গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
করোনায় যখন দিশেহারা মানুষ, তখন চাকরি চলে যায় আবুল ফজলের। ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ২৫ বছর ধরে যে পেশায় ছিলেন, সেই পেশা হারিয়ে চোখে অন্ধকার নেমে আসে তাঁর। চাকরির পেছনে আর না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ফিরে আসেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বালুচড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে।
পতিত জমি সরকারের কাছ থেকে লিজ নেন তিনি। পরে পরিশ্রম করে সেই জমিকে চাষযোগ্য করে তোলেন। অনাবাদি জমিতে কৃষি উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেন আবুল ফজল। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে আজ তিনি কৃষি ও ডেইরি খামারের একজন সফল উদ্যোক্তা। পেয়েছেন বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তার পুরস্কারও।
আবুল ফজল বলেন, ‘করোনাকালে চাকরি হারিয়ে বিপাকে পড়ি। চাকরির পেছনে না ছুটে সিদ্ধান্ত নিই গ্রামে একটি কৃষি ফার্ম গড়ে তোলার। নিজের বাড়ির কাছে শত বছরের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত ২৭০ শতক জমি ইজারা নিই। ২০২০ সালে কৃষিকাজ শুরু করি। শক্ত মাটির এই জমি পরিষ্কার করার সময় গ্রামের মানুষের কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। এ জমিতে ফসল উৎপাদন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন।’
সমালোচনায় কান না দিয়ে অদম্য আবুল ফজল কঠোর পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে সেই জমিকে চাষযোগ্য করে সেখানে নিজ নামে গড়ে তোলেন ‘ফজল এগ্রো ফার্ম’। আধুনিক পদ্ধতিতে শিম, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, তরমুজ, মাল্টা, কুমড়া, কমলা, শজনে, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজি চাষে সফলতা অর্জন করেন তিনি। সবজির পাশাপাশি তাতে শুরু করেন ঘাস চাষ ও বিভিন্ন সাথী ফসল উৎপাদন। এ ছাড়া তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন করেন এই ফার্মে।
বর্তমানে প্রায় ৩০০ শতক জমির এই কৃষি ফার্মে ২০ জন শ্রমিক কাজ করে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। আবুল ফজলের চাষের বিশেষত্ব হচ্ছে, মৌসুম চলাকালীন তিনি সবজি চাষ না করে সংকটকালীন সবজি চাষ করেন, এতে আর্থিকভাবে অন্যান্য কৃষকের তুলনায় অধিক লাভবান হচ্ছেন তিনি। বর্তমানে আবুল ফজল এই ফার্ম থেকে খরচ বাদে মাসে আয় করেন প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
কৃষি ফার্মের পাশাপাশি আবুল ফজল নিজ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন বিদেশি গরুর খামার। প্রথমে চারটি গরু দিয়ে শুরু করা এই খামারে বর্তমানে গরুর সংখ্যা ১৪, সম্প্রতি আরও তিনটি ষাঁড় বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি বছর গরু ও গাভির দুধ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। এই গরুর খামারে সারা বছর গোখাদ্যের চাহিদা মেটে কৃষি ফার্মে চাষ করা ঘাস ও শজনে পাতা থেকে। নিজের ফার্মের গরুর খাবারের চাহিদা মিটিয়ে কৃষি ফার্ম থেকে উৎপাদিত ঘাস ও ঘাসের কাটিং বিক্রি করে আয় আসে তাঁর। এ ছাড়া গরুর খামারের গোবর থেকে ভার্মি কম্পোস্ট পদ্ধতিতে উৎপাদিত জৈব সার নিজের জমিতে প্রয়োগ ও অন্য কৃষকের কাছে বিক্রি করেন তিনি।
কৃষিপণ্য উৎপাদনে চমক দেখানো সফল উদ্যোক্তা আবুল ফজল আধুনিক চাষাবাদে উৎসাহী করতে নিজ কৃষি ফার্মে গড়ে তুলেছেন কৃষকের পাঠশালা। এ পাঠশালায় প্রতিদিন ফ্রি কৃষি পরামর্শ নিতে আসেন স্থানীয় কৃষকেরা। নিজ ফার্মে কৃষকদের হাতে-কলমে শিক্ষার পাশাপাশি বিনা মূল্যে বিভিন্ন সবজির চারা ও ঘাসের কাটিং বিতরণ করেন তিনি।
বালুচড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার সোহেল বলেন, ‘আমাদের প্রথমে বিশ্বাস হয়নি পতিত জমিটিতে কৃষি উৎপাদন সম্ভব। আবুল ফজল সেটা করে দেখিয়েছে।’
গৌরীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, আবুল ফজল একজন পরিশ্রমী ও আদর্শ কৃষক। শত বছরের অধিক সময় পতিত থাকা জমিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও অন্যান্য অর্থকরী ফসল চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাঁকে পরামর্শের পাশাপাশি সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাত্র দুই বছরে কৃষিতে সাফল্য অর্জন করায় গত বছর আবুল ফজল পান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের কৃষক পুরস্কারে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি।
করোনায় যখন দিশেহারা মানুষ, তখন চাকরি চলে যায় আবুল ফজলের। ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ২৫ বছর ধরে যে পেশায় ছিলেন, সেই পেশা হারিয়ে চোখে অন্ধকার নেমে আসে তাঁর। চাকরির পেছনে আর না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ফিরে আসেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বালুচড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে।
পতিত জমি সরকারের কাছ থেকে লিজ নেন তিনি। পরে পরিশ্রম করে সেই জমিকে চাষযোগ্য করে তোলেন। অনাবাদি জমিতে কৃষি উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেন আবুল ফজল। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে আজ তিনি কৃষি ও ডেইরি খামারের একজন সফল উদ্যোক্তা। পেয়েছেন বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তার পুরস্কারও।
আবুল ফজল বলেন, ‘করোনাকালে চাকরি হারিয়ে বিপাকে পড়ি। চাকরির পেছনে না ছুটে সিদ্ধান্ত নিই গ্রামে একটি কৃষি ফার্ম গড়ে তোলার। নিজের বাড়ির কাছে শত বছরের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত ২৭০ শতক জমি ইজারা নিই। ২০২০ সালে কৃষিকাজ শুরু করি। শক্ত মাটির এই জমি পরিষ্কার করার সময় গ্রামের মানুষের কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। এ জমিতে ফসল উৎপাদন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন।’
সমালোচনায় কান না দিয়ে অদম্য আবুল ফজল কঠোর পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে সেই জমিকে চাষযোগ্য করে সেখানে নিজ নামে গড়ে তোলেন ‘ফজল এগ্রো ফার্ম’। আধুনিক পদ্ধতিতে শিম, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, তরমুজ, মাল্টা, কুমড়া, কমলা, শজনে, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজি চাষে সফলতা অর্জন করেন তিনি। সবজির পাশাপাশি তাতে শুরু করেন ঘাস চাষ ও বিভিন্ন সাথী ফসল উৎপাদন। এ ছাড়া তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন করেন এই ফার্মে।
বর্তমানে প্রায় ৩০০ শতক জমির এই কৃষি ফার্মে ২০ জন শ্রমিক কাজ করে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। আবুল ফজলের চাষের বিশেষত্ব হচ্ছে, মৌসুম চলাকালীন তিনি সবজি চাষ না করে সংকটকালীন সবজি চাষ করেন, এতে আর্থিকভাবে অন্যান্য কৃষকের তুলনায় অধিক লাভবান হচ্ছেন তিনি। বর্তমানে আবুল ফজল এই ফার্ম থেকে খরচ বাদে মাসে আয় করেন প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
কৃষি ফার্মের পাশাপাশি আবুল ফজল নিজ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন বিদেশি গরুর খামার। প্রথমে চারটি গরু দিয়ে শুরু করা এই খামারে বর্তমানে গরুর সংখ্যা ১৪, সম্প্রতি আরও তিনটি ষাঁড় বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি বছর গরু ও গাভির দুধ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। এই গরুর খামারে সারা বছর গোখাদ্যের চাহিদা মেটে কৃষি ফার্মে চাষ করা ঘাস ও শজনে পাতা থেকে। নিজের ফার্মের গরুর খাবারের চাহিদা মিটিয়ে কৃষি ফার্ম থেকে উৎপাদিত ঘাস ও ঘাসের কাটিং বিক্রি করে আয় আসে তাঁর। এ ছাড়া গরুর খামারের গোবর থেকে ভার্মি কম্পোস্ট পদ্ধতিতে উৎপাদিত জৈব সার নিজের জমিতে প্রয়োগ ও অন্য কৃষকের কাছে বিক্রি করেন তিনি।
কৃষিপণ্য উৎপাদনে চমক দেখানো সফল উদ্যোক্তা আবুল ফজল আধুনিক চাষাবাদে উৎসাহী করতে নিজ কৃষি ফার্মে গড়ে তুলেছেন কৃষকের পাঠশালা। এ পাঠশালায় প্রতিদিন ফ্রি কৃষি পরামর্শ নিতে আসেন স্থানীয় কৃষকেরা। নিজ ফার্মে কৃষকদের হাতে-কলমে শিক্ষার পাশাপাশি বিনা মূল্যে বিভিন্ন সবজির চারা ও ঘাসের কাটিং বিতরণ করেন তিনি।
বালুচড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার সোহেল বলেন, ‘আমাদের প্রথমে বিশ্বাস হয়নি পতিত জমিটিতে কৃষি উৎপাদন সম্ভব। আবুল ফজল সেটা করে দেখিয়েছে।’
গৌরীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, আবুল ফজল একজন পরিশ্রমী ও আদর্শ কৃষক। শত বছরের অধিক সময় পতিত থাকা জমিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও অন্যান্য অর্থকরী ফসল চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাঁকে পরামর্শের পাশাপাশি সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাত্র দুই বছরে কৃষিতে সাফল্য অর্জন করায় গত বছর আবুল ফজল পান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের কৃষক পুরস্কারে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩৭ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে