গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
থাকলে আপদ, কাটলে বিপদ—এটা সরকারি গাছ বিষয়ে গ্রামীণ প্রবাদ। বিশেষ করে সড়কের পাশে লাগানো গাছ প্রায়ই ঝড় বৃষ্টিতে রাস্তা কিংবা ফসলি জমিতে উপড়ে পড়ে বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে থাকে। এসব গাছ চাইলেই কেউ কাটতে পারে না। রয়েছে হাজারটা নিয়মকানুন ও বিধিনিষেধ। এসব আনুষ্ঠানিকতার ভয়ে ও হয়রানির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটতে কেউ এগিয়ে আসেন না।
সরকারি গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি লাগে। প্রশাসন বলছে, ঝড়-বৃষ্টিতে পড়ে যাওয়া গাছ যদি সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল কিংবা কোনো রকম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে বন বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট ইউপি বা পৌরসভা তা কাটতে পারে। কিন্তু বছরের পর বছর ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিভিন্ন সড়কে অর্ধশত ঝুঁকিপূর্ণ গাছ থাকলেও তা কাটতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
এদিকে গৌরীপুর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের দেখা পাওয়াও কঠিন! অভিযোগ রয়েছে, মাসে দু-এক দিন যদিও তিনি কার্যালয়ে আসেন তাও কয়েক মিনিটের জন্য। তিনি ছাড়া এসব গাছ কাটার অনুমতি কেউ দিতে পারেন না। এসব নানা জটিলতায় বছরের পর বছর বিপজ্জনকভাবে গৌরীপুরে রাস্তার ওপর ঝুলে আছে অর্ধশতাধিক মৃত বা অর্ধমৃত গাছ।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, এলজিইডির গৌরীপুর-কলতাপাড়া সড়কের তাঁতকুড়া বাজারের পাশে একটি ও গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরের পাশে একটি গাছ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সড়কের ওপর ঝুলে আছে। বড় যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এ ছাড়া গৌরীপুর-শাহগঞ্জ, গৌরীপুর-বোকাইনগর সড়কেও বেশ কয়েকটি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় অর্ধশত গাছ বছরের পর বছর এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তবে কর্তৃপক্ষ এসব ঝুঁকিপূর্ণ গাছ না কাটলেও রাতের আঁধারে গায়েব হয়ে যাচ্ছে সুস্থ সবল গাছ। সড়কটিতে ঘুরে গাছ চুরির আলামতও পাওয়া গেছে।
তাঁতকুড়া গ্রামের সাইফুল আলম বলেন, কয়েক বছর যাবৎ একটি গাছ সড়ক ও বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে, অথচ কাটা হচ্ছে না। অপরদিকে শত শত গাছ রাতের আঁধারে সড়ক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গৌরীপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমানের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি।
গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, প্রতিটি সড়কের পাশেই বিদ্যুতের তার রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব গাছ ভেঙে পড়লে বিদ্যুৎ বিতরণের তার ও খুঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহেদুল হক বলেন, ‘তাঁতকুড়া বাজারের পাশের গাছটি ডৌহাখলা ইউনিয়নে ও হাসপাতালের পাশের গাছটি গৌরীপুর সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত। জনস্বার্থ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই কাটা হবে।’
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘এসব দেখার দায়িত্ব বন বিভাগের। গৌরীপুর বন কর্মকর্তাকে সহজে পাওয়া যায় না। তবে জনস্বার্থ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
থাকলে আপদ, কাটলে বিপদ—এটা সরকারি গাছ বিষয়ে গ্রামীণ প্রবাদ। বিশেষ করে সড়কের পাশে লাগানো গাছ প্রায়ই ঝড় বৃষ্টিতে রাস্তা কিংবা ফসলি জমিতে উপড়ে পড়ে বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে থাকে। এসব গাছ চাইলেই কেউ কাটতে পারে না। রয়েছে হাজারটা নিয়মকানুন ও বিধিনিষেধ। এসব আনুষ্ঠানিকতার ভয়ে ও হয়রানির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটতে কেউ এগিয়ে আসেন না।
সরকারি গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমতি লাগে। প্রশাসন বলছে, ঝড়-বৃষ্টিতে পড়ে যাওয়া গাছ যদি সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল কিংবা কোনো রকম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে বন বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট ইউপি বা পৌরসভা তা কাটতে পারে। কিন্তু বছরের পর বছর ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিভিন্ন সড়কে অর্ধশত ঝুঁকিপূর্ণ গাছ থাকলেও তা কাটতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
এদিকে গৌরীপুর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের দেখা পাওয়াও কঠিন! অভিযোগ রয়েছে, মাসে দু-এক দিন যদিও তিনি কার্যালয়ে আসেন তাও কয়েক মিনিটের জন্য। তিনি ছাড়া এসব গাছ কাটার অনুমতি কেউ দিতে পারেন না। এসব নানা জটিলতায় বছরের পর বছর বিপজ্জনকভাবে গৌরীপুরে রাস্তার ওপর ঝুলে আছে অর্ধশতাধিক মৃত বা অর্ধমৃত গাছ।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, এলজিইডির গৌরীপুর-কলতাপাড়া সড়কের তাঁতকুড়া বাজারের পাশে একটি ও গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরের পাশে একটি গাছ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সড়কের ওপর ঝুলে আছে। বড় যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এ ছাড়া গৌরীপুর-শাহগঞ্জ, গৌরীপুর-বোকাইনগর সড়কেও বেশ কয়েকটি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় অর্ধশত গাছ বছরের পর বছর এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তবে কর্তৃপক্ষ এসব ঝুঁকিপূর্ণ গাছ না কাটলেও রাতের আঁধারে গায়েব হয়ে যাচ্ছে সুস্থ সবল গাছ। সড়কটিতে ঘুরে গাছ চুরির আলামতও পাওয়া গেছে।
তাঁতকুড়া গ্রামের সাইফুল আলম বলেন, কয়েক বছর যাবৎ একটি গাছ সড়ক ও বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে, অথচ কাটা হচ্ছে না। অপরদিকে শত শত গাছ রাতের আঁধারে সড়ক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গৌরীপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমানের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি।
গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, প্রতিটি সড়কের পাশেই বিদ্যুতের তার রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব গাছ ভেঙে পড়লে বিদ্যুৎ বিতরণের তার ও খুঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহেদুল হক বলেন, ‘তাঁতকুড়া বাজারের পাশের গাছটি ডৌহাখলা ইউনিয়নে ও হাসপাতালের পাশের গাছটি গৌরীপুর সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত। জনস্বার্থ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই কাটা হবে।’
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘এসব দেখার দায়িত্ব বন বিভাগের। গৌরীপুর বন কর্মকর্তাকে সহজে পাওয়া যায় না। তবে জনস্বার্থ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কাটতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
১৬ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
৩১ মিনিট আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
৩৪ মিনিট আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগে