Ajker Patrika

সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১: ০০
সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে আনন্দ মোহন কলেজের ফজলুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজের হল সুপার শাহজাহান শাজু বলেন, কলেজে তিনটি ছাত্র হোস্টেল আছে। এর মধ্যে কলেজের পুকুরের দুই পাড়ের দুটি ব্লক ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ কারণে হোস্টেলে সিটের সংকট সৃষ্টি হয়। কলেজের কাজী নজরুল ইসলাম হল ও ভাষাসৈনিক আবু সালেহ হলের প্রতি রুমে পাঁচজন করে ছাত্র থাকেন। তবে ফজলুল হক হলের রুমে চারজন করে ছাত্র থাকেন। 

এ কারণে হোস্টেল কমিটি ফজলুল হক হলের প্রতি রুমে পাঁচজন করে থাকার সিদ্ধান্ত দেয়। সেই অনুযায়ী হলের সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুস সাকিব ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর রুমে ওঠেন। এসব নিয়েই দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। শুনেছি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ দেখে সেখান থেকে চলে আসি। সহকারী হোস্টেল সুপার বিষয়টি দেখছেন।

হোস্টেলে কতগুলো রুম খালি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোস্টেলে ২৮টি রুম খালি আছে। ওই রুমগুলো ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দখলে আছে।

আনন্দ মোহন ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা আরহান খান ছোটন বলেন, কলেজের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি একটি পক্ষ মেনে নেয়নি। এসব নিয়ে আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নতুন বছরে হোস্টেলে ৫০-৬০টি সিট খালি হয়েছে। ওই সিটগুলো আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ওমর জোর করে দখল করেন। এ কারণে হোস্টেলে সিটের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য ফজলুল হক হলেও চারজনের জায়গায় পাঁচজন থাকার সিদ্ধান্ত দেয় হোস্টেল। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। 

আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ওমরের নেতৃত্বে ২০০-৩০০ বহিরাগত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করে। হামলায় মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ, সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ আলম আহত হয়েছেন। মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বলেন, ‘হোস্টেল কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে ফজলুল হক হলে পাঁচজন করে থাকবে। কিন্তু, ছোটন ও তার ছেলেরা হোস্টেল কমিটির সিদ্ধান্ত মানছে না। এর মধ্যে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুস সাকিবকে ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর রুম বরাদ্দ করে। নাজমুস সাকিব ২০৪ নম্বর রুমে যেতেই সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ তাকে মারধর করে। পরে আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে ওরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে সেখান থেকে আমরা চলে এসেছি।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সিট নিয়ে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিমানবন্দরের প্রকল্পে ‘অসম’ চুক্তি, স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূত

বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর গোপন সম্পর্ক, ধর্ষণের অভিযোগ স্বামীর

তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুইছানা হত্যা: প্রধান আসামি মোবারেক গ্রেপ্তার

বিমানবন্দরে ব্যাগের মধ্যে গুলির ম্যাগাজিন, যে ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

এনবিআর আন্দোলনের ৬ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত