ময়মনসিংহ নগরী
ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন খালের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে এসব খাল হয়েই নগরীর পানিনিষ্কাশন হয় পাশের নদীতে। খালগুলো খননে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ও হয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এ খননেও কাজ হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীর অধিকাংশ এলাকায় হাঁটুপানি জমে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, অপরিকল্পিত খনন ও খাল পরিষ্কারে শুধু কাগজ-কলমেই অর্থের অপচয় করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেহড়া, মাকড়জানি, কাটাখালী, বগামারী, গোহাইলকান্দি ও আকুয়া খাল দিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর পুরোনো নয়টি ওয়ার্ডের পানি পাগারিয়া নদীতে নিষ্কাশিত হয়। নগরীর আরেক অংশের পানি ড্রেনের মাধ্যমে যায় ব্রহ্মপুত্র নদে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর বিভিন্ন খাল খনন ও পরিষ্কারে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৫০, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪০, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬০ লাখ ৩০ হাজার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করে সিটি করপোরেশন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাল খনন ও পরিষ্কারকাজ চলমান রয়েছে। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে নগরীর বিভিন্ন খাল ও ড্রেন পরিষ্কারের অভিযান শুরু হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে।
আকুয়া এলাকার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, আকুয়া খালের বেশির ভাগ অংশ ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। আসছে বর্ষার আগে খালটি পুরোপুরি পরিষ্কার করা না হলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সিটি করপোরেশন দায়সারাভাবে খাল পরিষ্কার করায় তা কোনো কাজে আসছে না।
বাড়েরা এলাকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, একসময় খালের পানিতে গোসল করলেও এখন ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধের কারণে নামা যায় না। খালগুলো সরু হয়ে গেছে দখলের কারণে। ভালোভাবে খনন না করায় প্রতিবছর বাসাবাড়িতে পানি ওঠে।
একই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান নামের একজন বলেন, খননের মাটি পাড়ে রাখার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই তা আবার খালে পড়ে ভরাট হবে। পরিকল্পিতভাবে খাল খনন না করা হলে নগরীতে জলাবদ্ধতা হবেই।
খননযন্ত্রের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, ‘জায়গা না থাকায় খননের মাটি খালের পাড়েই আমরা ফেলছি। এতে করে বর্ষার সময় কিছু মাটি খালে পড়বে—এটাই স্বাভাবিক।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের
কারণে প্রতিবছর নগরীতে হাঁটুপানি জমে। বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খাল খননে দীর্ঘস্থায়ী উদ্যোগ নিলে একদিকে যেমন অর্থের অপচয় রোধ হবে, অন্যদিকে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ বলেন, ‘খননকাজ সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে। ছয়টি খাল নিয়ে এডিবি থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলে আগামী বছর নগরবাসীর কোনো ভোগান্তি থাকবে না।’
ময়মনসিংহ নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন খালের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে এসব খাল হয়েই নগরীর পানিনিষ্কাশন হয় পাশের নদীতে। খালগুলো খননে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ও হয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এ খননেও কাজ হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীর অধিকাংশ এলাকায় হাঁটুপানি জমে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, অপরিকল্পিত খনন ও খাল পরিষ্কারে শুধু কাগজ-কলমেই অর্থের অপচয় করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেহড়া, মাকড়জানি, কাটাখালী, বগামারী, গোহাইলকান্দি ও আকুয়া খাল দিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর পুরোনো নয়টি ওয়ার্ডের পানি পাগারিয়া নদীতে নিষ্কাশিত হয়। নগরীর আরেক অংশের পানি ড্রেনের মাধ্যমে যায় ব্রহ্মপুত্র নদে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর বিভিন্ন খাল খনন ও পরিষ্কারে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৫০, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪০, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬০ লাখ ৩০ হাজার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করে সিটি করপোরেশন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খাল খনন ও পরিষ্কারকাজ চলমান রয়েছে। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে নগরীর বিভিন্ন খাল ও ড্রেন পরিষ্কারের অভিযান শুরু হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে।
আকুয়া এলাকার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, আকুয়া খালের বেশির ভাগ অংশ ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। আসছে বর্ষার আগে খালটি পুরোপুরি পরিষ্কার করা না হলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সিটি করপোরেশন দায়সারাভাবে খাল পরিষ্কার করায় তা কোনো কাজে আসছে না।
বাড়েরা এলাকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, একসময় খালের পানিতে গোসল করলেও এখন ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধের কারণে নামা যায় না। খালগুলো সরু হয়ে গেছে দখলের কারণে। ভালোভাবে খনন না করায় প্রতিবছর বাসাবাড়িতে পানি ওঠে।
একই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান নামের একজন বলেন, খননের মাটি পাড়ে রাখার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই তা আবার খালে পড়ে ভরাট হবে। পরিকল্পিতভাবে খাল খনন না করা হলে নগরীতে জলাবদ্ধতা হবেই।
খননযন্ত্রের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, ‘জায়গা না থাকায় খননের মাটি খালের পাড়েই আমরা ফেলছি। এতে করে বর্ষার সময় কিছু মাটি খালে পড়বে—এটাই স্বাভাবিক।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের
কারণে প্রতিবছর নগরীতে হাঁটুপানি জমে। বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খাল খননে দীর্ঘস্থায়ী উদ্যোগ নিলে একদিকে যেমন অর্থের অপচয় রোধ হবে, অন্যদিকে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ বলেন, ‘খননকাজ সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে। ছয়টি খাল নিয়ে এডিবি থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলে আগামী বছর নগরবাসীর কোনো ভোগান্তি থাকবে না।’
মুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৪ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার কিছু পর রুবেল তার প্রতিষ্ঠান ‘এফ রহমান ট্রেডিং’-এর ভেতরে কাজ করছিলেন। এসময় একদল দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। চিৎকার শুনে পাশের দোকানদার ও সিএনজি চালকরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে