এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় শীতের এই শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে যমুনার পাড়। নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি, বাড়িঘর। দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীপারের বাসিন্দারা। বছরের পর বছর বর্ষায় নদীভাঙন অব্যাহত থাকলেও প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসময়ে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। এর জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাপধরী ইউনিয়ন মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে যমুনা। নদীটির পশ্চিমে সাপধরীর প্রজাপতি, চরশিশুয়া, মন্ডলপাড়া, চেঙ্গানিয়া ও বিশরশি এবং পূর্বে কাঁসারিডোবা, জোরডোবা, ফকিরপাড়া, কটাপুর, কুদালধোয়া, রায়েরপাড়া, জিগাতলী, ভাঙবাড়ী, ইন্দুল্লামারী ও আকন্দপাড়া গ্রাম। এই গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষাকালে পানির চাপে ভাঙন দেখা গেলেও এখন শুষ্ক মৌসুমে এসে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ভাঙন বেড়ে গেছে।
এরই মধ্যে চেঙ্গানিয়া, মণ্ডলপাড়া, প্রজাপতি, চরশিশুয়া, বিশরশি, আকন্দপাড়া, কাঁসারিডোবা ও চৌধুরীপাড়া এলাকায় শতাধিক বাড়িঘর যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকে বসতভিটা হারিয়ে সর্বস্বান্ত। এ ছাড়া উত্তর দিঘাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফজিলা গাফফার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিন্ধুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চেঙ্গানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নদীতে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ১০০ মিটার দীর্ঘ চারটি বাঁশের পাইলিং করে অন্তত কাঁসারিডোবা, জোরডোবা, কটাপুর, আকন্দপাড়া ও ইন্দুল্লামারী এলাকায় যমুনার ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
ভুক্তভোগী আলমাছ আলী বলেন, ‘আমার ভিটামাটি ছাড়া অন্য কোনো জমি নেই। এখন আমি কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব। দিশেহারা হয়ে পড়ছি। আপাতত নদীর কিনারে বসবাস করছি। যেকোনো মুহূর্তে বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যাবে।’
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আয়েশা বেগম বলেন, ‘যমুনা নদীতে ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এর আগেও একবার ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় এই বাড়িও নদীতে চলে যেতে পারে। নদীভাঙন প্রতিরোধে কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে অবহিত করা হয়েছে।
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নটির চারপাশে বয়ে চলছে যমুনা নদী। সামান্য পানি বাড়লেও বন্যায় তলিয়ে যায় সিংহভাগ গ্রাম। এবার শুষ্ক মৌসুমেও যমুনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাড়িঘরসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি যমুনায় চলে গেছে। এ ছাড়া নদীভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘যমুনা ভাঙনের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি। ভাঙন প্রতিরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নদীভাঙন বিষয়ে খোঁজখবর রাখছি। ভাঙন রোধে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণের জন্য সমন্বিত একটি সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভাঙন রোধ সম্ভব হবে। নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় শীতের এই শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে যমুনার পাড়। নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি, বাড়িঘর। দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীপারের বাসিন্দারা। বছরের পর বছর বর্ষায় নদীভাঙন অব্যাহত থাকলেও প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসময়ে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। এর জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাপধরী ইউনিয়ন মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে যমুনা। নদীটির পশ্চিমে সাপধরীর প্রজাপতি, চরশিশুয়া, মন্ডলপাড়া, চেঙ্গানিয়া ও বিশরশি এবং পূর্বে কাঁসারিডোবা, জোরডোবা, ফকিরপাড়া, কটাপুর, কুদালধোয়া, রায়েরপাড়া, জিগাতলী, ভাঙবাড়ী, ইন্দুল্লামারী ও আকন্দপাড়া গ্রাম। এই গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষাকালে পানির চাপে ভাঙন দেখা গেলেও এখন শুষ্ক মৌসুমে এসে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ভাঙন বেড়ে গেছে।
এরই মধ্যে চেঙ্গানিয়া, মণ্ডলপাড়া, প্রজাপতি, চরশিশুয়া, বিশরশি, আকন্দপাড়া, কাঁসারিডোবা ও চৌধুরীপাড়া এলাকায় শতাধিক বাড়িঘর যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকে বসতভিটা হারিয়ে সর্বস্বান্ত। এ ছাড়া উত্তর দিঘাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফজিলা গাফফার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিন্ধুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চেঙ্গানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নদীতে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ১০০ মিটার দীর্ঘ চারটি বাঁশের পাইলিং করে অন্তত কাঁসারিডোবা, জোরডোবা, কটাপুর, আকন্দপাড়া ও ইন্দুল্লামারী এলাকায় যমুনার ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
ভুক্তভোগী আলমাছ আলী বলেন, ‘আমার ভিটামাটি ছাড়া অন্য কোনো জমি নেই। এখন আমি কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব। দিশেহারা হয়ে পড়ছি। আপাতত নদীর কিনারে বসবাস করছি। যেকোনো মুহূর্তে বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যাবে।’
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আয়েশা বেগম বলেন, ‘যমুনা নদীতে ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এর আগেও একবার ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় এই বাড়িও নদীতে চলে যেতে পারে। নদীভাঙন প্রতিরোধে কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে অবহিত করা হয়েছে।
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নটির চারপাশে বয়ে চলছে যমুনা নদী। সামান্য পানি বাড়লেও বন্যায় তলিয়ে যায় সিংহভাগ গ্রাম। এবার শুষ্ক মৌসুমেও যমুনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাড়িঘরসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি যমুনায় চলে গেছে। এ ছাড়া নদীভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘যমুনা ভাঙনের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি। ভাঙন প্রতিরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নদীভাঙন বিষয়ে খোঁজখবর রাখছি। ভাঙন রোধে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণের জন্য সমন্বিত একটি সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভাঙন রোধ সম্ভব হবে। নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হবে।’
আলু সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার কৃষকেরা। পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় কৃষকের বাড়িতেই আলু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। যে কারণে আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।
৫ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
৮ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১ ঘণ্টা আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে