ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হস্তান্তরের আগেই দেয়ালে ফাটল, মেজেতে পলেস্তারা খসে যাওয়া, পানির ট্যাংকে লোহার অ্যাঙ্গেল স্থাপনেও ত্রুটি পাওয়া গেছে।
এদিকে অনিয়ম ঢাকতে উল্টো অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়েছে ঠিকাদারের এমন দাবিতে গঠন করা হয়েছে কারিগরি কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধলা আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরে নির্মাণ করা হচ্ছে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্র। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের জুন মাস থেকে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্রের ছয়টি শেড নির্মাণের কাজ শুরু করে মেসার্স আরএস কনস্ট্রাকশন, মেসার্স আরবি ট্রেডিং করপোরেশন, মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ এবং ডিজি বাংলা—এই চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ। ছয়টি শেডে পুনর্বাসন করা হবে ৩০০ ভিক্ষুককে। কার্যাদেশ অনুযায়ী প্রত্যেক শেডে চার হাজার লিটার পানির ট্যাংকের পরিবর্তে বসানো হয়েছে আড়াই হাজার লিটার পানির ট্যাংকে, চার মিলি অ্যাঙ্গেলেও কারচুপিসহ অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ধলা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেদওয়ান হোসেন বলেন, ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্রটি সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। সেখানে নির্মাণের শুরু থেকেই কিছু কাজে ত্রুটি পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি তা প্রমাণও পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে যারা কাজটি বাস্তবায়ন করছেন, তাঁরা দায় স্বীকার করে ত্রুটিমুক্ত করার কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি ৪ নম্বর শেডের দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। অ্যাঙ্গেল কোনো শেডে ছোট-বড় রয়েছে। আশা করি সবকিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখবেন।’
একই আশ্রয়কেন্দ্রের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সবুজ খান বলেন, ‘পুনর্বাসন কেন্দ্রের সব ত্রুটি সম্পর্কে আমাদের ঊর্ধ্বতন স্যাররা অবগত রয়েছেন। আমরা চাই সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে আমাদের শেডগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হোক।’
তবে এসব অভিযোগের পরও মেসার্স আরএস কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজ করে লোকসানের মধ্যে পড়েছি। তারপরেও কাজ সম্পন্ন করেছি। কারিগরি কমিটি কিছু কাজে ত্রুটি ধরেছে। সেগুলো সম্পন্ন করে শেড হস্তান্তর করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কার্যাদেশের বাইরে অতিরিক্ত কিছু কাজ করেছি। প্রতি শেডে যার কারণে আমাদের ১০ লাখ টাকা করে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। সেগুলো সমন্বয় করতে প্রতি শেডে পানির ট্যাংকের পরিমাণ কম বসানো হয়েছে। যে দেয়ালে ফাটল ধরেছে সেটি আমার নয়। হয়তো কোনো সমস্যার কারণে হয়ে থাকতে পারে। এখন লোকসান হলেও ত্রুটিমুক্তভাবে সব কাজ সম্পন্ন করে অচিরেই শেড হস্তান্তর করা হবে।’
অনিয়ম ঢাকতে ঠিকাদারদের দাবি অনুযায়ী প্রতি শেডে অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা ব্যয়ের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিন সদস্যের কারিগরি কমিটির অন্যতম সদস্য ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কাজের গুণগত মান দেখতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমরা সেখানে দেখেছি ঠিকাদারদের অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে কি না। বাজারমূল্য অনুযায়ী হয়তো প্রতি শেডে সাড়ে চার হাজার টাকা কমবেশি ব্যয় হয়ে থাকতে পারে।’
এসব বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আ. কাইয়ুম বলেন, ‘ঠিকাদারদের ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ত্রুটিমুক্তভাবে কাজ বুঝিয়ে দিলে বাকি বিল পরিশোধ করা হবে। কারিগরি কমিটি কিছু ত্রুটি ধরেছে, সেগুলো ঠিকাদারেরা সম্পন্ন করছে। কোনোভাবেই অসম্পন্ন কাজ আমরা বুঝে নেব না। আর তাদের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত বিল আমাদের দেওয়ার সুযোগ নেই।’
ময়মনসিংহে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হস্তান্তরের আগেই দেয়ালে ফাটল, মেজেতে পলেস্তারা খসে যাওয়া, পানির ট্যাংকে লোহার অ্যাঙ্গেল স্থাপনেও ত্রুটি পাওয়া গেছে।
এদিকে অনিয়ম ঢাকতে উল্টো অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়েছে ঠিকাদারের এমন দাবিতে গঠন করা হয়েছে কারিগরি কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধলা আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতরে নির্মাণ করা হচ্ছে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্র। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের জুন মাস থেকে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্রের ছয়টি শেড নির্মাণের কাজ শুরু করে মেসার্স আরএস কনস্ট্রাকশন, মেসার্স আরবি ট্রেডিং করপোরেশন, মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ এবং ডিজি বাংলা—এই চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ। ছয়টি শেডে পুনর্বাসন করা হবে ৩০০ ভিক্ষুককে। কার্যাদেশ অনুযায়ী প্রত্যেক শেডে চার হাজার লিটার পানির ট্যাংকের পরিবর্তে বসানো হয়েছে আড়াই হাজার লিটার পানির ট্যাংকে, চার মিলি অ্যাঙ্গেলেও কারচুপিসহ অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ধলা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেদওয়ান হোসেন বলেন, ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্রটি সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। সেখানে নির্মাণের শুরু থেকেই কিছু কাজে ত্রুটি পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি তা প্রমাণও পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে যারা কাজটি বাস্তবায়ন করছেন, তাঁরা দায় স্বীকার করে ত্রুটিমুক্ত করার কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি ৪ নম্বর শেডের দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। অ্যাঙ্গেল কোনো শেডে ছোট-বড় রয়েছে। আশা করি সবকিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখবেন।’
একই আশ্রয়কেন্দ্রের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সবুজ খান বলেন, ‘পুনর্বাসন কেন্দ্রের সব ত্রুটি সম্পর্কে আমাদের ঊর্ধ্বতন স্যাররা অবগত রয়েছেন। আমরা চাই সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে আমাদের শেডগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হোক।’
তবে এসব অভিযোগের পরও মেসার্স আরএস কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজ করে লোকসানের মধ্যে পড়েছি। তারপরেও কাজ সম্পন্ন করেছি। কারিগরি কমিটি কিছু কাজে ত্রুটি ধরেছে। সেগুলো সম্পন্ন করে শেড হস্তান্তর করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কার্যাদেশের বাইরে অতিরিক্ত কিছু কাজ করেছি। প্রতি শেডে যার কারণে আমাদের ১০ লাখ টাকা করে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। সেগুলো সমন্বয় করতে প্রতি শেডে পানির ট্যাংকের পরিমাণ কম বসানো হয়েছে। যে দেয়ালে ফাটল ধরেছে সেটি আমার নয়। হয়তো কোনো সমস্যার কারণে হয়ে থাকতে পারে। এখন লোকসান হলেও ত্রুটিমুক্তভাবে সব কাজ সম্পন্ন করে অচিরেই শেড হস্তান্তর করা হবে।’
অনিয়ম ঢাকতে ঠিকাদারদের দাবি অনুযায়ী প্রতি শেডে অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা ব্যয়ের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিন সদস্যের কারিগরি কমিটির অন্যতম সদস্য ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কাজের গুণগত মান দেখতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমরা সেখানে দেখেছি ঠিকাদারদের অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে কি না। বাজারমূল্য অনুযায়ী হয়তো প্রতি শেডে সাড়ে চার হাজার টাকা কমবেশি ব্যয় হয়ে থাকতে পারে।’
এসব বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আ. কাইয়ুম বলেন, ‘ঠিকাদারদের ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ত্রুটিমুক্তভাবে কাজ বুঝিয়ে দিলে বাকি বিল পরিশোধ করা হবে। কারিগরি কমিটি কিছু ত্রুটি ধরেছে, সেগুলো ঠিকাদারেরা সম্পন্ন করছে। কোনোভাবেই অসম্পন্ন কাজ আমরা বুঝে নেব না। আর তাদের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত বিল আমাদের দেওয়ার সুযোগ নেই।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৫ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৫ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে