিলেন যে চুক্তিভিত্তিক চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে। স্থায়ীকরণ তো দূরে থাক এখন আমাদের চাকরি থেকেই ছাঁটাই করা হল।
রেজাউল করিম আরও বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর আমাদের ছাঁটাইয়ের বিজ্ঞপ্তি এসেছে। হঠাৎ ছাঁটাইয়ের খবর শুনে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। পদে বহাল থাকতে আন্দোলনেও নেমেছিলাম। কিন্তু কোন কিছুতেই মন গলেনি জিল বাংলা চিনিকল কর্তৃপক্ষের। তাই আমি সরকারের কাছে আমাদের কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
চাকরি হারানো মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, আমার বাবা চিনিকলে বীজ বিভাগে এলএমএস পদে কর্মরত ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর ২০১৬ সালে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আমাকে বাবার পদে চুক্তিভিত্তিক স্থলাভিষিক্ত করেন। আমাকেও গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কর্মী ছাঁটাইয়ের আদেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরি না থাকলে বৃদ্ধ মা, দুই সন্তান স্ত্রী নিয়ে সংসার কীভাবে চলবে?
জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রায়হান বলেন, চিনিকলটি সরকারি। আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি চাকরি করি। যেহেতু সরকারি সিদ্ধান্তে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে তাই এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। ছাঁটাইকৃতরা এত দিন স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেছেন। কর্তৃপক্ষ যে কোন মুহূর্তে সে চুক্তি বাতিল বা স্থগিত করতে পারেন।
জিল বাংলা চিনিকল ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আল ফারুক ওমর শরীফ গালিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিনিকলে স্থায়ী পদে চুক্তি ভিত্তিক ১৭০ জন কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের আদেশ এসেছে।
চিনিকল ব্যবস্থাপক আরও বলেন, জিল বাংলা চিনিকল থেকে তাঁদের ছাঁটাই করেছেন সরকার। তাঁদের পদ স্থায়ী হলেও নিয়োগ ছিল চুক্তিভিত্তিক স্থলাভিষিক্ত। কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে চিনিকল কর্তৃপক্ষের কোন হস্তক্ষেপ নেই। চুক্তিভিত্তিক বলে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিসুল আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রমিক কর্মচারী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন নিয়েছে। আমার এ ব্যাপারে মতামত বা ভিন্নমত নেই। স্থগিত হওয়া ৬টি চিনিকল থেকে যারা এখানে আসছেন তাঁর সবাই স্থায়ী নিয়োগধারী। আর যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁরা অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২১ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৬ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩১ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে