প্রতিনিধি
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): তীর চিহ্ন দিয়ে নির্দেশিত সাইনবোর্ডে বড় করে লেখা ‘ওটি সেকশন’। কিন্তু আপনি যখন তাকাবেন, দেখবেন ভাঙাচোরা কিছু সরঞ্জাম ও মালপত্র দিয়ে ভরে রাখা হয়েছে রুমটি।
এমনধারা অস্ত্রোপচার কক্ষের দেখা আর কোথাও নাও মিলতে পারে। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা কমপ্লেক্সের ডেলিভারি ওয়ার্ডের এই অস্ত্রোপচার কক্ষে নেই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো সরঞ্জাম। রয়েছে কিছু ভাঙাচোরা আসবাবপত্র। জানা গেল, চিকিৎসকের অভাবে এখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয় না। ওটি সেকশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সংরক্ষিত রয়েছে। হাসপাতালটি উপজেলার সাড়ে ৪ লাখ মানুষের একমাত্র সেবাস্থল। কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে রাতে ভুতুড়ে অবস্থা তৈরি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ডেলিভারি ওয়ার্ডের ওটি কক্ষ মালামালে ঠাসা। ডেলিভারি ওয়ার্ডের প্রসব-পরবর্তী রুমে নেই কোনো লাইট-ফ্যান। পুরুষ ওয়ার্ডও অপরিষ্কার। টয়লেটের দরজা নেই। দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও তা পড়ে আছে অচল অবস্থায়। একটি আইপিএস থাকলেও তা ব্যবহার হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার রুমে।
হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন অনেক বছর ধরে নষ্ট থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেশি টাকায় আল্ট্রাসনো করাতে হয় চিকিৎসকের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। এদিকে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ে আছে বহুদিন হলো। অরক্ষিত অবস্থায় হাসপাতালে রাতে বসে নেশার আড্ডা। হাসপাতালের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে নেশাখোরদের আনাগোনা থাকলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালটির আশপাশের অনেকেই।
অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সখ্য গড়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের দখলে রাখে হাসপাতাল। ফলে সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। এমনই একজন ভুক্তভোগী মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী গ্রামের তুষার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে। ওষুধ কোম্পানির লোকজন তাদের কোম্পানির ওষুধ লেখানোর জন্য রোগী দেখার সময় চিকিৎসকের কাছে ভিড় করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালের জেনারেটরটি নষ্ট। বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের সমস্যা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফ মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় বাইর থেকে তা করাতে হয়। হাসপাতালের অনেক সমস্যা নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): তীর চিহ্ন দিয়ে নির্দেশিত সাইনবোর্ডে বড় করে লেখা ‘ওটি সেকশন’। কিন্তু আপনি যখন তাকাবেন, দেখবেন ভাঙাচোরা কিছু সরঞ্জাম ও মালপত্র দিয়ে ভরে রাখা হয়েছে রুমটি।
এমনধারা অস্ত্রোপচার কক্ষের দেখা আর কোথাও নাও মিলতে পারে। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা কমপ্লেক্সের ডেলিভারি ওয়ার্ডের এই অস্ত্রোপচার কক্ষে নেই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো সরঞ্জাম। রয়েছে কিছু ভাঙাচোরা আসবাবপত্র। জানা গেল, চিকিৎসকের অভাবে এখানে কোনো অস্ত্রোপচার হয় না। ওটি সেকশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সংরক্ষিত রয়েছে। হাসপাতালটি উপজেলার সাড়ে ৪ লাখ মানুষের একমাত্র সেবাস্থল। কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে রাতে ভুতুড়ে অবস্থা তৈরি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ডেলিভারি ওয়ার্ডের ওটি কক্ষ মালামালে ঠাসা। ডেলিভারি ওয়ার্ডের প্রসব-পরবর্তী রুমে নেই কোনো লাইট-ফ্যান। পুরুষ ওয়ার্ডও অপরিষ্কার। টয়লেটের দরজা নেই। দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও তা পড়ে আছে অচল অবস্থায়। একটি আইপিএস থাকলেও তা ব্যবহার হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার রুমে।
হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন অনেক বছর ধরে নষ্ট থাকায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেশি টাকায় আল্ট্রাসনো করাতে হয় চিকিৎসকের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। এদিকে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ে আছে বহুদিন হলো। অরক্ষিত অবস্থায় হাসপাতালে রাতে বসে নেশার আড্ডা। হাসপাতালের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে নেশাখোরদের আনাগোনা থাকলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন হাসপাতালটির আশপাশের অনেকেই।
অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সখ্য গড়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের দখলে রাখে হাসপাতাল। ফলে সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। এমনই একজন ভুক্তভোগী মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী গ্রামের তুষার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে। ওষুধ কোম্পানির লোকজন তাদের কোম্পানির ওষুধ লেখানোর জন্য রোগী দেখার সময় চিকিৎসকের কাছে ভিড় করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হাসপাতালের জেনারেটরটি নষ্ট। বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের সমস্যা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফ মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় বাইর থেকে তা করাতে হয়। হাসপাতালের অনেক সমস্যা নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে আংশিক নগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছে, কিন্তু থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো এখনো হয়নি। কেন্দ্র থেকে বারবার তাগিদ দিলেও কাজ হয়নি। ফলে রাজশাহী মহানগরের শীর্ষ তিন নেতাকে ‘চূড়ান্ত সতর্কবার্তা’ দিয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।
৫ মিনিট আগেনিয়োগবিধি সংশোধনসহ ৬ দফা দাবিতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা।
৫ মিনিট আগেসিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগেস্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন একমাত্র মেয়েকে। নিজের অটোরিকশায় রওনা দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু গন্তব্যে আর পৌঁছানো হলো না দুজনেরই। পথে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা—ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয় তাঁদের গাড়িতে। ছিটকে পড়ে যান পাশের পুকুরে। ঘটনাস্থলেই বাবার মৃত্যু। গুরুতর আহত মেয়েটিও হাসপাতালে ন
১২ মিনিট আগে