মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
একটার ওপর আরেকটা, এভাবে থরে থরে সাজানো প্রাথমিক থেকে বিভিন্ন শ্রেণির বই। তবে সে সবই পুরোনো বই। বিনা মূল্যে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বই পেলেও সহায়ক হিসেবে গাইড বই কিনতে হয়। এ ছাড়া মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়ার পর থেকে শুরু হয় বই কেনার পালা। টাকার অভাবে নতুন বই কিনতে না পারা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য পুরোনো বইই ভরসা।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশেই পুরোনো বইয়ের লাইব্রেরি। বই ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বলেন, পুরো উপজেলায় এটিই একমাত্র পুরোনো বইয়ের দোকান।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোনো বইয়ের দোকান থেকে বই কিনতে ভিড় করেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজনের নাম আরিফা আক্তার। এবার সে ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে পড়ে। বছরের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোর গাইড কিনতে এসেছে এখানে।
পুরোনো বই কেনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুটা ইতস্তত করে আরিফা বলে, তার বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন। বছরখানেক আগে তিনি প্যারালাইজড হন। বর্তমানে খুব কষ্টে চলে তাদের সংসার। এ অবস্থায় নতুন বই কেনা সম্ভব না। যে কারণে পুরোনো বই কিনতে এসেছে সে। সহপাঠী কেউ কেউ এখান থেকে বই কিনে থাকে বলেও জানায় সে।
ঈশ্বরগঞ্জ রেসিডেন্সিয়াল কলেজের রিয়াদ নামের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীকেও সেখান থেকে বই কিনতে দেখা যায়। কথা হলে রিয়াদ বলেন, ‘আমাদের মতো নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে পুরোনো বই কেনাই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে নতুন বই কেনা তো স্বপ্নের মতো। তা ছাড়া অর্ধেকের বেশি ছাড় পাচ্ছি পুরোনো বইয়ে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বলেন, ‘পরিবারে অভাব-অনটন, অসচ্ছলতা লেগেই আছে। কী আর করব, গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন না করে কাজে ঢুকে পড়লে পড়াশোনা তো আর হবে না। তাই কয়েকটা টিউশনি করিয়ে নিজের খরচটা কোনোমতে চালাচ্ছি। এ অবস্থায় নতুন বই কেনা আমার সাধ্যের বাইরে। তাই পুরোনো বই কিনেই পড়ছি।’
বইয়ের দোকানে পাওয়া যায় শিরিনা আক্তার নামের এক অভিভাবককে। তিনি বলেন, ‘পুরোনো বইয়ের লাইব্রেরিটা হয়ে আমাদের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। কম টাকায় ছেলেমেয়েদের বই কিনতে পারছি। আবার পড়া শেষ হলে ওনার (বই বিক্রেতা) কাছেই বিক্রি করে দিতে পারছি। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার সহজ পথ তৈরি হয়েছে।’
পুরোনো বই ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমি এই বইগুলো মূলত ঢাকা থেকে সংগ্রহ করি। তা ছাড়া অনেকে পড়ার পর বিক্রি করে দিলে সেগুলোও কিনি। অনেক দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আমার এখানে বই কিনতে আসে। অনেক সময় তাদের কাছে টাকা কম থাকলেও কেনা দামে বিক্রি করে দিই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বই পুরোনো হোক আর নতুন, পড়া তো একই। তা ছাড়া অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের আসলে নতুন বই কেনার সামর্থ্য থাকে না। শিক্ষকদের বলি শিক্ষার্থীদের পুরোনো বই সংগ্রহের পরামর্শ দিতে।’
একটার ওপর আরেকটা, এভাবে থরে থরে সাজানো প্রাথমিক থেকে বিভিন্ন শ্রেণির বই। তবে সে সবই পুরোনো বই। বিনা মূল্যে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বই পেলেও সহায়ক হিসেবে গাইড বই কিনতে হয়। এ ছাড়া মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়ার পর থেকে শুরু হয় বই কেনার পালা। টাকার অভাবে নতুন বই কিনতে না পারা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য পুরোনো বইই ভরসা।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশেই পুরোনো বইয়ের লাইব্রেরি। বই ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বলেন, পুরো উপজেলায় এটিই একমাত্র পুরোনো বইয়ের দোকান।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোনো বইয়ের দোকান থেকে বই কিনতে ভিড় করেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজনের নাম আরিফা আক্তার। এবার সে ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে পড়ে। বছরের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোর গাইড কিনতে এসেছে এখানে।
পুরোনো বই কেনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুটা ইতস্তত করে আরিফা বলে, তার বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন। বছরখানেক আগে তিনি প্যারালাইজড হন। বর্তমানে খুব কষ্টে চলে তাদের সংসার। এ অবস্থায় নতুন বই কেনা সম্ভব না। যে কারণে পুরোনো বই কিনতে এসেছে সে। সহপাঠী কেউ কেউ এখান থেকে বই কিনে থাকে বলেও জানায় সে।
ঈশ্বরগঞ্জ রেসিডেন্সিয়াল কলেজের রিয়াদ নামের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীকেও সেখান থেকে বই কিনতে দেখা যায়। কথা হলে রিয়াদ বলেন, ‘আমাদের মতো নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে পুরোনো বই কেনাই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে নতুন বই কেনা তো স্বপ্নের মতো। তা ছাড়া অর্ধেকের বেশি ছাড় পাচ্ছি পুরোনো বইয়ে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বলেন, ‘পরিবারে অভাব-অনটন, অসচ্ছলতা লেগেই আছে। কী আর করব, গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন না করে কাজে ঢুকে পড়লে পড়াশোনা তো আর হবে না। তাই কয়েকটা টিউশনি করিয়ে নিজের খরচটা কোনোমতে চালাচ্ছি। এ অবস্থায় নতুন বই কেনা আমার সাধ্যের বাইরে। তাই পুরোনো বই কিনেই পড়ছি।’
বইয়ের দোকানে পাওয়া যায় শিরিনা আক্তার নামের এক অভিভাবককে। তিনি বলেন, ‘পুরোনো বইয়ের লাইব্রেরিটা হয়ে আমাদের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। কম টাকায় ছেলেমেয়েদের বই কিনতে পারছি। আবার পড়া শেষ হলে ওনার (বই বিক্রেতা) কাছেই বিক্রি করে দিতে পারছি। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার সহজ পথ তৈরি হয়েছে।’
পুরোনো বই ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমি এই বইগুলো মূলত ঢাকা থেকে সংগ্রহ করি। তা ছাড়া অনেকে পড়ার পর বিক্রি করে দিলে সেগুলোও কিনি। অনেক দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আমার এখানে বই কিনতে আসে। অনেক সময় তাদের কাছে টাকা কম থাকলেও কেনা দামে বিক্রি করে দিই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বই পুরোনো হোক আর নতুন, পড়া তো একই। তা ছাড়া অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের আসলে নতুন বই কেনার সামর্থ্য থাকে না। শিক্ষকদের বলি শিক্ষার্থীদের পুরোনো বই সংগ্রহের পরামর্শ দিতে।’
বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম।
২০ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২-এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লো
৩৪ মিনিট আগেপুলিশ বলছে, দুটি লাশই বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। যাত্রীর আসনে থাকা মরদেহের মুখ থেঁতলানো অবস্থায় ছিল। গাড়ির সব দরজা খোলা ছিল। তাঁদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি তারা।
৩৭ মিনিট আগেফেনীর পরশুরাম সীমান্তে নুরুল ইসলাম (৬৩) নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৭ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার বিকেলে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উভয় বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৪৩ মিনিট আগে