Ajker Patrika

বাকৃবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ২ সরকারি বাড়ি দখলের অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বাকৃবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ২ সরকারি বাড়ি দখলের অভিযোগ

নিয়মিত অফিস না করা, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দুটি সরকারি বাসা ব্যবহার করে অর্থের অপচয়, শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসানের বিরুদ্ধে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশ।

তবে, সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। 

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন—গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. পূর্বা ইসলাম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার, উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. ইমদাদুল হক চৌধুরী ও প্রফেসর ড. মনজুরুল আলম চম্পক। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অনুপ্রবেশকারী, অসৎ ও আদর্শহীন ব্যক্তি দ্বারা প্রশাসন পরিচালনা, শিক্ষা সংক্রান্ত অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বিভিন্ন পদে নিয়োগের অনিয়মসহ ৯টি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। 

প্রফেসর ড. মনজুরুল আলম চম্পক বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে বর্তমান ভিসির সময়ে যে কয়েকটি নিয়োগ হয়েছে, তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। এতে ভিসি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ ও জাতি। ভিসির গাফিলতির কারণে সেশনজট কোনোভাবেই কমছে না। বিভিন্ন খাতে অপব্যয় মাত্রা ছাড়াচ্ছে। দুটি সরকারি বাসা ব্যবহারের পাশাপাশি খাওয়া–দাওয়া, অতিথি আপ্যায়ন, এমনকি পোষা প্রাণীও তিনি ভিসি বাসভবনে রাখেন।’ 

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. পূর্বা ইসলাম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম মুজিব আদর্শের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সংঘটনটি ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে বিভেদ। স্যারের আশকারায় দুই ভাগে বিভক্ত প্রাণের সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, সকল ক্ষেত্রে স্যারের স্বেচ্ছাচারিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। স্থবির হয়ে পড়ছে উন্নয়ন কাজ। ফেরত যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।’ 

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার বলেন, ‘বিতর্কিত লোকজন দিয়ে ভিসি স্যার প্রশাসন পরিচালনা করছেন। যারা বিগত সময়ে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল আজ তারাই প্রশাসনিক পদে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। তিনি ভিসি হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভিসির জন্য নির্দিষ্ট বাসভবন ব্যবহার ছাড়া বিশাল আকৃতির আরেকটি সরকারি বাসা ব্যবহার করছেন। বেশির ভাগ সময় তিনি ঢাকায় থাকেন। যার জন্য প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা কোনোভাবেই কমছে না।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‘আমার মতো স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিগত সময়ে কোনো ভিসিরাই দায়িত্বপালন করতে পারেনি। যারা এমন অভিযোগ করছেন, তারা অহেতুক করছেন। উন্নয়নের কোনো টাকাই ফেরত যায়নি। শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আমি আমার ভাই–বোন, ছেলে–মেয়ে আত্মীয়–স্বজন কাউকেই নিয়োগ দেয়নি। ভিসির বাসভবনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে দুটি বাসাই ব্যবহার করতে হচ্ছে। অপচয় আমার মধ্যে নেই, তা কম বেশি সবাই জানে। কাজ করতে হলে বোর্ড গঠন করা হয় তারাই সেটি তদারকি করে থাকেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব র‍্যাব ডিজির

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত