নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার আটপাড়ায় মো. কাইয়ুম (২৯) নামের এক অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। এ সময় তাঁদের দেওয়া তথ্যে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটপাড়া থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার শনিবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের মো. বাবুল হোসেন (২৮), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার হলিদাকান্দা গ্রামের ইয়াছিন মিয়া (২৯) ও একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মো. আমির হোসেন (৩২)। আজ নিহত অটোরিকশা চালক মো. কাইয়ুম ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সুন্দাইল গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গত ৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আটপাড়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামে সড়কের পাশে গলায় দড়ি প্যাঁচানো হাত–পা বাঁধা অবস্থায় অটোচালক কাইয়ুমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে লাশটি অজ্ঞাতনামা হিসেবে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশটি কাইয়ুমের বলে শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. শাহজাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৪ এর একটি দল।
তদন্তে জানা যায়, নিহত কাইয়ুম (২৯) গত ৫ মার্চ সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। রাতে কাইয়ুম বাড়ি না ফেরায় এবং তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের লোকজন চার দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তদন্তের সূত্র ধরে র্যাব-১৪ একটি টিম গত ৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মো. বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল জানায়, তিনিসহ আরও ২–৩ জন কাইয়ুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে মো. বাবুল মিয়াসহ আরও ২–৩ জন আসামি ছিনতাই করা অটোরিকশাটি পাশের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মো. নিজাম উদ্দিনের পুত্র মো. ইয়াছিন মিয়ার (২৯) কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ইয়াসিন আবার এই অটোরিকশাটি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভাটিলালপুর গ্রামের সুমন মিয়ার পুত্র মো. ফাজিল মিয়ার (৩৫) কাছে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফাজিল সেই অটোরিকশা একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মহাজ উদ্দিনের পুত্র আমির হোসেনের (৩৩) কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আমির উক্ত অটোরিকশাটি পুনরায় কিবরিয়ার (৩২) কাছে ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
র্যাব-১৪ এর অভিযানকারী দলটি কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদ্ঘাটন এবং ধৃত আসামি মো. বাবুল মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে আসামি ইয়াছিন মিয়াকে এবং জামালগঞ্জ থেকে আসামি মো. আমির হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আমির হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে একই উপজেলার কিবরিয়ার দোকান হতে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত মো. বাবুল মিয়া এবং ইয়াছিনের নামে আরও অটোরিকশা চুরিসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের গতকাল শুক্রবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নেত্রকোনার আটপাড়ায় মো. কাইয়ুম (২৯) নামের এক অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। এ সময় তাঁদের দেওয়া তথ্যে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটপাড়া থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার শনিবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের মো. বাবুল হোসেন (২৮), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার হলিদাকান্দা গ্রামের ইয়াছিন মিয়া (২৯) ও একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মো. আমির হোসেন (৩২)। আজ নিহত অটোরিকশা চালক মো. কাইয়ুম ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সুন্দাইল গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গত ৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আটপাড়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামে সড়কের পাশে গলায় দড়ি প্যাঁচানো হাত–পা বাঁধা অবস্থায় অটোচালক কাইয়ুমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে লাশটি অজ্ঞাতনামা হিসেবে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশটি কাইয়ুমের বলে শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. শাহজাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৪ এর একটি দল।
তদন্তে জানা যায়, নিহত কাইয়ুম (২৯) গত ৫ মার্চ সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। রাতে কাইয়ুম বাড়ি না ফেরায় এবং তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের লোকজন চার দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তদন্তের সূত্র ধরে র্যাব-১৪ একটি টিম গত ৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মো. বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল জানায়, তিনিসহ আরও ২–৩ জন কাইয়ুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে মো. বাবুল মিয়াসহ আরও ২–৩ জন আসামি ছিনতাই করা অটোরিকশাটি পাশের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মো. নিজাম উদ্দিনের পুত্র মো. ইয়াছিন মিয়ার (২৯) কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ইয়াসিন আবার এই অটোরিকশাটি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভাটিলালপুর গ্রামের সুমন মিয়ার পুত্র মো. ফাজিল মিয়ার (৩৫) কাছে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ফাজিল সেই অটোরিকশা একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মহাজ উদ্দিনের পুত্র আমির হোসেনের (৩৩) কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আমির উক্ত অটোরিকশাটি পুনরায় কিবরিয়ার (৩২) কাছে ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
র্যাব-১৪ এর অভিযানকারী দলটি কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডটির রহস্য উদ্ঘাটন এবং ধৃত আসামি মো. বাবুল মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে আসামি ইয়াছিন মিয়াকে এবং জামালগঞ্জ থেকে আসামি মো. আমির হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আমির হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে একই উপজেলার কিবরিয়ার দোকান হতে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত মো. বাবুল মিয়া এবং ইয়াছিনের নামে আরও অটোরিকশা চুরিসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে কাইয়ুম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের গতকাল শুক্রবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে