ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় কোনো পদে না থেকেও সেলিনা আলম নামে এক নারী নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। বহিরাগত নারীকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, মনোনয়ন বাতিল করে দলীয় লোককে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার। তবে মনোনয়নপ্রাপ্ত সেলিনা আলমের দাবি, ‘তিনি সাংগঠনিক পদে না থাকলেও তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত।’
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগের ‘স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড’ সভা শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেলিনা আলমকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুলকান্দিসহ ছয়টি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৯ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১৫ জুন ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে নৌকা প্রতীক পেতে কুলকান্দি ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম হাসমত, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপির বর্তমান মেম্বার আমজাদ হোসেন এবং সেলিনা আলম জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন। গত শুক্রবার রাতে যাচাই-বাছাই শেষে সেলিনা আলমকে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।
এদিকে গত ৮ মে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া হয়। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীগণ দলের বাইরে থেকে সেলিনা আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছিল। কিন্তু সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কেউ নন। এ কারণে সেলিনা আলম মনোনয়ন পেলে তাঁর পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচন করা কষ্টকর হবে।’ এসব কারণে দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে সেলিনা আলমকে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ করেন নেতাকর্মীরা।
একই দিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন খান মাস্টারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় সেলিনা আলমকে দলীয় মনোনয়ন না দিতে ৬৩ জন নেতাকর্মীর স্বাক্ষরিত একটি রেজুলেশন পাস করা হয়। ওই রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়, দলীয় লোক না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ-সংগঠন সেলিনা আলমের পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক নয়।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম হাসমত বলেন, ‘দলীয় লোক মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছে। সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কেউ নন। তাঁকে মনোনয়ন না দিতে উপজেলা, জেলা কমিটিসহ প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আবেদন করেছিলাম। মনোনয়ন বাতিল করে দলীয় লোককে মনোনয়ন দেওয়া দাবি নেতাকর্মীদের।’
একই বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন খান মাস্টার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকায় সেলিনা আলমকে মনোনয়ন না দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৬৩ জন নেতাকর্মী উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলাম। সেলিনা আলমের স্বামী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহীন মাহমুদ আলম ছিলেন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। দলের বাইরে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই।’
এদিকে মনোনয়নপ্রাপ্ত সেলিনা আলম বলেন, ‘আমি দলের সাংগঠনিক পদে নেই। তবে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমার স্বামী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহীন মাহমুদ আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও তৎকালীন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রয়াত রাশেদ মোশাররফের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী যাচাই-বাছাই করেই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় কোনো পদে না থেকেও সেলিনা আলম নামে এক নারী নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। বহিরাগত নারীকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, মনোনয়ন বাতিল করে দলীয় লোককে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার। তবে মনোনয়নপ্রাপ্ত সেলিনা আলমের দাবি, ‘তিনি সাংগঠনিক পদে না থাকলেও তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত।’
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগের ‘স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড’ সভা শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেলিনা আলমকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুলকান্দিসহ ছয়টি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৯ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১৫ জুন ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে নৌকা প্রতীক পেতে কুলকান্দি ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম হাসমত, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপির বর্তমান মেম্বার আমজাদ হোসেন এবং সেলিনা আলম জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন। গত শুক্রবার রাতে যাচাই-বাছাই শেষে সেলিনা আলমকে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।
এদিকে গত ৮ মে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া হয়। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীগণ দলের বাইরে থেকে সেলিনা আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছিল। কিন্তু সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কেউ নন। এ কারণে সেলিনা আলম মনোনয়ন পেলে তাঁর পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচন করা কষ্টকর হবে।’ এসব কারণে দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে সেলিনা আলমকে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ করেন নেতাকর্মীরা।
একই দিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন খান মাস্টারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় সেলিনা আলমকে দলীয় মনোনয়ন না দিতে ৬৩ জন নেতাকর্মীর স্বাক্ষরিত একটি রেজুলেশন পাস করা হয়। ওই রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়, দলীয় লোক না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ-সংগঠন সেলিনা আলমের পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক নয়।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম হাসমত বলেন, ‘দলীয় লোক মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছে। সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কেউ নন। তাঁকে মনোনয়ন না দিতে উপজেলা, জেলা কমিটিসহ প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আবেদন করেছিলাম। মনোনয়ন বাতিল করে দলীয় লোককে মনোনয়ন দেওয়া দাবি নেতাকর্মীদের।’
একই বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন খান মাস্টার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকায় সেলিনা আলমকে মনোনয়ন না দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৬৩ জন নেতাকর্মী উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলাম। সেলিনা আলমের স্বামী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহীন মাহমুদ আলম ছিলেন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। দলের বাইরে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই।’
এদিকে মনোনয়নপ্রাপ্ত সেলিনা আলম বলেন, ‘আমি দলের সাংগঠনিক পদে নেই। তবে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমার স্বামী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহীন মাহমুদ আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও তৎকালীন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রয়াত রাশেদ মোশাররফের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী যাচাই-বাছাই করেই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।’
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।
৫ মিনিট আগেরাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২০ মিনিট আগে২০২২ সালে ছয় বছর পর চালু হওয়া অপারেশন থিয়েটারও আবার বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে সেবা বন্ধ। এমন সংকটে উপজেলার মানুষ বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন অনুমোদিত-অনুমোদনহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, যেখানে স্বাস্থ্যসেবা মিলছে টাকার বিনিময়ে।
৪২ মিনিট আগেসংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে